এক দিকে সঞ্জয়ের মতো পরিচালক ,অন্য দিকে আলিয়ার মতো সহ-অভিনেতা। এ সব ক্ষেত্রে ছবি হিট করানোর দায় নতুন অভিনেতার কাঁধে তেমন থাকে না। তাঁকে শুধু নিজের কাজটুকু মন দিয়ে করলেই চলে। শান্তনুর সুযোগ তাই সব দিক থেকেই ঈর্ষণীয় বলে মনে করছে বলিউড। কিন্তু এক জন তুলনামূলক অনভিজ্ঞ অভিনেতা কী ভাবে এই সুযোগ পেলেন?
এক দিকে আলিয়ার মতো অভিনেত্রী। যিনি কর্ণ জোহর ক্যাম্পের দীর্ঘ দিনের বিশ্বস্ত। যাঁর অভিনয়জীবন ঝলমলে ‘হাইওয়ে’, ‘উড়তা পঞ্জাব’, ‘রাজি’, ‘বদ্রিনাথ কি দুলহনিয়া’র মতো মণিমুক্তোয়। বড় ব্যানার, বড় বাজেটের ছবি ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ মুক্তির অপেক্ষায়। ভন্সালীর পরিচালনায় সেই আলিয়ার সঙ্গেই পর্দায় রোম্যান্স করবেন শান্তনু। যার একঝলক ইতিমধ্যেই দর্শকের সামনে এসেছে।
২০১২ সালে ১৯ বছর বয়সে বড় পর্দায় নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ আলিয়ার (তার আগে ‘সংঘর্ষ’ ছবিতে শিশুশিল্পীর ভূমিকায় অভিনয় করলেও আলিয়া নিজে সেটাকে অভিনয় বলতে রাজি নন। এক বার বলেছিলেন, ‘‘আমি শুধু ভাল খাবার খেতে ছবির সেটে যেতাম।’’)। অন্য দিকে শান্তনু অভিনয় শুরু করেন ২০১১ সালে। টেলিভিশনের একটি ধারাবাহিকে। তখন তাঁর বয়স ২০।
এর ঠিক তিন বছর পর টিভিতে অভিনয়ের সুযোগ আসে। তবে তাঁর প্রথম টিভি ধারাবাহিকের মূল বিষয়ও ছিল নাচ। ধারাবাহিকের নাম ‘দিল দোস্তি ডান্স’। এক ঝাঁক টিনএজারকে নিয়ে গল্প। তবে ওই ধারাবাহিকে শান্তনু অভিনীত চরিত্র স্বয়ম এবং তার গল্পের প্রেমিকা স্যারনের জুটি জনপ্রিয় হয়েছিল দর্শক মহলে। চার বছর চলেছিল ওই ধারাবাহিক। তার মধ্যে দু’বার সেরা জুটির পুরষ্কার পেয়েছিলেন স্বয়ম-স্যারন।
পরে আরও বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকে অভিনয় করলেও সেগুলি প্রথমটির মতো জনপ্রিয় হয়নি। শান্তনুকেও নাচের রিয়্যালিটি শোগুলিতেই বেশি দেখা যেতে থাকে। কখনও প্রতিযোগী, কখনও আবার কোরিওগ্রাফার বা নৃত্য পরিচালকের ভূমিকায়। শান্তুনুর একটি নাচের দলও আছে। নাম ‘দেশি হুপার্স’। ২০১৫ সালে তারা লস অ্যাঞ্জলসে আয়োজিত আন্তর্জাতিক নাচের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়নও হন।
২০২০ সালের শেষের দিকে ‘গঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’ ছবিতে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের চরিত্রের জন্য অডিশন দিয়েছিলেন শান্তনু। বেশ কিছু দিন পর ভন্সালীর অফিস থেকে ফোন আসে। শান্তনুকে জানানো হয় ওই চরিত্রের জন্য তাঁকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। শান্তনু অবশ্য তখনও জানতেন না, পর্দায় তাঁকে অভিনয় করতে হবে আলিয়ার প্রেমিকের ভূমিকায়। সে কথা তিনি অনেক পরে জেনেছিলেন।