Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
ICC World Cup 2023

৮-০ না কি ৭-১? শনিবার রোহিত-বাবর যুদ্ধের পর কী হবে ফল? পাকিস্তানের গোল্লার ইতিহাস

এক দিনের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসরে এক বারও ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। শনিবার বিশ্বকাপের লড়াইয়ে আমদাবাদে আবার ভারতের সামনে পাকিস্তান। এ বার খেলার ফল কী হবে?

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:০০
Share: Save:
০১ ১৮
১৯৯২ থেকে ২০১৯, সিডনি থেকে ম্যানচেস্টার— বিশ্বের সেরা ক্রিকেটের আসর বিশ্বকাপে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের প্রতিটিতেই শেষ হাসি হেসেছেন ভারতীয়রা। শনিবার আরও একটা বিশ্বকাপে আবারও ভারত-পাক ডুয়েল। ২০২৩-এর বিশ্বকাপে সেই মহা আকর্ষণীয় ম্যাচ হতে চলেছে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। এ বার কি হিসাবটা বদলাবে? না কি ৮-০-এর হাসি নিয়েই ড্রেসিংরুমে ফিরবেন রোহিত, কোহলি, পাণ্ড্যরা।

১৯৯২ থেকে ২০১৯, সিডনি থেকে ম্যানচেস্টার— বিশ্বের সেরা ক্রিকেটের আসর বিশ্বকাপে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের প্রতিটিতেই শেষ হাসি হেসেছেন ভারতীয়রা। শনিবার আরও একটা বিশ্বকাপে আবারও ভারত-পাক ডুয়েল। ২০২৩-এর বিশ্বকাপে সেই মহা আকর্ষণীয় ম্যাচ হতে চলেছে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। এ বার কি হিসাবটা বদলাবে? না কি ৮-০-এর হাসি নিয়েই ড্রেসিংরুমে ফিরবেন রোহিত, কোহলি, পাণ্ড্যরা।

০২ ১৮
গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ হয়ে আসছে। প্রতিটিতেই পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে পাকিস্তানকে। খেলার ফল একপেশে হলেও দুই চিরশত্রুর ম্যাচে ঘটনা কম ঘটেনি। কখনও পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াঁদাদ আবার কখনও ভারতের জোরে বোলার ভেঙ্কটেশ প্রসাদ— চরিত্রের ঘনঘটা যেন ম্যাচের ফলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। আসুন ফিরে দেখা যাক, বিশ্বকাপের আসরে ভারত বনাম পাকিস্তানের খেলার টার্নিং পয়েন্টগুলি।

গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ হয়ে আসছে। প্রতিটিতেই পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে পাকিস্তানকে। খেলার ফল একপেশে হলেও দুই চিরশত্রুর ম্যাচে ঘটনা কম ঘটেনি। কখনও পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াঁদাদ আবার কখনও ভারতের জোরে বোলার ভেঙ্কটেশ প্রসাদ— চরিত্রের ঘনঘটা যেন ম্যাচের ফলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। আসুন ফিরে দেখা যাক, বিশ্বকাপের আসরে ভারত বনাম পাকিস্তানের খেলার টার্নিং পয়েন্টগুলি।

০৩ ১৮
এক দিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারত বনাম পাকিস্তান প্রথম বার মুখোমুখি হয়েছিল ১৯৯২ সালে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। সে বছর মার্চের চতুর্থ দিন সিডনির মাটিতে টস করতে নেমেছিলেন ভারতের মহম্মদ আজহারউদ্দিন এবং পাকিস্তানের অধিনায়ক ইমরান খান। ৪৯ ওভারে ভারত করে ২১৬ রান। বিস্ময়বালক সচিন তেন্ডুলকর ৬২ বলে করেছিলেন ৫৪ পান। সেটাই সর্বোচ্চ। অজয় জাডেজা করেছিলেন ৭৭ বলে ৪৬ রান।

এক দিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারত বনাম পাকিস্তান প্রথম বার মুখোমুখি হয়েছিল ১৯৯২ সালে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। সে বছর মার্চের চতুর্থ দিন সিডনির মাটিতে টস করতে নেমেছিলেন ভারতের মহম্মদ আজহারউদ্দিন এবং পাকিস্তানের অধিনায়ক ইমরান খান। ৪৯ ওভারে ভারত করে ২১৬ রান। বিস্ময়বালক সচিন তেন্ডুলকর ৬২ বলে করেছিলেন ৫৪ পান। সেটাই সর্বোচ্চ। অজয় জাডেজা করেছিলেন ৭৭ বলে ৪৬ রান।

০৪ ১৮
ভারতের ২১৬ রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকেন ইনজ়ামাম, মিয়াঁদাদ, ইমরানেরা। কপিল, প্রভাকর এবং শ্রীনাথ নেন তিনটি করে উইকেট। সচিন এবং রাজুর দখলে গিয়েছিল একটি করে উইকেট। সেই ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ রান আমির সোহেলের (৯৫ বলে ৬২)। শেষ পর্যন্ত, সচিনই ফেরান তাঁকে। মিয়াঁদাদ (১১০ বলে ৪০ রান) চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু বাকি কারও সহায়তা পাননি। ভারতের জয়ই শুধু নয়, সেই ম্যাচ স্মরণীয় হয়ে থাকবে মিয়াঁদাদের লাফের কারণে। যে লাফ দিয়ে ভারতের উইকেটরক্ষক কিরণ মোরের সঙ্গে ঝামেলাতেও জড়িয়ে পড়েছিলেন পাকিস্তানের তারকা ব্যাটার। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সিডনির সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে হার স্বীকার করতে হয় ৪৩ রানে। ম্যাচের সেরা হন সচিন।

ভারতের ২১৬ রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকেন ইনজ়ামাম, মিয়াঁদাদ, ইমরানেরা। কপিল, প্রভাকর এবং শ্রীনাথ নেন তিনটি করে উইকেট। সচিন এবং রাজুর দখলে গিয়েছিল একটি করে উইকেট। সেই ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ রান আমির সোহেলের (৯৫ বলে ৬২)। শেষ পর্যন্ত, সচিনই ফেরান তাঁকে। মিয়াঁদাদ (১১০ বলে ৪০ রান) চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু বাকি কারও সহায়তা পাননি। ভারতের জয়ই শুধু নয়, সেই ম্যাচ স্মরণীয় হয়ে থাকবে মিয়াঁদাদের লাফের কারণে। যে লাফ দিয়ে ভারতের উইকেটরক্ষক কিরণ মোরের সঙ্গে ঝামেলাতেও জড়িয়ে পড়েছিলেন পাকিস্তানের তারকা ব্যাটার। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সিডনির সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে হার স্বীকার করতে হয় ৪৩ রানে। ম্যাচের সেরা হন সচিন।

০৫ ১৮
১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপের আসর বসেছিল ভারতীয় উপমহাদেশে। আর সেই আসরে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ পড়েছিল বেঙ্গালুরুতে (সাবেক ব্যাঙ্গালোর)। দিনরাতের সেই ম্যাচে ভারত প্রথম ব্যাট করে তোলে ২৮৭ রান। সৌজন্যে নভজ্যোৎ সিংহ সিধুর ১১৫ বলে ৯৩ রান। যোগ্য সহায়তা দেন জাডেজা (২৫ বলে ৪৫ রান), সচিন (৫৯ বলে ৩১)। সেই ম্যাচে ভারতের ব্যাটিংয়ের একেবারে শেষ দিকে জাডেজা বনাম ওয়াকার ইউনুস দ্বৈরথ কে ভুলতে পারে? জাডেজার ব্যাটের দাপটে ইউনুস সে দিন ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন ৬৭ রান।

১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপের আসর বসেছিল ভারতীয় উপমহাদেশে। আর সেই আসরে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ পড়েছিল বেঙ্গালুরুতে (সাবেক ব্যাঙ্গালোর)। দিনরাতের সেই ম্যাচে ভারত প্রথম ব্যাট করে তোলে ২৮৭ রান। সৌজন্যে নভজ্যোৎ সিংহ সিধুর ১১৫ বলে ৯৩ রান। যোগ্য সহায়তা দেন জাডেজা (২৫ বলে ৪৫ রান), সচিন (৫৯ বলে ৩১)। সেই ম্যাচে ভারতের ব্যাটিংয়ের একেবারে শেষ দিকে জাডেজা বনাম ওয়াকার ইউনুস দ্বৈরথ কে ভুলতে পারে? জাডেজার ব্যাটের দাপটে ইউনুস সে দিন ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন ৬৭ রান।

০৬ ১৮
ভারত-পাক ম্যাচ হবে আর তাতে উত্তেজক কিছু ঘটবে না, তা আবার হয় না কি! বেঙ্গালুরুর সেই কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ মহানাটকীয় হয়ে ওঠে পাকিস্তান ব্যাট হাতে নামার পর। পাক ওপেনার আমির সোহেল ম্যাচের ১৫তম ওভারে স্টেপ আউট করে কভার অঞ্চল দিয়ে সপাটে চার মারেন ভেঙ্কটেশ প্রসাদকে। বল আগুনের গোলার মতো ছুটে গিয়ে বাউন্ডারি পেরিয়ে যায়। উত্তেজনা দমিয়ে রাখতে না পেরে আমির এ বার আঙুল তুলে প্রসাদকে কার্যত শাসানি দেন। আঙুল উঁচিয়ে প্রসাদকে দেখিয়ে বলেন, ‘‘পরের বল এখান দিয়েই আবার মারব। পারলে থামিয়ে দেখাও!’’ ক্রিকেট জীবনের শুরু থেকে বেঙ্গালুরুর মাঠে খেলে চলা প্রসাদকেও হয়তো রাগিয়ে দিয়েছিল আমিরের ঔদ্ধত্য। প্রসাদ জানতেন, লেংথ একটু খাটো করে অফ স্ট্যাম্প বরাবর বল কভারে ঠেলতে সোহেল সমস্যায় পড়বেন। সেই মতো একটু শর্ট লেংথে রেখেছিলেন বল, সোহেল কভারে মারতে গিয়ে সরাসরি বোল্ড হয়ে যান। সেই ম্যাচে পাকিস্তান হারে ৩৯ রানে। ম্যাচের সেরা হন সিধু।

ভারত-পাক ম্যাচ হবে আর তাতে উত্তেজক কিছু ঘটবে না, তা আবার হয় না কি! বেঙ্গালুরুর সেই কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ মহানাটকীয় হয়ে ওঠে পাকিস্তান ব্যাট হাতে নামার পর। পাক ওপেনার আমির সোহেল ম্যাচের ১৫তম ওভারে স্টেপ আউট করে কভার অঞ্চল দিয়ে সপাটে চার মারেন ভেঙ্কটেশ প্রসাদকে। বল আগুনের গোলার মতো ছুটে গিয়ে বাউন্ডারি পেরিয়ে যায়। উত্তেজনা দমিয়ে রাখতে না পেরে আমির এ বার আঙুল তুলে প্রসাদকে কার্যত শাসানি দেন। আঙুল উঁচিয়ে প্রসাদকে দেখিয়ে বলেন, ‘‘পরের বল এখান দিয়েই আবার মারব। পারলে থামিয়ে দেখাও!’’ ক্রিকেট জীবনের শুরু থেকে বেঙ্গালুরুর মাঠে খেলে চলা প্রসাদকেও হয়তো রাগিয়ে দিয়েছিল আমিরের ঔদ্ধত্য। প্রসাদ জানতেন, লেংথ একটু খাটো করে অফ স্ট্যাম্প বরাবর বল কভারে ঠেলতে সোহেল সমস্যায় পড়বেন। সেই মতো একটু শর্ট লেংথে রেখেছিলেন বল, সোহেল কভারে মারতে গিয়ে সরাসরি বোল্ড হয়ে যান। সেই ম্যাচে পাকিস্তান হারে ৩৯ রানে। ম্যাচের সেরা হন সিধু।

০৭ ১৮
১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপকে যত দ্রুত সম্ভব ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ভারতীয় সমর্থকেরা। সামগ্রিক ভাবে ওই বিশ্বকাপে ভারতের ফল হতাশাজনক হলেও পাকিস্তানের পক্ষে সে বারও ভারতকে হারানো সম্ভব হয়নি। সে বার বিশ্বকাপের ভারত-পাক ম্যাচ হয়েছিল ম্যানচেস্টারে। ভারত প্রথমে ব্যাট করে তোলে ২২৭ রান। জবাবে ১৮০ রানে বান্ডিল হয়ে যায় ওয়াসিম আক্রমের পাকিস্তান। ম্যান অফ দ্য ম্যাচের শিরোপা ছিনিয়ে নেন সেই ভেঙ্কটেশ প্রসাদ। নিজের কোটার ১০ ওভারে মাত্র ২৭ রান দিয়ে পাকিস্তানের ৫টি উইকেট দখল করেন তিনি। এর পর আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তান।

১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপকে যত দ্রুত সম্ভব ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ভারতীয় সমর্থকেরা। সামগ্রিক ভাবে ওই বিশ্বকাপে ভারতের ফল হতাশাজনক হলেও পাকিস্তানের পক্ষে সে বারও ভারতকে হারানো সম্ভব হয়নি। সে বার বিশ্বকাপের ভারত-পাক ম্যাচ হয়েছিল ম্যানচেস্টারে। ভারত প্রথমে ব্যাট করে তোলে ২২৭ রান। জবাবে ১৮০ রানে বান্ডিল হয়ে যায় ওয়াসিম আক্রমের পাকিস্তান। ম্যান অফ দ্য ম্যাচের শিরোপা ছিনিয়ে নেন সেই ভেঙ্কটেশ প্রসাদ। নিজের কোটার ১০ ওভারে মাত্র ২৭ রান দিয়ে পাকিস্তানের ৫টি উইকেট দখল করেন তিনি। এর পর আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তান।

০৮ ১৮
ম্যানচেস্টারের সেই ম্যাচে দুরন্ত খেলেছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। শোয়েব, ওয়াসিম, সাকলিনদের অবলীলায় সামলে করেছিলেন লড়াকু ৬১ রান। ঘটনাচক্রে, শনিবার আমদাবাদের মাটিতে যে ভারতীয় ক্রিকেট দল পাকিস্তানের টক্কর নিতে নামতে চলেছে, সেই দলের প্রধান কোচের নাম রাহুল দ্রাবিড়। স্বভাবতই ম্যানচেস্টারের পুনরাবৃত্তির স্বপ্নে মশগুল রোহিত, কোহলিদের সমর্থককুল। সেই ম্যাচে আজহার করেছিলেন ৭৭ বলে ৫৯ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে একমাত্র ইনজ়ামাম ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি তিন দক্ষিণী, প্রসাদ (৫ উইকেট), কুম্বলে (২ উইকেট) এবং শ্রীনাথের (৩ উইকেট) সামনে।

ম্যানচেস্টারের সেই ম্যাচে দুরন্ত খেলেছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। শোয়েব, ওয়াসিম, সাকলিনদের অবলীলায় সামলে করেছিলেন লড়াকু ৬১ রান। ঘটনাচক্রে, শনিবার আমদাবাদের মাটিতে যে ভারতীয় ক্রিকেট দল পাকিস্তানের টক্কর নিতে নামতে চলেছে, সেই দলের প্রধান কোচের নাম রাহুল দ্রাবিড়। স্বভাবতই ম্যানচেস্টারের পুনরাবৃত্তির স্বপ্নে মশগুল রোহিত, কোহলিদের সমর্থককুল। সেই ম্যাচে আজহার করেছিলেন ৭৭ বলে ৫৯ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে একমাত্র ইনজ়ামাম ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি তিন দক্ষিণী, প্রসাদ (৫ উইকেট), কুম্বলে (২ উইকেট) এবং শ্রীনাথের (৩ উইকেট) সামনে।

০৯ ১৮
এ যাবৎ বিশ্বকাপের খাতায়-কলমে হিসাবে পাকিস্তানের সবচেয়ে শক্তিশালী দল ছিল ২০০৩ সালে। সে বার বিশ্বকাপের আসর বসে দক্ষিণ আফ্রিকায়। আর পেস সহায়ক উইকেটে পাক দলের জোরে বোলিং বিভাগের পুরোভাগে ছিলেন ওয়াসিম, ইউনিস এবং আখতার। যাকে যে কোনও মানদণ্ডে বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা বললে ভুল হয় না। সব হিসাব বদলানোর পণ নিয়ে সে দিন মাঠে নেমেছিলেন সবুজ জার্সিধারীরা। টসে জিতে ব্যাট করতে যাওয়াও তারই নিদর্শন। পাক ওপেনার সইদ আনোয়ারের শতরানের দৌলতে পাকিস্তান নির্ধারিত ৫০ ওভারে তোলে ২৭৩ রান। যা তাড়া করা যে কোনও দলের পক্ষেই কঠিন। আর বিপক্ষে যদি ওয়াসিম, আখতার, ওয়াকারের ত্রিফলা জুটিকে সামলাতে হয়, তা হলে হয়তো কঠিনতম রানতাড়া বললেও ভুল হয় না।

এ যাবৎ বিশ্বকাপের খাতায়-কলমে হিসাবে পাকিস্তানের সবচেয়ে শক্তিশালী দল ছিল ২০০৩ সালে। সে বার বিশ্বকাপের আসর বসে দক্ষিণ আফ্রিকায়। আর পেস সহায়ক উইকেটে পাক দলের জোরে বোলিং বিভাগের পুরোভাগে ছিলেন ওয়াসিম, ইউনিস এবং আখতার। যাকে যে কোনও মানদণ্ডে বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা বললে ভুল হয় না। সব হিসাব বদলানোর পণ নিয়ে সে দিন মাঠে নেমেছিলেন সবুজ জার্সিধারীরা। টসে জিতে ব্যাট করতে যাওয়াও তারই নিদর্শন। পাক ওপেনার সইদ আনোয়ারের শতরানের দৌলতে পাকিস্তান নির্ধারিত ৫০ ওভারে তোলে ২৭৩ রান। যা তাড়া করা যে কোনও দলের পক্ষেই কঠিন। আর বিপক্ষে যদি ওয়াসিম, আখতার, ওয়াকারের ত্রিফলা জুটিকে সামলাতে হয়, তা হলে হয়তো কঠিনতম রানতাড়া বললেও ভুল হয় না।

১০ ১৮
পাকিস্তানের ২৭৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নামেন সচিন, সহবাগ জুটি। অন্য ম্যাচগুলিতে সহবাগ ব্যাটিং শুরু করছিলেন। কিন্তু সেঞ্চুরিয়ন অবাক হয়ে দেখল, প্রথম ওভারে আক্রমকে খেলতে লেগ স্ট্যাম্প গার্ড নিচ্ছেন সচিন। তার পর বাকিটা ইতিহাস। এক দিনের ক্রিকেটে অনেক ব্যাটার অনেক স্মরণীয় ইনিংস খেলেছেন। কিন্তু সচিন সে দিন যে খেলার নমুনা তুলে ধরেন, তাকে বাকিদের সঙ্গে মেলানো মুশকিল। আপার কাটে শোয়েবকে ছক্কা, স্কোয়ার কাটে ওয়াসিমকে বাউন্ডারির বাইরে ফেলা থেকে ইউনিসকে বাঁধিয়ে রাখার মতো বোলার্স ব্যাক— এক দিনের ক্রিকেট ইতিহাসে সচিনের ৭৫ বলে ৯৮ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস স্থায়ী ছাপ ফেলে গিয়েছিল। চোট পেয়ে শোয়েবের লাফিয়ে ওঠা বলে আউট হলেও কাজের কাজ তত ক্ষণে সারা। সচিন-বিক্রমে ২৬ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ পকেটে পুরে ফেলে ভারত। ম্যাচের সেরা সেই সচিন।

পাকিস্তানের ২৭৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নামেন সচিন, সহবাগ জুটি। অন্য ম্যাচগুলিতে সহবাগ ব্যাটিং শুরু করছিলেন। কিন্তু সেঞ্চুরিয়ন অবাক হয়ে দেখল, প্রথম ওভারে আক্রমকে খেলতে লেগ স্ট্যাম্প গার্ড নিচ্ছেন সচিন। তার পর বাকিটা ইতিহাস। এক দিনের ক্রিকেটে অনেক ব্যাটার অনেক স্মরণীয় ইনিংস খেলেছেন। কিন্তু সচিন সে দিন যে খেলার নমুনা তুলে ধরেন, তাকে বাকিদের সঙ্গে মেলানো মুশকিল। আপার কাটে শোয়েবকে ছক্কা, স্কোয়ার কাটে ওয়াসিমকে বাউন্ডারির বাইরে ফেলা থেকে ইউনিসকে বাঁধিয়ে রাখার মতো বোলার্স ব্যাক— এক দিনের ক্রিকেট ইতিহাসে সচিনের ৭৫ বলে ৯৮ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস স্থায়ী ছাপ ফেলে গিয়েছিল। চোট পেয়ে শোয়েবের লাফিয়ে ওঠা বলে আউট হলেও কাজের কাজ তত ক্ষণে সারা। সচিন-বিক্রমে ২৬ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ পকেটে পুরে ফেলে ভারত। ম্যাচের সেরা সেই সচিন।

১১ ১৮
২০১১ সালের বিশ্বকাপের আসর বসেছিল ভারতে। মোহালির সেই ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং করেছিল ভারত। সচিনের ব্যাট থেকে এসেছিল মূল্যবান ৮৫ রান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ভারত করেছিল ২৬০ রান। পাকিস্তানের ওয়াহাব রিয়াজ় নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। দু’টি উইকেট পেয়েছিলেন আর এক স্পিনার সৈয়দ আজমল।

২০১১ সালের বিশ্বকাপের আসর বসেছিল ভারতে। মোহালির সেই ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং করেছিল ভারত। সচিনের ব্যাট থেকে এসেছিল মূল্যবান ৮৫ রান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ভারত করেছিল ২৬০ রান। পাকিস্তানের ওয়াহাব রিয়াজ় নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। দু’টি উইকেট পেয়েছিলেন আর এক স্পিনার সৈয়দ আজমল।

১২ ১৮
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান শেষ হয়ে যায় ২৩১ রানে। সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন মিসবা উল হক। ভারত সে বার মোট ৫ জন বোলারকে ব্যবহার করেছিল। প্রত্যেকেই দু’টি করে উইকেট পান। কিন্তু মিসবার দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই ব্যর্থ হয় অন্য কারও সহায়তা না পেয়ে। ওপেনার মহম্মদ হাফিজ় (৫৯ বলে ৪৩ রান) চেষ্টা করেছিলেন বটে, কিন্তু মিডল অর্ডারের ব্যাটারেরা লাইন দিয়ে ব্যর্থ হন। অতঃপর, অন্যান্য বারের মতো মোহালিতেও হারের মুখ দেখতে বাধ্য হয় প্রতিবেশী পাকিস্তান। এ নিয়ে বিশ্বকাপের খেলায় পঞ্চম লড়াইয়েও হতাশ হয়েই ফিরতে হয় ওয়াগার ও পারের খেলোয়াড়দের।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান শেষ হয়ে যায় ২৩১ রানে। সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন মিসবা উল হক। ভারত সে বার মোট ৫ জন বোলারকে ব্যবহার করেছিল। প্রত্যেকেই দু’টি করে উইকেট পান। কিন্তু মিসবার দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই ব্যর্থ হয় অন্য কারও সহায়তা না পেয়ে। ওপেনার মহম্মদ হাফিজ় (৫৯ বলে ৪৩ রান) চেষ্টা করেছিলেন বটে, কিন্তু মিডল অর্ডারের ব্যাটারেরা লাইন দিয়ে ব্যর্থ হন। অতঃপর, অন্যান্য বারের মতো মোহালিতেও হারের মুখ দেখতে বাধ্য হয় প্রতিবেশী পাকিস্তান। এ নিয়ে বিশ্বকাপের খেলায় পঞ্চম লড়াইয়েও হতাশ হয়েই ফিরতে হয় ওয়াগার ও পারের খেলোয়াড়দের।

১৩ ১৮
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে। ডনের ঘরের মাঠে সে বারও হতাশ হয়েই ফিরতে হয় পাকিস্তানকে। ১৫ ফেব্রুয়ারি টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করেছিল ভারত। রোহিত বেশি ক্ষণ না টিকলেও অন্য ওপেনার শিখর ধওয়ান ৭৬ বলে মূল্যবান ৭৩ রানের ইনিংস খেলে দিয়ে যান। তার পর শুরু হয় বিরাট-তাণ্ডব। সে দিন ১২৬ বলে কোহলি করেছিলেন ১০৭ রান। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করে যান সুরেশ রায়না (৫৬ বলে ৭৪ রান) এবং অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (১৩ বলে ১৮ রান)। সাত উইকেট হারিয়ে ভারত তোলে ৩০০ রান।

২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে। ডনের ঘরের মাঠে সে বারও হতাশ হয়েই ফিরতে হয় পাকিস্তানকে। ১৫ ফেব্রুয়ারি টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করেছিল ভারত। রোহিত বেশি ক্ষণ না টিকলেও অন্য ওপেনার শিখর ধওয়ান ৭৬ বলে মূল্যবান ৭৩ রানের ইনিংস খেলে দিয়ে যান। তার পর শুরু হয় বিরাট-তাণ্ডব। সে দিন ১২৬ বলে কোহলি করেছিলেন ১০৭ রান। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করে যান সুরেশ রায়না (৫৬ বলে ৭৪ রান) এবং অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (১৩ বলে ১৮ রান)। সাত উইকেট হারিয়ে ভারত তোলে ৩০০ রান।

১৪ ১৮
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিল পাকিস্তান। ওপেনার ইউনিস খান আগে আউট হওয়ার পর খেলার রাশ ধরেন আহমেদ শেহজ়াদ, হ্যারিস সোহেল এবং অধিনায়ক মিসবা। কিন্তু মহম্মদ শামির কল্যাণে বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়নি পাক-দাপট। সামি একাই নেন ৪ উইকেট। যোগ্য সঙ্গত আসে উমেশ যাদব (২ উইকেট), মোহিত শর্মা (২ উইকেট)-র কাছ থেকে। পাকিস্তান ব্যাটারেরা ৪৭ ওভারে গুটিয়ে যান মাত্র ২২৪ রানে। ম্যাচের সেরার শিরোপা নিয়ে যান শতরানকারী কোহলি।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিল পাকিস্তান। ওপেনার ইউনিস খান আগে আউট হওয়ার পর খেলার রাশ ধরেন আহমেদ শেহজ়াদ, হ্যারিস সোহেল এবং অধিনায়ক মিসবা। কিন্তু মহম্মদ শামির কল্যাণে বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়নি পাক-দাপট। সামি একাই নেন ৪ উইকেট। যোগ্য সঙ্গত আসে উমেশ যাদব (২ উইকেট), মোহিত শর্মা (২ উইকেট)-র কাছ থেকে। পাকিস্তান ব্যাটারেরা ৪৭ ওভারে গুটিয়ে যান মাত্র ২২৪ রানে। ম্যাচের সেরার শিরোপা নিয়ে যান শতরানকারী কোহলি।

১৫ ১৮
দু’দেশের মধ্যে এই পর্যায়ের শেষতম ডুয়েলটি হয়েছিল ২০১৯ সালের ১৬ জুন, ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে। ’১৯ বিশ্বকাপের সেই লড়াইয়ে বিশ্বকাপের মাপকাঠিতে সবচেয়ে বড় জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারত। সে বার টসে অবশ্য জিতেছিল পাকিস্তান। জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। ম্যানচেস্টারের সেই ম্যাচে জ্বলে উঠেছিলেন রোহিত। ওপেনিং জুটিতে একশোর বেশি রান ওঠে। রোহিত ১১৩ বল খেলে একাই করেন ১৪০ রান। তার মধ্যে ছিল ১৪টি বাউন্ডারি এবং তিনটি বিশাল ছক্কা। কোহলি তিন নম্বরে নেমে করেছিলেন ৬৫ বলে ৭৭ রান। ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তোলে ৩৩৬ রান।

দু’দেশের মধ্যে এই পর্যায়ের শেষতম ডুয়েলটি হয়েছিল ২০১৯ সালের ১৬ জুন, ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে। ’১৯ বিশ্বকাপের সেই লড়াইয়ে বিশ্বকাপের মাপকাঠিতে সবচেয়ে বড় জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারত। সে বার টসে অবশ্য জিতেছিল পাকিস্তান। জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। ম্যানচেস্টারের সেই ম্যাচে জ্বলে উঠেছিলেন রোহিত। ওপেনিং জুটিতে একশোর বেশি রান ওঠে। রোহিত ১১৩ বল খেলে একাই করেন ১৪০ রান। তার মধ্যে ছিল ১৪টি বাউন্ডারি এবং তিনটি বিশাল ছক্কা। কোহলি তিন নম্বরে নেমে করেছিলেন ৬৫ বলে ৭৭ রান। ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তোলে ৩৩৬ রান।

১৬ ১৮
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অন্যতম ওপেনার ইমাম উল হকের উইকেট হারায় পাকিস্তান। তাঁকে এলবিডব্লিউ করে দেন বিজয় শঙ্কর। তার পর ফকর জ়ামান এবং বাবর আজ়ম খেলা ধরার চেষ্টা করেছিলেন বটে কিন্তু লাভ হয়নি। বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই ম্যাচে ৮৯ রানে পরাজিত হয় পাকিস্তান। এ বার কোহলির অধিনায়কত্বে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন শতরানকারী রোহিত।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অন্যতম ওপেনার ইমাম উল হকের উইকেট হারায় পাকিস্তান। তাঁকে এলবিডব্লিউ করে দেন বিজয় শঙ্কর। তার পর ফকর জ়ামান এবং বাবর আজ়ম খেলা ধরার চেষ্টা করেছিলেন বটে কিন্তু লাভ হয়নি। বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই ম্যাচে ৮৯ রানে পরাজিত হয় পাকিস্তান। এ বার কোহলির অধিনায়কত্বে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন শতরানকারী রোহিত।

১৭ ১৮
আবারও একটা বিশ্বকাপ। আবারও মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান। এ বার ফলাফল কী হবে? পাকিস্তান কি বরাবরের হিসাব পাল্টে আমদাবাদের মাটিতে বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম জয় ছিনিয়ে নিতে পারবে? না কি প্রতি বারের মতো এ বারও শেষ হাসি হাসবে সেই ভারতই?

আবারও একটা বিশ্বকাপ। আবারও মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান। এ বার ফলাফল কী হবে? পাকিস্তান কি বরাবরের হিসাব পাল্টে আমদাবাদের মাটিতে বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম জয় ছিনিয়ে নিতে পারবে? না কি প্রতি বারের মতো এ বারও শেষ হাসি হাসবে সেই ভারতই?

১৮ ১৮
খেলা শুরুর আগে সামগ্রিক ভাবে দেখে মনে হচ্ছে, পাকিস্তানের এ বারের দল যথেষ্ট জমাট। দলে যেমন পেস বোলিং আঁটসাঁট, তেমনই সম্পূর্ণ অ-পাকিস্তানসুলভ ব্যাপার হল, এ বার পাক দলের ব্যাটিং গভীরতাও বেশ ভাল। মিডল অর্ডারের ব্যাটারেরা নিয়মিত রানের মধ্যে আছেন। তারকা জোরে বোলার নাসিম শাহকে না পাওয়া যদি পাকিস্তানের কাছে ধাক্কা হয়, তা হলে বলতে হবে, সেই অভাব অনেকখানি ঢেকে দিচ্ছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং হ্যারিস রউফ জুটি। আমদাবাদের মাটিতে কি উলটপুরাণ হবে? ভারত কিন্তু যাবতীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত। অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার।

খেলা শুরুর আগে সামগ্রিক ভাবে দেখে মনে হচ্ছে, পাকিস্তানের এ বারের দল যথেষ্ট জমাট। দলে যেমন পেস বোলিং আঁটসাঁট, তেমনই সম্পূর্ণ অ-পাকিস্তানসুলভ ব্যাপার হল, এ বার পাক দলের ব্যাটিং গভীরতাও বেশ ভাল। মিডল অর্ডারের ব্যাটারেরা নিয়মিত রানের মধ্যে আছেন। তারকা জোরে বোলার নাসিম শাহকে না পাওয়া যদি পাকিস্তানের কাছে ধাক্কা হয়, তা হলে বলতে হবে, সেই অভাব অনেকখানি ঢেকে দিচ্ছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং হ্যারিস রউফ জুটি। আমদাবাদের মাটিতে কি উলটপুরাণ হবে? ভারত কিন্তু যাবতীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত। অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE