কিন্তু দেওয়ানপাড়া থেকে ডায়মন্ড সিটির আবাসনে পৌঁছনোর যাত্রা কেমন ছিল? কী ভাবে একেবারে সাধারণ ঘরের মেয়ে অর্পিতা মডেল থেকে অভিনেত্রী হয়ে আচমকাই চলে এলেন আর্থিক বিতর্কের কেন্দ্রে? কী ভাবে উত্থান অর্পিতার! কোথা থেকেই বা তাঁর ফ্ল্যাটে এত টাকা! উত্তর খুঁজতে নেমে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে অর্পিতার জীবন সম্পর্কে।
কলেজের পড়াশোনা শেষ হওয়ার কিছু দিন পর অর্পিতার বাবা প্রয়াত হন। তখন মডেলিংয়ের পাশাপাশি অভিনয়েরও চেষ্টা করছেন অর্পিতা। বাবার কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিটি তাঁর কন্যাকে দেওয়ার প্রস্তাব এসেছিল। তবে অর্পিতা সেই চাকরি নিতে রাজি হননি। অর্পিতার মায়ের কথায়, ‘‘তখন ও মডেলিং, অভিনয় করছে। ওড়িয়া আর তামিল ছবিতেও অভিনয় করা শুরু করেছে। চাকরির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল ও।’’
সেই অনুপ তাঁর ছবির অভিনেত্রীর বাড়ি থেকে সাড়ে ২২ কোটি টাকা উদ্ধারের খবরে চমৎকৃত। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘‘আমার ‘মামা-ভাগ্নে’, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’, ‘বাংলা বাঁচাও’ ছবিতে পরপর কাজ করেছিলেন অর্পিতা। তার পরে আর যোগাযোগ রাখেননি। ১২ বছর পরে খবরের শিরোনামে তিনিই! জেনে অবাক লাগছে।’’ তার পরেই দাবি, ‘‘লোভ মানুষকে কোথায় নামিয়ে আনে।’’
চমকেছেন বিজেপির কলকাতা জেলা সভাপতি তথা চলচ্চিত্র পরিচালক সংঘমিত্রা চৌধুরীও। সংঘমিত্রা বলেছেন, ‘‘আমার দু’টি সিনেমায় অভিনয় করেছিল ও। ‘দ্য ভুত অব রোজভিল’ আর ‘বিদেহীর খোঁজে রবীন্দ্রনাথ’। আমার এক পরিচিত যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিল। ২০১১ সালে ও আমার ছবির শ্যুটিংয়ে আসত বাসে, ট্রেনে চড়ে। আমাকে বলা হয়েছিল, অর্পিতা রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে।’’
২০১৯ সালে নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন অর্পিতা। ঘটনাচক্রে, সেই পুজোও রাজ্যের মন্ত্রী পার্থের পুজো হিসেবেই পরিচিত। তথাকথিত টলিউডের ‘পার্শ্বচরিত্রের’ অভিনেত্রী অবশ্য নাকতলায় ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে জায়গা নেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের। পর পর দু’বছর নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন অর্পিতা।
অর্পিতার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের ছবিতে চোখ রাখলে দেখা যায়, বিলাসবহুল জীবন যাপন করতেন অর্পিতা। বেশ কয়েকবা র বিদেশ যাত্রাও করেছেন তিনি। গিয়েছেন ব্যাঙ্ককেও। ইডির একটি সূত্রের প্রশ্ন, গত কয়েক বছরে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনও কাজ না করেও এই বিপুল অর্থ কোথা থেকে যোগাতেন অভিনেত্রী? অভিনেত্রীর মা মিনতি অবশ্য জানিয়েছেন, মেয়ের যে এত সম্পত্তি তা জানাই ছিল না তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy