রাজনের বিরুদ্ধে সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে-কে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। ২০১১ সালের জুন মাসে প্রকাশ্যে খুন হন ওই সাংবাদিক। তাঁর খুনে ছোটা রাজন ছাড়াও সাংবাদিক জিগনা ভোরা-সহ মোট ১২ জনের নাম জড়িয়েছিল। ২০১৮ সালে জিগনা ভোরা বাদে বাকি সকল অভিযুক্তকে এই খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আপাতত তিহাড় জেলে রাখা হয়েছে রাজনকে। সম্প্রতি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি ওয়েব সিরিজ় ‘স্কুপ’ প্রশংসা কুড়িয়েছে।
কেজরীর অপর প্রতিবেশী গ্যাংস্টার নীরজেরও অপরাধের সংখ্যা কম নয়। প্রায় ১৮ বছর আগে অপরাধ জগতে পা দেন তিনি। দিল্লি-এনসিআর এলাকা ছিল তাঁর সাম্রাজ্য। দিল্লির বওয়ানা গ্রামের বাসিন্দা নীরজ। পরে সে নিজের পদবি হিসাবে গ্রামের নামই ব্যবহার করা শুরু করে। দিল্লি-সহ একাধিক রাজ্যে খুন, ডাকাতি, প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার মতো অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
২০১৫ সালে গ্রেফতার হয়েছিলেন নীরজ। খুন, অপহরণ-সহ একাধিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়। বর্তমানে তিহাড় জেলেই রয়েছেন তিনি। অভিযোগ, জেলে বসেই নীরজ তাঁর গ্যাং চালান। তাঁর গ্যাংয়ের সঙ্গে প্রায়ই অন্যান্য গ্যাংয়ের ঝামেলা লেগে থাকে। দিল্লির উপকণ্ঠে অনেক ছোট-বড় গ্যাং আছে। কিন্তু বলা হয়, নীরজের মতো বড় গ্যাং আর নেই। এমন কোনও অপরাধ নেই যা এই গ্যাং করেনি।
কেজরীওয়ালের পাশের সেলে আছেন তাঁর মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্য মণীশ সিসৌদিয়া। আবগারি মামলাতেই মণীশকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এ ছাড়াও দিল্লির প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন রয়েছেন সাত নম্বর সেলে। আর পাঁচ নম্বর সেলে ছিলেন আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহ। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেয়েছেন তিনি।
অন্য বন্দিদের মতোই সুযোগ-সুবিধা পাবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের যা যা বিধিনিষেধ আছে, তাঁর ক্ষেত্রেও সে সবই বহাল থাকবে। তবে তিনি কিছু বাড়তি সুযোগও পাবেন। যেমন, তাঁর সেলে টিভির ব্যবস্থা থাকবে। সংবাদ, বিনোদন এবং খেলাধূলা-সহ ১৮-২০টি চ্যানেল দেখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে কেজরীওয়ালকে। তা ছাড়া তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে সারা দিন চিকিৎসক এবং চিকিৎসাকর্মীর ব্যবস্থা থাকবে। বন্দি অবস্থায় তাঁর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেজরীকে ন’বার সমন পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি প্রতি বারই হাজিরা এড়িয়েছেন। গত ২১ মার্চ ছিল নবম বারের হাজিরার দিন। ইডি দফতরে না গিয়ে কেজরী সে দিন গিয়েছিলেন হাই কোর্টে। রক্ষাকবচের আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। তার পর ওই দিন রাতেই দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকেরা। ঘণ্টা দুয়েক তল্লাশির পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
আপ সূত্রে খবর, তিহাড়ে বিনিদ্র রাত কাটছে কেজরীর। মাত্র কিছু ক্ষণ ঘুমোচ্ছেন তিনি। কেজরীকে সোমবার বিকেলে তিহাড়ে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছিল। এক জেল আধিকারিক জানান, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর শরীরে শর্করার মাত্রা ৫০-এর নীচে নেমে গিয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে ওষুধ দেওয়া হয়। তাঁর শরীরের কথা মাথায় রেখে দুপুরে এবং রাতে বাড়ির তৈরি খাবার খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy