E-Paper

কেয়ার গন্ধ

ট্রেন সোদপুরে খুব তাড়াতাড়ি চলে এল। দেবলের গাড়ি ছিল। একটি নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাটের তলায় দাঁড়িয়ে ছিল দেবল। পল্লবীকে দেখে হাসিমুখে এগিয়ে এল।

অভিজিৎ চৌধুরী

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৫ ১০:৪৫
ছবি: সৌমেন দাস।

ছবি: সৌমেন দাস।

পূর্বানুবৃত্তি: জ্যোৎস্নাদেবীর সঙ্গে ফোনে কথা বলা নিয়ে দীপঙ্করকে খারাপ ইঙ্গিত করে পল্লবী। এবার দীপঙ্করও আর ছেড়ে কথা বলেন না। দেবলের থেকে গঙ্গার ধারে ফ্ল্যাট চাওয়ার কথা যে তাঁর অজানা নেই, সে কথা জানিয়ে দেন। সুবিধে করতে না পেরে রণে ভঙ্গ দেয় পল্লবী। অন্য দিকে জ্যোৎস্নাদেবীর মনে পড়ে কর্ণের ভূমিকায় নতুন অভিনয় করতে আসা ছেলেটির কথা। তার নাম জনমেজয় চট্টোপাধ্যায়। দীপঙ্করের বাবা তার সঙ্গে আলাপ করে, কথা বলে আনন্দ পেয়েছিলেন। আশীর্বাদ করেছিলেন তাকে। ভোরে বিছানা ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে জ্যোৎস্নাদেবী দেখতে পেলেন কেয়াঝোপের সেই সর্পযুগলকে। তাঁর মনে এল দীপঙ্করের স্ত্রীর কথা। ছেলের কথা অনেক বার শুনলেও, দীপঙ্করের মুখে কখনও ওর স্ত্রীর কথা শোনেননি। তাঁর সংশয় হল, দীপঙ্করের স্ত্রী ওঁকে ভাল ভাবে নেবে কি না। পরের দিন দীপঙ্কর সকালে বেরিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেবলকে ফোনে ধরার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ল পল্লবী।


দেবলের ফোনটা ধরল পল্লবী। ঝাঁঝালো গলায় বলল, “কী ব্যাপার তোমার! পুরো ডুব দিয়েছ যে!”

দেবল জিজ্ঞেস করল, “পানিহাটিতে আসবে?”

“আমি এখন ওসব নৌকোবিহার করতে পারব না। এই সময় গঙ্গা খুব উত্তাল থাকে।”

দেবল হাসতে হাসতে বলল, “কেন, তুমি সাঁতার জানো না?”

পল্লবী বলল, “গঙ্গায় মরা কটালে বান এলে সাঁতার জেনে কিছু হবে না।”

“আমি আছি তো। বাঁচিয়ে দেব।”

“মেরেও তো দিতে পারো।”

মুঠোফোন নিয়ে বাইরের উঠোনে এল পল্লবী। আকাশ তেমন কালো নয়। বৃষ্টিও নেই। ফোনটা কেটে দিয়ে আবার করল। তখন আবার এনগেজড আসছে। অস্থির হয়ে উঠল পল্লবী। আবার কল করল। না,একই রকমের গোঁ গোঁ আওয়াজ হচ্ছে। স্নান হয়ে গেছে, খাওয়া শেষ। দীপের কাছে চাবি আছে। পানিহাটি যেতে তেমন সময় লাগবে না। কেন যে তখন ওসব বলতে গেল!

এই সময় আবার দেবল ফোন করল।

পল্লবী বলল, “পাচ্ছি না কেন!”

“আমি ও তো একই রকম ভাবে তোমায় পাচ্ছি না। যাই হোক, সুখবর আছে।”

মনটা নেচে উঠল পল্লবীর। তবুও বলল, “তোমাকে ফোন করতেই তো এক জন মহিলা ধরেছিল। কেটে দিয়েছি।”

দেবল বলল, “আমার প্রাইভেট সেক্রেটারি। একটা নতুন প্রোমোটিং করছি পানিহাটিতে।”

“তাতে আমার কী?” বলেও সুখবরের জন্য পল্লবী অপেক্ষা করতে থাকল।

“ওখানেই তোমাকে একটা দেব। সাতশো স্কোয়ার ফিট।”

আনন্দে ‘হ্যাঁ’ বলার আগে পল্লবী একটু সতর্ক হল। বলল, “ছোট হচ্ছে খুব। তবে হয়ে যাবে।”

মনে মনে কুৎসিত একটা খিস্তি দিল দেবল। মুখে বলল, “আসছ তো?”

পল্লবী বলল, “আসছি।”

রাস্তায় বেরিয়ে পল্লবী যেন আনন্দে ভাসতে থাকল। অটোতে বেশি টাকা দিয়ে ফেরত নিতে ভুলে যাচ্ছিল। অটোওয়ালাই ডেকে ফেরত দিল।

ঘাট পার হয়েই শ্যামনগর। নদীর জল ঘোলাটে। লঞ্চ বেশ দুলছিল। আকাশ ঘন কালো মেঘে আবৃত।

সময় নিল লঞ্চ। জল কেটে কেটে এগোচ্ছে, কিন্তু পুরোটাই জোয়ারের উল্টো দিকে।

শ্যামনগর নেমে প্রায় উড়ে এল স্টেশনে। রিটার্ন টিকিট কেটে নিল।

ট্রেন সোদপুরে খুব তাড়াতাড়ি চলে এল। দেবলের গাড়ি ছিল। একটি নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাটের তলায় দাঁড়িয়ে ছিল দেবল। পল্লবীকে দেখে হাসিমুখে এগিয়ে এল।

“তোমারটা চারতলায়,” সিঁড়ি দিয়ে উঠল উপরে। বলল, “লিফট বসে যাবে।”

এ বার এল সেই কাঙ্ক্ষিত ঘরে। এখনও খাঁচা বলা যায়। তবু পল্লবীকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাতে লাগল। পল্লবী আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠল। বাবা ছিলেন সামান্য পাম্প অপারেটর। কষ্ট করেই বড় করেছেন মেয়েকে। বেশ যত্নেই সে বেড়ে উঠেছে। বাবা শেষের দিকে যত দূর সম্ভব ঘুষ নেওয়া শুরু করেছিলেন, তাতে সংসারে কিছুটা শ্রী ফিরেছিল। তার শরীরে এমন কী আছে, যা দিয়ে একটা ফ্ল্যাট পাওয়া যায়! আছে নানা ছবি, ভিডিয়ো... সেগুলোই তো আসল।

দেবল এ বার নীচে অফিসঘরে নিয়ে এল, দরজাটা বন্ধ করে দিল।

দুটো গ্লাসে মদ ঢালল।

মুখে বলল, “জল লাগবে?”

পল্লবী বলল, “তেমন অভ্যেস নেই।”

“কিছু হবে না। রাম। বেশ টেস্টি।”

“এ সব খেয়ে ফিরতে পারব তো!”

“বিন্দাস! উড়ে যাবে।”

পল্লবী একটু জল মেশাল। মুখে দিল, মন্দ লাগল না। কাজু নিল কয়েকটা।

পল্লবীকে নিরাবরণ করে খানিকটা রাম ওর শরীরে ঢেলে দিল দেবল।

পল্লবী বলল, “অসভ্য কোথাকার!”

জানলাটা সামান্য ফাঁক করে দেবল বলল, “দেখো, কেমন সুন্দর গঙ্গা দেখা যাচ্ছে।”

‘আহা, এই তো জীবন!’ ভাবল পল্লবী।

ধীরে ধীরে দেবল তার কাজ শুরু করল। ইচ্ছেমতো খেলা করতে লাগল পল্লবীকে নিয়ে। শেষ পর্যন্ত প্রবেশ করল পল্লবীর মধ্যে। দেবলের উপর আজ আসুরিক শক্তি ভর করেছে। দীর্ঘ সময় পর পল্লবী প্রায় ঠান্ডা হয়ে যেতে থাকল। যেন দীর্ঘ দিন পর ক্ষুন্নিবৃত্তি হল তার।

রমণ শেষ হলে পল্লবী বলল, “বাথরুম আছে?”

দেবল বলল, “আছে, ভিতরে যাও, আছে।”

পল্লবী ফিরে এলে দেবল বলল, “একটু চা করবে? আর ডিমসেদ্ধ।”

পল্লবী বলল, “গ্যাস আছে!”

“আছে, সব আছে ডার্লিং।”

পল্লবী এ বার কাপড়টা পরতে যাচ্ছিল। দেবল বাধা দিল, বলল, “ উঁহু, এ ভাবেই চা আর ডিমসেদ্ধ নিয়ে আসবে। তার পর আবার আমায় জাগাবে।”

পল্লবী মনে মনে অবাক হলেও রাজি হয়ে গেল, কারণ ওর ফ্ল্যাটটা চাই-ই। এ বার সামান্য ক্লান্ত ছিল পল্লবী। প্রচুর মদ্যপানের ফলে মাথাটা ঝিমঝিম করছিল। এ বারও দেবল পল্লবীকে তছনছ করে দিল। দেবলের পশুর মতো তীব্র রতিক্রিয়া পল্লবী সহ্য করল। ভিডিয়োও করে নিল সবটার। নিজে পল্লবী স্বাধীন কিন্তু দেবল পরাধীন, বৌয়ের বাধ্য স্বামী। এটাই তো তুরুপের তাস হবে। বিবাহিত হওয়ায় দেবলকে নিয়ে খেলতে সুবিধে হবে।

কাজ শেষ হলে পল্লবী বাথরুমে গিয়ে স্নান করল আর এক বার। ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে নিল।

জানলা, দরজা এখন সবটাই খোলা। রাস্তা দিয়ে অটো, গাড়ি সব যাচ্ছে। সন্ধে হয়ে এল। অদূরে মন্দিরে প্রার্থনা হচ্ছে।

দেবল বলল, “চলো তোমায় চন্দননগরে ছেড়ে আসি। না হলে অসুবিধে হবে।”

“কবে রেজিস্ট্রেশন হবে?”

“খুব তাড়াতাড়ি। আমার বৌয়ের নামে হবে, তবে তোমার ভোগদখলের অধিকার থাকবে।”

“মানে! তুমি আমায় ঠকাচ্ছ!”

“একদমই না। আমার বৌয়ের নামের সইটা তুমিই করবে। এখন একটা চুক্তিনামা হবে। তার পর সব তোমার।”

“সত্যি বলছ?”

“একদম। আমার বৌ ব্যাঙ্কে চাকরি করে, এখনই রেজিস্ট্রেশন তোমার নামে করলে লোন আটকে যাবে। আমি পরে নিজে টাকা দিয়ে তোমার নামে কিনে দেব। বলব, এটা তুমি কিনেছ। একদম সেল ডিড। শুধু অ্যাডভান্স করার সময় এগ্রিমেন্ট ডিডে আমার বৌয়ের নাম থাকবে।”

“সত্যি বলছ তো দেবল! তোমাকে সব দিলাম।”

“তোমাকে আমি ঠকাতে পারি বলে মনে হয়?”

পল্লবী মুখে বলল, “না।” তবু ওর মনে অনেকটা সংশয় রয়ে গেল।

জিজ্ঞেস করল, “যদি বাচ্চা এসে যায়?”

দেবল বলল, “অ্যাবরশন। সব খরচ আমার।”

পলকের জন্য নিজেকে কেমন প্রতারিত বলে মনে হল পল্লবীর। পরক্ষণেই ভাবল, তার তো বাচ্চা আছে। অবৈধ সম্পর্কের সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখিয়ে, অনর্থক জটিলতা বাড়িয়ে লাভ কী!

চন্দননগর আসতে সময় যতটা লাগবে ভেবেছিল, তার চেয়ে কম লাগল।

দীপঙ্কর তখনও ফেরেনি।

দীপ বলল, “মা, আমি ভেবেছিলাম তোমার আরও দেরি হবে।”

“কেন, আমি আগে এলে তোর ভাল লাগে না?”

“তা কেন মা! খুব ভাল লাগে।”

দীপ এসে মাকে জড়িয়ে ধরল। পল্লবীর চোখ দিয়ে জল পড়ছিল। দীপ মায়ের চোখের জল হাত দিয়ে মুছিয়ে দিল।

পল্লবী বলল, “দীপ, বাইরের হোটেল থেকে কিছু নিয়ে আসবি? সকালের রান্না কিছু নেই।”

দীপ বলল, “মাংস নিয়ে আসব মা?”

“আচ্ছা, নিয়ে আয়।”

দীপ বেরিয়ে গেলে পল্লবী বাথরুমে গেল। গলার ভিতরে হাত দিয়ে অনেকটা বমি করল। মুখের মদের গন্ধ যাওয়ার জন্য গরম জলে পেয়ারাপাতা দিয়ে কুলকুচি করল। ভয় করতে থাকল, দীপ নিশ্চয়ই মদের গন্ধ টের পেয়েছে।

২১

একটা বাঁশির সুরে ঘুম ভেঙে গেল। সকালের রোদ বিছানার চাদরে মাখামাখি হয়ে রয়েছে। সুরটা চেনা, দরবারি কানাড়া। উনি বলতেন বিষ্ণুপুরি ঘরানা। বাইরে এসে অবাক হয়ে গেলেন, দেখলেন সাধন বাঁশি বাজাচ্ছে। কিছু ক্ষণ শুনলেন স্তব্ধতা নিয়ে। তার পর সাধন দেখতে পেয়ে লজ্জা পেয়ে বলল, “ম্যাডাম! উঠে পড়েছেন!”

“তুমি এত সুন্দর বাজাও! কোনও দিন জানতাম না। রাগের নামটা জানো তো!”

“দরবারি কানাড়া।”

“বাহ, অপূর্ব! কিন্তু রাগটা তো গভীর রাতের। তা হলে তুমিই কালনাগিনীর তীরে সেই রাতে বাজিয়েছিলে। লট এইটে সেই বাংলোয় গঙ্গার তীরে আমার ঘুম ভেঙে গেছিল সেই সুরে। দরবারি কানাড়া। গঙ্গার জলের ছলাৎ ছলাৎ আর আকাশে ম্লান আবছায়া চাঁদের আলো। পৃথিবীতে মানুষের বেঁচে থাকাটা বড় অলৌকিক। সুরই পারে লৌকিক জীবনকে অলৌকিক করতে।”

“হ্যাঁ, ম্যাডাম। আর আজ আপনার দরজাটা একদম হাটখোলা ছিল। গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় তাই নামলাম। ডোরবেল বাজাইনি। ভেবেছিলাম, বাঁশির সুরে আপনি জেগে যাবেন।”

“তোমার এমন গুণের কথা জানা ছিল না। পৃথিবী থেকে চলে যাব কত কিছুই না জেনে, না দেখে। আর আমি এমনি অনেক সময় খোলা রাখি, সারা রাত বসে হয়তো বৃষ্টির ধারা অনুভব করলাম... গন্ধটা আমার বেশ লাগে।”

“একটা কথা জিজ্ঞেস করব ম্যাডাম?”

“বলো, হাজারটা বলতে পারো।”

“ম্যাডাম, আপনার বাড়িতে, মানে পরিবারে কেউ অভিনেত্রী ছিলেন?”

“কস্মিনকালেও কেউ অভিনয় করেনি। বাবা ছিলেন ব্যাঙ্ক অফিসার। ঠাকুরদা ছিলেন ব্রিটিশ আমলের ডিএসপি সাহেব। খুব জাঁদরেল ছিলেন শুনেছি। অনেক ফাঁসিও দিয়েছেন। অগ্নিযুগের বিপ্লবীদেরও হতে পারে। খুবই অগৌরবের কথা।”

আশ্চর্য হয়ে গেল সাধন। ম্যাডামের পক্ষেই সম্ভব এমন সত্যকথন।

“ঠাকুরদা কী ভাবে মারা গেছিলেন জানো!”

“কী ভাবে, ম্যাডাম!”

“বাঘ শিকার করতে গিয়ে। গুলিটা বাঘের গলায় ঠিকঠাক লাগেনি, সামান্য পাশ দিয়ে অন্য কোথাও লেগেছিল। ঠাকুরদা নিশ্চিত ছিলেন, বাঘটা মারা গেছে। তিনি যখন মাচা থেকে নামছেন এবং বিজয়ের গর্বে এগিয়ে যাচ্ছেন, বাঘ ঝাঁপিয়ে পড়ল। যাই হোক, তুমি কিন্তু টাকা পাবে সে দিনের!”

“আমি কিন্তু সে জন্য আসিনি।”

“আমি জানি তা।”

এই সময় একটা গাড়ির শব্দ হল।

সরকারি অফিসে খাওয়াদাওয়া প্রায় বন্ধ। কারণ সরকারের টাকা নেই। দান-খয়রাতি করতেই সব টাকা চলে যাচ্ছে, কর্মচারীদের দেবে কোথা থেকে— এই অভিযোগ মুখে মুখে। অবশেষে অনেক দিন পর নিজেরাই চাঁদা দিয়ে ফিস্ট করছে। দীপঙ্করের চাঁদাটা জনমেজয়বাবু দিয়েছেন।

দীপঙ্কর ছেলেকেও নিয়ে চলেছেন বিষ্ণুপুরে। ওঁরা যখন বেরিয়েছেন, পল্লবী অঘোরে ঘুমোচ্ছে। হয়তো কিছু হয়েছে ওর। চোখমুখ সব সময় ফোলা-ফোলা। দীপঙ্করের সঙ্গে কথাবার্তা এক রকম বন্ধ।

আগের রাতে দীপ মা-কে বলেছিল, বাবার সঙ্গে বিষ্ণুপুর যাবে। পল্লবী কোনও ক্রমে ‘হ্যাঁ’ বলেছিল। বেলায় ঘুম থেকে উঠল পল্লবী। গলা ব্যথা করছে। কপালের যন্ত্রণা শুরু হয়েছে। কেউ নেই এখন। ছেলেটাও দীপঙ্করের সঙ্গে চলে গেল।

ওই ফ্ল্যাটটা দেবল কি আদৌ দেবে! আর আজই গাইনির কাছে যাবে। যদি প্রেগন্যান্সি ডেভলপ করে, অঙ্কুরেই বিনাশ করতে হবে। সেই সময়টা প্রয়োজনে নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাটের অফিসঘরেই কাটাবে। দেবলকে ঠিক বুঝতে পারে না পল্লবী। কাউকে সে বিশ্বাসও করেনি, বুঝতেও পারেনি। নিজেকেও কি জেনেছে পল্লবী! কখনও কখনও ভাবে, এই যে নতুন নতুন পুরুষ-বন্ধু, এরাও তাকে কেউ মনে রাখেনি। সবটাই খেলার পুতুল গড়ার মতো, প্রলয় ঝড় লাগবে না... দমকা হাওয়ায় যাবতীয় স্মৃতিচিহ্ন বিনষ্ট হয়ে যাবে।

নিজের হাতের মস্তিষ্করেখা নিয়ে কখনও কখনও চিন্তা হয় পল্লবীর। কেউ কেউ বলেছেন, পল্লবী পাগল হয়ে যাবে।

ক্রমশ

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bengali Novel Novel

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy