Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Evin Prison

মহিলাদের দিয়ে যৌনদাসীর কাজ করানো হয়, চলে বেধড়ক মারধর, এই জেল যেন নরকবাস!

বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর কারাগার এটি। পুরুষ কারারক্ষীদের দিয়ে মহিলা বন্দিদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালানো হয়।

সংবাদ সংস্থা
তেহরান শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৩ ১৭:০৪
Share: Save:
০১ ১৮
representative photo of prison.

জেল তো নয় যেন নরকবাস! কথিত আছে, ইহজীবনে পাপ করলে মৃত্যুর পর ঠাঁই হয় নরকে। আর সেখানে শাস্তির ধরন অনুযায়ী নাকি দুঃসহ যন্ত্রণা সইতে হয়। বাস্তবে যদি তাকানো যায়, তা হলে অপরাধের সাজা হিসাবে অনেককেই কারাবাস করতে হয়। কিন্তু, জেলে বন্দিদের উপর অমানবিক অত্যাচারের ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না। তবে এই বিশ্বে এমন একটি কারাগার রয়েছে, যেখানে বন্দিদের দশা নরকবাসের মতোই।

প্রতীকী ছবি

০২ ১৮
representative photo of prison.

ইরানের রাজধানী তেহরানে রয়েছে তেমনই একটি কারাগার। যেখানে বন্দিদের উপর চলে অকথ্য অত্যাচার। রেহাই পান না মহিলা বন্দিরাও। বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর কারাগার বলা হয়।

ছবি সংগৃহীত।

০৩ ১৮
 photo of prison.

বন্দিদের উপর নিপীড়ন থেকে শুরু করে ফাঁসিতে ঝোলানো— অমানবিক অত্যাচার চলে এই কারাগারে। যার নাম ‘এভিন প্রিজ়ন’। এই কারাগারকে বলা হয়, ‘টর্চার হাউস’ও। অর্থাৎ, নির্যাতন করার বাড়ি।

ছবি সংগৃহীত।

০৪ ১৮
 photo of prison.

খ্রিস্টান ধর্মের অনুরাগী হওয়ার কারণে ইরানের ওই কারাগারে ৭ মাস বন্দি ছিলেন মারিজিয়া আমিরিজাদা। বন্দিদশায় থাকাকালীন জেলের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী ছিলেন ওই মহিলা। পরে সেই বর্বরোচিত অত্যাচারের কাহিনি তুলে ধরেছেন মারিজিয়া।

ছবি সংগৃহীত।

০৫ ১৮
 photo of prison.

২০০৯ সালে ওই কারাগারে বন্দি ছিলেন মারিজিয়া। সেই সময় নিজের চোখের সামনে একের পর এক বর্বরোচিত অত্যাচার চাক্ষুষ করেছেন তিনি।

ছবি সংগৃহীত।

০৬ ১৮
representative photo of prison.

ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদনে মারিজিয়ার সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরা হয়েছে। মারিজিয়া জানিয়েছেন, জেলে মহিলা বন্দিদের উপরও অত্যাচার চালানো হত। মূলত পুরুষ কারারক্ষীরা মহিলা বন্দিদের বেধড়ক মারধর করতেন।

ছবি সংগৃহীত।

০৭ ১৮
representative photo of prison.

রোজই নির্বিচারে বন্দিদের মারধর করা হত। মারিজিয়ার কথায়, ‘‘আমরা বন্দিদের কান্নার আওয়াজ শুনতে পেতাম। নির্মম ভাবে মারধর করা হত।’’

প্রতীকী ছবি।

০৮ ১৮
representative photo of prison.

সেই সময় ওই জেলে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধিরা। পশ্চিমি দেশের প্রতিনিধিদের কাছে যাতে জেলের বর্বরোচিত চেহারাটি প্রকাশ্যে না আসে, সেই কারণে কারাগারের মধ্যে একটি ভাল ওয়ার্ড ছিল। সেখানে গুটিকয়েক বন্দিকে রাখা হত। ওই প্রতিনিধিদের পরিদর্শনের সময় শুধু মাত্র ওই ভাল ওয়ার্ডটিই ঘুরে দেখানো হত।

প্রতীকী ছবি।

০৯ ১৮
representative photo of prison.

বাকি ওয়ার্ডগুলি বাইরে থেকে তালাবন্ধ করে দেওয়া হত। সেই ওয়ার্ডগুলির মধ্যে সেই সময় বাকি বন্দিদের তালাবন্ধ করে রাখা হত।

প্রতীকী ছবি।

১০ ১৮
representative photo of prison.

মারিজিয়া বলেছেন, ‘‘আমাদের সেই সময় বলা হয়েছিল, সমীক্ষার জন্য পশ্চিমি দেশের প্রতিনিধিরা আসছেন। আমাদের কুঠুরির মধ্যে রেখে বাইরে থেকে তালাবন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা চিৎকার করেছিলাম। কিন্তু সেই আওয়াজ বাইরের কেউই শুনতে পাননি।’’

প্রতীকী ছবি।

১১ ১৮
representative photo of prison.

কারাগারের মধ্যে মহিলা বন্দিদের উপরও কী ভাবে নির্যাতন চালানো হত, সে কথাও তুলে ধরেছেন মারিজিয়া। বলেছেন, ‘‘এক দিন দেখলাম, পুরুষ কারারক্ষীরা মহিলা বন্দিদের কুঠুরিতে এসে তল্লাশি শুরু করলেন। তার পর বিনা কারণে মহিলা বন্দিদের বেধড়ক মারধর করলেন।’’

প্রতীকী ছবি।

১২ ১৮
representative photo of prison.

মহিলা বন্দিদের মারধরের জন্য পুরুষ কারারক্ষীকে কাজে লাগানো হত বলে দাবি করেছেন মারিজিয়া। তাঁর কথায়, এটা শরিয়া আইনের বিরুদ্ধে। কারারক্ষীদের এ হেন অত্যাচারে ভয়ে সিঁটিয়ে থাকতেন সকলে।

প্রতীকী ছবি।

১৩ ১৮
representative photo of prison.

শুধু মারধরই নয়। বন্দিদের ফাঁসিও দেওয়া হত। এমনকি, কোনও বন্দির ফাঁসির সময় তা জোর করে অন্য বন্দিদের দেখানো হত। ঠিক এমন অভিজ্ঞতাই হয়েছে মারিজিয়ার।

প্রতীকী ছবি।

১৪ ১৮
representative photo of prison.

তিনি জানিয়েছেন, আমার কুঠুরিতে এক জন ছিলেন। তাঁকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল। আর সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য জোর করে মারিজিয়াকে দেখানো হয়েছিল।

ছবি সংগৃহীত।

১৫ ১৮
representative photo of prison.

মারধর, ফাঁসিই শুধু নয়। মহিলা বন্দিদের যৌনদাসী হিসাবে কাজে লাগানো হত। মারিজিয়া জানিয়েছেন, এক মহিলা বন্দিকে কাজের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে জানা যায় যে, কাজটি আসলে যৌনদাসীর।

ছবি সংগৃহীত।

১৬ ১৮
representative photo of prison.

তাঁর কথায়, ‘‘ওই বন্দি যখন বুঝলেন যে, কাজটি যৌনদাসীর। তখন তা করতে চাননি তিনি। কিন্তু না বলার সুযোগ নেই। প্রাণে মারার ভয় দেখানো হয়েছিল ওই বন্দিকে।’’

ছবি সংগৃহীত।

১৭ ১৮
representative photo of prison.

এক বন্দির সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল মারিজিয়ার। ওই বন্দির চোখ বেঁধে একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার পর যখন সেই ঘর থেকে ওই বন্দি ফিরে আসেন, তখন তাঁর চোখমুখে ভয়ের ছাপ ছিল। মারিজিয়া জানিয়েছেন, ওই ঘরে বন্দিকে হাঁটতে বলা হয়েছিল। হাঁটতে গিয়ে পায়ে কিছু একটা লাগে। পরে দেখেন, সেগুলি আসলে মৃতদেহ।

প্রতীকী ছবি।

১৮ ১৮
representative photo of prison.

ওই কারাগারে একসঙ্গে প্রায় ১৫ হাজার বন্দিকে রাখা হয়। বন্দিদের সঙ্গে অকথ্য অত্যাচারে সেই সময় ভেঙে পড়েছিলেন মারিজিয়া। পরে সংবাদমাধ্যমে এই নিয়ে মুখ খোলেন তিনি।

প্রতীকী ছবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE