সম্প্রতি তেমনই একটা মন্তব্য করতে গিয়ে বিপদে পড়েছেন সিদ্ধার্থ। মোদীকে আক্রমণ করতে গিয়ে তিনি কটাক্ষ করেছেন দেশের ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন সাইনা নেহাওয়ালকে। সাইনার একটি টুইটে ইঙ্গিতবহ মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছিলেন দক্ষিণী অভিনেতা । যাকে অশ্লীল, কুরুচিকর এবং যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ আখ্যা দিয়ে রে রে করে উঠেছেন দেশের নারীবাদী এবং নেট ব্যবহারকারীরা।
পঞ্জাবে মোদীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনাটি নিয়ে নেট মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন সাইনা। লিখেছিলেন, বিষয়টির তীব্র নিন্দা করছেন তিনি। মোদীর উপর এই আক্রমণের ঘটনা কাপুরুষোচিত। সাইনার সেই টুইটটিকেই কটাক্ষ করে সিদ্ধার্থ লেখেন, ‘‘ইনি বিশ্বের শাটল কক চ্যাম্পিয়ন, ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে ভারতের রক্ষক আছে।’’ এরপর ওই টুইটেই হ্যাশট্যাগে রিহানার নাম উল্লেখ করে সিদ্ধার্থ লেখেন, ‘‘আপনারও লজ্জা হওয়া দরকার রিহানা।’’
তবে তারপরও নারীবাদীদের ক্ষোভ কমেনি। বিপন্ন অভিনেতাকে সহানুভূতি জানাতে এগিয়ে আসেননি কেউ। বরং তাঁকে দোষী প্রমাণ করতে নতুন করে উঠে পড়ে লেগেছেন অনেকে। নেটাগরিকরা খুঁজে বের করেছেন,মহিলাদের লক্ষ্য করে অতীতে সিদ্ধার্থের করা বেশ কিছু বিরূপ মন্তব্য। যা প্রমাণ করে সিদ্ধার্থ আজ নয়, বরাবরই নারী বিদ্বেষী ছিলেন।
সে সময়ে সিদ্ধার্থকে ছেড়ে দক্ষিণী অভিনেতা নাগা চৈতন্যের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সামান্থা। টুইটারে সামান্থা নতুন সম্পর্কের ঘোষণা করার পরই তাঁদের ইঙ্গিত করে একটি টুইট করেন সিদ্ধার্থ। তাতে লেখা ছিল, ‘‘নাগুরের বিরিয়ানি (সামান্থা)-র কপালে যদি উলুন্দুরপেট্টাইয়ের রাস্তার কুকুরের (নাগা চৈতন্য) পেটে যাওয়াই ভবিতব্য হয়ে থাকে, তবে তা কেউ আটকাতে পারবে না।’’
প্রতারক বলতে সামান্থার কথাই বলতে চেয়েছেন কি না তা প্রশ্ন করা হয়েছিল সিদ্ধার্থকে। তিনি অবশ্য স্বীকার করেননি। কিন্তু সিদ্ধার্থ-সামান্থার ঘনিষ্ঠরা বলেছিলেন, বরাবরই সামান্থার সঙ্গে তাঁর পুরুষ সহকর্মীদের বন্ধুত্ব নিয়ে রক্ষণশীল ছিলেন সিদ্ধার্থ। সিদ্ধার্থের সঙ্গে বিচ্ছেদের কিছুদিনের মধ্যেই সামান্থার নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া ভাল ভাবে নেননি সিদ্ধার্থ।