US Golden Dome, Israel’s Iron Dome and India’s S-400, which one is the best Air Defence system dgtl
Golden Dome vs Iron Dome vs S-400
মহাশূন্য থেকে লেজ়ার ছুড়ে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস! ট্রাম্পের ‘সোনালি কবচ’-এ ফিকে ইজ়রায়েল ও ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা?
আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে এ বার গোল্ডেন ডোম নামের একটি হাতিয়ার তৈরির ছাড়পত্র দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইজ়রায়েলি আয়রন ডোম এবং ভারতের ‘সুদর্শন চক্র’র থেকে এটি কতটা শক্তিশালী? এই প্রশ্নে ইতিমধ্যেই তুঙ্গে উঠেছে তরজা।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২৫ ১৪:৩০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২০
এ বার দুর্ভেদ্য বর্মে দেশের আকাশকে ঢেকে ফেলার ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন ধরনের ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ বা এয়ার ডিফেন্স তৈরি করতে কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের ওই ঢালের নাম ‘গোল্ডেন ডোম’। অবশ্য ২০২৯ সালের আগে সেটি চালু হওয়ার কোনও আশাই নেই। তবে ট্রাম্পের ওই ঘোষণার পর দুনিয়া জুড়ে চলছে আমেরিকার ‘সোনালি গম্বুজ’-এর সঙ্গে ইজ়রায়েলি ‘লৌহ কবচ’ (পড়ুন আয়রন ডোম) ও ভারতের এয়ার ডিফেন্সের তুলনামূলক আলোচনা।
০২২০
গোল্ডেন ডোম, আয়রন ডোম এবং ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের মূল লক্ষ্য এক। শত্রুর ছোড়া ব্যালেস্টিক বা ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুদ্ধবিমান থেকে আমজনতা ও সামরিক কৌশলগত সম্পত্তিকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে এগুলিকে তৈরি করা হয়েছে। তবে আমেরিকা যে ‘সোনালি গম্বুজ’ তৈরি করতে যাচ্ছে, তার কার্যপদ্ধতি হবে সম্পূর্ণ আলাদা। যুক্তরাষ্ট্রের এই হাতিয়ারটি হবে সম্পূর্ণ মহাকাশভিত্তিক। এর মাধ্যমে ইনফ্রারেড লেজ়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।
০৩২০
সূত্রের খবর, কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে শত্রুর ছোড়া ব্যালেস্টিক বা ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্রকে চিহ্নিত করবে আমেরিকার ‘সোনালি গম্বুজ’। এর জন্য স্থলভিত্তিক রেডারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে এই ব্যবস্থা। তার পর লেজ়ার ব্যবহার করে হাইপারসনিক, ব্যালেস্টিক এবং ক্রুজ়— তিন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রকে মাঝ-আকাশে ধ্বংস করবে গোল্ডেন ডোম।
০৪২০
তবে প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা মনে করেন, একাধিক পর্যায়ে এই অস্ত্র ব্যবহার করবে মার্কিন ফৌজ। যার দ্বিতীয় শ্রেণিতে থাকবে স্থলভিত্তিক মিডকোর্স প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে (ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল বা আইসিবিএম) চিহ্নিত করে তা ধ্বংস করার ক্ষেত্রে এর জুড়ি মেলা ভার। গত কয়েক বছরে বহু বার যুক্তরাষ্ট্রের উপর আইসিবিএম হামলার হুমকি দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার ‘সুপ্রিম লিডার’ কিম জং-উন। তাই এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পূর্বের প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে মোতায়েন রাখতে পারে আমেরিকা।
০৫২০
বর্তমানে এজিস বিএমডি বা ব্যালেস্টিক মিসাইল ডিফেন্স নামের একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে মার্কিন নৌবাহিনী। এতে রয়েছে এসএম-২ নামের ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র। মূলত রণতরীগুলিকে রুশ আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে এটি মোতায়েন রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌসেনা। ২০০৯ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে এজিস বিএমডির সাহায্যে যুদ্ধজাহাজগুলিকে দুর্ভেদ্য দুর্গে পরিণত করে আমেরিকা।
০৬২০
এ ছাড়া মার্কিন ফৌজের হাতে রয়েছে আরও দু’টি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সেগুলি হল, টার্মিনাল হাই অল্টিটিউড এরিয়া ডিফেন্স বা থাড। হিট-টু-কিল প্রযুক্তিতে তৈরি এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আটকানো সম্ভব। বর্তমানে এর কয়েকটি ইউনিট ইজ়রায়েলে মোতায়েন রেখেছে ওয়াশিংটন। গত বছরের ডিসেম্বরে ইয়েমেনের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের ছোড়া ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে শূন্যে ধ্বংস করে খবরের শিরোনামে আসে থাড।
০৭২০
আমেরিকার প্যাট্রিয়ট অ্যাডভান্সড কেপেবিলিটি-৩ (পিএসি-৩) নামের এয়ার ডিফেন্সেও রয়েছে হিট-টু-কিল প্রযুক্তি। এতে এর নকশা স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের জন্য করা হয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় সংশ্লিষ্ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটিকে মোতায়েন রেখেছে মার্কিন ফৌজ। চিনা হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র আটকানোর লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। ওয়াশিংটনের সহযোগিতায় পিএসি-৩ মোতায়েন করেছে জাপানও।
০৮২০
অন্য দিকে, ইজ়রায়েলের হাতে যে আয়রন ডোম রয়েছে, তা কৃত্রিম উপগ্রহ পরিচালিত নয়। স্বল্পপাল্লার রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র, মর্টার ও কামানের গোলা আটকাতে এর নকশা তৈরি করেছেন ইহুদি প্রতিরক্ষা গবেষকেরা। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে চলা যুদ্ধে নিজের জাত চিনিয়েছে ইজ়রায়েলের এই ‘লৌহ কবচ’। তাঁদের ছোড়া ৯৮ শতাংশ রকেটকে মাঝ-আকাশেই ধ্বংস করতে সক্ষম হয় আয়রন ডোমের তামির ক্ষেপণাস্ত্র।
০৯২০
আমেরিকার মতো ইজ়রায়েলও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে মজবুত করতে একাধিক স্তরে তাকে সাজিয়ে রেখেছে। আয়রন ডোমের মতোই অ্যারো নামের একটি হাতিয়ার রয়েছে তাদের। এর ভিতরে থাকা ক্ষেপণাস্ত্র পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে কাজ করতে সক্ষম। গত বছর ইরানের ছোড়া একাধিক দূরপাল্লার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এর সাহায্যেই শূন্যে ধ্বংস করে ইজ়রায়েল ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ।
১০২০
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে চলা যুদ্ধে দুর্দান্ত ভাবে কাজ করেছে ‘ডেভিড্’স স্লিং’। এর নির্মাণকারী সংস্থা হল ইজ়রায়েলের রাফায়েল এবং আমেরিকার রেথিয়ন। ৭.৫ ম্যাক গতির মাঝারি পাল্লার রকেট, ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে মাঝ-আকাশে ধ্বংস করতে সিদ্ধহস্ত ইহুদিদের এই ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’।
১১২০
বিশ্বের অত্যাধুনিক ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’র তালিকায় অবশ্যই আসবে রাশিয়ার তৈরি ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’। এতে রয়েছে উন্নত রেডার, কমান্ড সেন্টার এবং ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র। একসঙ্গে মোট ৮০টি লক্ষ্যবস্তুর উপর আঘাত হানতে সক্ষম ক্রেমলিনের ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’। আকাশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমানে মস্কোর এই হাতিয়ার ব্যবহার করছে ভারতীয় বায়ুসেনা।
১২২০
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, সব ধরনের পরিবেশে কাজ করতে পারে রুশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। অর্থাৎ, মরুভূমির প্রবল গরম এবং হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় সমান ভাবে কার্যকর এই হাতিয়ার। ‘এস-৪০০’র রেডারের পাল্লা ৬০০ কিলোমিটার। অন্য দিকে, স্টেল্থ যুদ্ধবিমান, ক্রুজ় এবং ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে মাঝ-আকাশেই গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে মস্কোর এই অস্ত্রের।
১৩২০
এস-৪০০’র নির্মাণকারী সংস্থা হল আলমাজ় সেন্ট্রাল ডিজ়াইন ব্যুরো। এটি একসঙ্গে চিহ্নিত করতে পারে ৩০০ লক্ষ্যবস্তু। রাশিয়ার থেকে এই হাতিয়ারের পাঁচটি ইউনিট আমদানি করেছে নয়াদিল্লি। তার মধ্যে তিনটি ইতিমধ্যেই সরবরাহ করেছে মস্কো। ভারতীয় বায়ুসেনা এর নতুন নাম দিয়েছে ‘সুদর্শন চক্র’। পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুদ্ধবিমানকে ওড়াতে এটি যথেষ্ট কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে।
১৪২০
এস-৪০০র পর অবশ্যই বলতে হবে বারাক-৮ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার কথা। ইজ়রায়েলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এটি তৈরি করেছে নয়াদিল্লি। ৭০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় সুরক্ষা দিতে সক্ষম এই হাতিয়ার। ভারতীয় বায়ুসেনার পাশাপাশি নৌবাহিনীও এটিকে ব্যবহার করে থাকে। বারাক-৮র ক্ষেপণাস্ত্রগুলি সর্বোচ্চ দুই ম্যাক গতিতে ছুটতে পারে। মূলত পাকিস্তানের বাবর ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্রের কথা মাথায় রেখে এটিকে তৈরি করা হয়েছে।
১৫২০
সীমান্তে ১৫ থেকে ৩৫ কিলোমিটার এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইজ়রায়েলি স্পাইডার নামের হাতিয়ার ব্যবহার করে ভারতীয় সেনা। এতে রয়েছে পাইথন-৫ এবং ডার্বি ক্ষেপণাস্ত্র। এ ছাড়া যু্দ্ধবিমান এবং স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের জন্য দেশীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিওর (ডিফেন্স রিসার্চ ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজ়েশন) তৈরি আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাটিও পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াইয়ে দুর্দান্ত ভাবে কাজ করেছে। এর পাল্লা ৭০ কিলোমিটার।
১৬২০
গত ৮ এবং ৯ মে রাতে ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন পাঠিয়ে ভারতের একাধিক বায়ুসেনা ঘাঁটিকে নিশানা করে ইসলামাবাদ। ড্রোনের ঝাঁককে গুলি করে নামাতে পরিত্রাতার ভূমিকা নেয় জ়ু-২৩এমএম অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্ট বন্দুক এবং জ়েডএসইউ-২৩-৪ শিল্কা। ‘ঠান্ডা লড়াই’য়ের সময় এই দুই হাতিয়ার তৈরি করেছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া)। পাকিস্তানের সঙ্গে ‘যুদ্ধে’ বুড়ো হাড়ে ভেল্কি দেখিয়েছে তারা। ইসলামাবাদের একটি ড্রোনকেও আছড়ে পড়তে দেয়নি এই অস্ত্র।
১৭২০
এ ছাড়া আকাশ প্রতিরক্ষায় সুইডিশ সংস্থা বফোর্সের তৈরি এল-৭০ ৪০ মিলিমিটারের বন্দুক, রাশিয়ার ‘পেচোরা’ ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ম্যান পোর্টেবল ‘ইগলা-এস’ ব্যবহার করে ভারতীয় সেনা। এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারে যথেষ্ট পটু এ দেশের বাহিনী। অর্থাৎ, শত্রুর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের ইলেকট্রনিক ব্যবস্থাকে জ্যামিং করে তাকে ভুল পথে চালিত করতে পারে ভারতীয় ফৌজ।
১৮২০
চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল অত্যাধুনিক লেজ়ার হাতিয়ারের সফল পরীক্ষা চালায় ডিআরডিও। অস্ত্রটির পোশাকি নাম ‘এমকে-টু(এ) লেজ়ার’। এটি প্রকৃতপক্ষে একটি ‘ডিরেক্ট এনার্জি ওয়েপন সিস্টেম’ বা ডিইডব্লিউ। বর্তমান বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি দেশের কাছে আছে এই হাতিয়ার।
১৯২০
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবশ্য দাবি, ইজ়রায়েলি আয়রন ডোমের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী হবে আমেরিকার গোল্ডন ডোম। এর জন্য প্রায় ১৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৫ লক্ষ কোটি টাকা) খরচ করবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন। তবে প্রাথমিক ভাবে, এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরিতে আড়াই হাজার কোটি ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ২ লক্ষ ১৪ হাজার কোটির বেশি) দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
২০২০
বর্তমানে বিশ্বের কোনও দেশের কাছে কৃত্রিম উপগ্রহ ভিত্তিক ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ নেই। ফলে গোল্ডেন ডোম তৈরি হলে, সেদিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে যাবে আমেরিকা। তবে এই ধরনের প্রযুক্তি তৈরিতে খুব একটা পিছিয়ে নেই রাশিয়া ও চিন। অন্যদিকে মহাকাশে সক্ষমতা বাড়াচ্ছে ভারতও।