কখনও তাইওয়ান। কখনও আবার জাপানের একগুচ্ছ দ্বীপ। একের পর এক এলাকাকে নিজেদের বলে দাবি তুলে মানচিত্র বদলের চেষ্টা চালাচ্ছে চিন। ফলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় দিন দিন বাড়ছে ড্রাগনের ‘দৌরাত্ম্য’। শুধু তা-ই নয়, পর্দার আড়ালে থেকে কোরীয় উপদ্বীপের সংঘাতে উস্কানি দেওয়ার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই বেজিং। এই ‘আগ্রাসন’ ঠেকাতে কাছাকাছি এসেছে টোকিয়ো, তাইপে এবং সোল। তাদের মাথার উপর আবার আছে মার্কিন সুরক্ষার ছাতা। এতে কতটা নিরাপদ এই তিন রাষ্ট্র? প্রশ্ন তুলছেন দুনিয়ার তাবড় প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা।
১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গত ৮০ বছরে সে ভাবে কোনও রক্তপাত দেখেনি প্রশান্ত মহাসাগর। কিন্তু, ২১ শতকে বেজিঙের নৌশক্তির অভূতপূর্ব উন্নতির পর পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। ড্রাগনের পাশাপাশি ওই এলাকায় ধূমকেতুর মতো উঠে এসেছে উত্তর কোরিয়া (ডেমোক্রেটিক পিপ্লস রিপাবলিক অফ কোরিয়া বা ডিপিআরকে)। পিয়ংইয়ঙের বাহিনীর হাতে আছে পরমাণু হাতিয়ার বহনে সক্ষম দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। ফলে ঘুম উড়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার বন্ধু দেশগুলির। প্রশ্নের মুখে পড়েছে জাপান, তাইওয়ান (সাবেক ফরমোজ়া দ্বীপ) এবং দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তা (রিপাবলিক অফ কোরিয়া বা আরওকে)।