কিন্তু পাকিস্তানের এই ২৭তম সাংবিধানিক সংশোধনী কী? কেন তা নিয়ে এত হইচই? ‘চিফ অফ আর্মি স্টাফ’ (স্থলসেনা প্রধান) ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে ‘চিফ অফ ডিফেন্স ফোর্সেস’ (সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান বা সেনা সর্বাধিনায়ক) পদে উন্নীত করার জন্য গত মাসে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার পাক সংবিধানের ২৪৩ নম্বর ধারা সংশোধনের বিল পাশ করিয়েছিল পাক পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে।
মুনিরের ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি পাক সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা ছাঁটাইয়ের উদ্দেশ্যেও একটি সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ করে পাক পার্লামেন্ট। সাংবিধানিক বিধি মেনে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে পাশ করানো ওই বিলে সংবিধান সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার ভার সুপ্রিম কোর্টের হাত থেকে কেড়ে নতুন সাংবিধানিক আদালতে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে।
সেই সাংবিধানিক সংশোধনী নিয়েই এ বার পাকিস্তানকে সাবধান করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনার। টুয়র্কের কথায়, ‘‘পাকিস্তানের তাড়াহুড়ো করে গৃহীত সাংবিধানিক সংশোধনী বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতাকে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সামরিক দায়বদ্ধতা এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধা নিয়েও গুরুতর উদ্বেগ তৈরি করেছে এই সিদ্ধান্ত। এর ফলে বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং নিয়ন্ত্রণের অধীনে রাখার ঝুঁকিও তৈরি হবে।’’
যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে পর্যবেক্ষণ এবং মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক এবং অপ্রয়োজনীয় আশঙ্কা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে ইসলামাবাদ। পাক বিদেশ মন্ত্রককে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘সকল সংসদীয় গণতন্ত্রের মতো পাকিস্তানেও আইন প্রণয়ন এবং সংবিধানের যে কোনও সংশোধনী জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের একচেটিয়া অধিকার।’’
বিশেষজ্ঞদের একাংশ আবার বিষয়টি প্রসঙ্গে পাকিস্তানের দুর্বল অর্থনীতির কথাও উল্লেখ করেছেন। পাকিস্তানের ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’ অবস্থার কথা আন্তর্জাতিক মহলে অবিসংবাদিত। ইসলামাবাদের তহবিল ফুরিয়ে আসছে। বিদেশি মুদ্রার ভান্ডারও তলানিতে। আর্থিক সঙ্কটের মুখে বহু টাকা ঋণ করেছে পাকিস্তান। এ নিয়ে সে দেশের জনগণের মধ্যেও ক্ষোভের অন্ত নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy