৩) বিশ্ব ব্যাঙ্কের মাপকাঠি অনুযায়ী যে দেশের প্রত্যেক মানুষ বছরে ৮০০০ ডলার রোজগার করেন, সেই দেশ মাঝারি আয়ের মধ্যবর্তী পর্যায়ে পড়ে। বিশ্বের জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ মানুষই এই মাঝারি আয়ের তালিকাভুক্ত। বিশ্ব ব্যাঙ্কের থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত পৃথিবীতে মাঝারি আয়ের দেশের সংখ্যা ছিল ১০৮। অর্থাৎ এই দেশগুলিতে যে ৬০০ কোটি মানুষ বাস করেন, তাঁদের সকলেরই মাথাপিছু বার্ষিক জিডিপি ১১৩৬ থেকে ১৩,৮৩৫ ডলার।
৮) আয়ের নিরিখে ভারত এখনও তৃতীয় স্থান থেকে নিজেদের তুলে আনতে ব্যর্থ। মোদী সরকারের জোরালো দাবি, আগামী ছ’বছরের মধ্যেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত। কিন্তু সেই তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির শরিক হতে পারবেন মাত্র ১০ কোটি মানুষই। কারণ, ১৪০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে মাত্র ১০ কোটি লোকের বার্ষিক আয় আমেরিকার নাগরিকের সমান।
১৫) বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের প্রত্যেকের বার্ষিক গড় আয়ের ভিত্তিতে বিশ্ব ব্যাঙ্ক বিশ্বের সমস্ত দেশকে উচ্চ, উচ্চ-মধ্য, নিম্ন-মধ্য এবং নিম্ন আয়সম্পন্ন দেশ হিসাবে নির্ণয় করে। যে দেশের এক জন সাধারণ নাগরিক সারা বছরে গড়ে ৯৫,৫৫০ টাকা বা তার কম (১১৪৫ ডলারের কম) রোজগার করেন, সেই দেশকে নিম্ন আয়সম্পন্ন দেশের তালিকায় রাখা হয়।
১৬) মাঝারি দেশগুলির পক্ষে বিশ্ব অর্থনীতিতে উপরের দিকে উঠে আসা কঠিন হবে বলে মত বিশ্ব ব্যাঙ্কের। মাঝারি আয়ের দেশগুলি থেকে বিশ্ব অর্থনীতির ৪০ শতাংশের বেশি জিডিপি এলেও মাঝারি আয়ের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসতে না পারার কারণ জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা ও শ্রমে অদক্ষতা। পরিবেশ দূষণ ও কার্বন নিঃসরণকেও আর্থিক উন্নতিতে বড় বাধা বলে ধরা হয়ে থাকে।
১৮) নিম্ন আয়সম্পন্ন দেশগুলিকে আপাতত শুধুমাত্র বিনিয়োগের দিকেই নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। যে সব দেশ নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে তাদের শুধুমাত্র বিনিয়োগের ওপর ভরসা করে থাকতে বারণ করেছে তারা। বিনিয়োগ ও বিদেশি উন্নত প্রযুক্তির মেলবন্ধন ঘটিয়ে এই বিপদ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে মনে করছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy