অন্য দিকে খান স্যর পরেছিলেন গাঢ় বাদামি রঙের সুট। সঙ্গে গোলাপি রঙের জামা আর লাল রঙের টাই। স্বামীর হাত ধরে অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতে দেখা গিয়েছে খান স্যরের স্ত্রীকে। অতিথিরা গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে দিয়ে বরণ করেছেন নবদম্পতিকে। তাঁর সলজ্জ হাসি ঘোমটার আড়ালেও সকলের চোখে পড়েছে, যা নেটিজেনদের মন জয় করে নিয়েছে।
দাম্পত্যসঙ্গীর পরিচয় জানানোর বিষয়ে কিছুটা অনুৎসাহী এই শিক্ষক। বিয়ে নিয়ে খুব বেশি তথ্য প্রকাশ্যে আনতে চাননি খান স্যর। সংবাদমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, খান স্যরের স্ত্রীর নাম এ এস খান। তিনি বিহারের সিওয়ানের বাসিন্দা এবং তাঁর স্বামীর মতোই উচ্চশিক্ষিত। আইএসসি বোর্ডের নামী স্কুল থেকে পড়াশোন শেষ করেছেন। তবে তাঁর সঠিক শিক্ষাগত যোগ্যতা কী তা জানা যায়নি।
বিয়ে কী ভাবে সম্পন্ন হল তা জানাতে গিয়ে খান স্যর বলেন, ‘‘প্রথমে আমি বিয়ে স্থগিত রেখে সীমান্তে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করা সৈন্যদের সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার বাবা-মায়ের পরিকল্পনায় সব কিছু ঠিক হয়ে গিয়েছিল। তাঁদের হতাশ করতে চাইনি আমি।’’ মূলত ভাইদের পরামর্শেই তাঁর বাবা-মা তাঁকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন বলে জানিয়েছেন খান স্যর।
খান স্যরও তার জবাব দেন। খান স্যরকে তাঁর বিয়ের তারিখ জিজ্ঞাসা করেন তেজস্বী। তার পরেই উত্তর ধেয়ে আসে তাঁর দিকে। খান স্যর বলে ওঠেন, ‘‘ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের উত্তেজনার সময় বিয়ে সেরে ফেলেছি। আমি আপনার মডেলটি ঠিক অনুসরণ করেছিলাম, স্যর।’’ তেজস্বী এবং মঞ্চে উপস্থিত সকলের মধ্যে হাসির রোল পড়ে যায়। আরজেডি নেতা হাসতে হাসতে জবাব দেন, বিয়ে যে ভাবেই হোক না কেন, অভ্যর্থনা সঠিক ভাবে হয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চলাকালীনই তিনি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান করে বিয়ে সেরে ফেলেছেন। কারণ বিয়ের তারিখ পূর্বনির্ধারিত ছিল। ঘটনাচক্রে সেই মুহূর্তে দেশের উপর হামলা হয়। দেশের উত্তেজনাময় পরিস্থিতিতে অনাড়ম্বর ভাবে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিলেন খান স্যর। তিনি পরিবারকে জানান, একটি শর্তেই বিয়েতে রাজি হবেন। বিয়ের দিন কাউকে আমন্ত্রণ জানানো যাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy