E-Paper

অনন্ত পথের যাত্রী

মাধব বলেছিলন, “আর্যপুত্র, বাণিজ্যে যাচ্ছেন যান। কিন্তু চার পাশে চোখকান খোলা রাখবেন।”

অবিন সেন

শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:৫১
ছবি রৌদ্র মিত্র।

ছবি রৌদ্র মিত্র।

একটি শ্লোক গুনগুন করে গাইছিলেন রাজকুমারী। আলুলায়িত কেশ পিঠের উপরে ছড়িয়ে আছে। কেশে পরিচর্যা নেই। বেশবাসে পারিপাট্য নেই। দেহে নেই প্রসাধনের বাহুল্য।

পাশে এসে দাঁড়ায় প্রিয় সখী শ্যামা, বলে, “সখী, এত দুঃখ কেন তোমার? এই তো গতকালই দেখা হল তোমাদের। তিনি তো কাছেই, গৌড়ে গিয়েছেন বাণিজ্যের কাজে। আবার জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার আগেই তো ফিরে আসবেন। আর পুরুষমানুষ, কাজেকর্মে বাইরে যাবে না!”

রাজকুমারী প্রিয় সখীর দিকে ফিরে তাকালেন। চোখে ছদ্ম রোষবহ্নি। বললেন, “তুই চুপ কর তো পোড়ারমুখী। বড্ড কথা হয়েছে তোর।”

“তা তো বলবেই। কিন্তু তোমার এই দুঃখী মুখের পানে তাকিয়ে তাকিয়ে আমার যে বুক ফেটে যাচ্ছে!” তার গলার স্বর করুণ হয়ে আসে। একটু থেমে সে আবার বলে, “বলো না সখী, এত দুঃখ কেন তোমার?”

তুক্কা আবার বাইরের ঘনায়মান অন্ধকারের দিকে তাকালেন। বৃষ্টি শুরু হয়েছে। অন্ধকার অগ্রসর হয়ে সেই বৃষ্টির শব্দকে যেন গ্রাস করে নিচ্ছে।

“তুই অত বুঝবি না। চল, ঘরে যাই। বৃষ্টি আর ভাল লাগছে না।”

তাঁরা খেয়াল করলেন না, অদূরে গাছের শাখায়, ঘন পাতার আড়াল থেকে একটি ছায়া নিষ্পলক চোখে তাঁদের দিকে নজর রাখছে।

অন্য দিকে, গৌড় যাওয়ার পথে একটি পান্থশালায় বিশ্রাম করছিলেন নৃসিংহ। সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে অনেক ক্ষণ। তার উপরে বাইরে টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়ছে। সেই সঙ্গে বইছে ঝোড়ো বাতাস। পথে-প্রান্তরে কোথাও কোনও জনমানুষের দেখা নেই। পান্থশালাটি দ্বিতল। নীচে এক পাশে রন্ধনের জায়গা। আর এক পাশে ঘোড়ার আস্তাবল। পিছন দিকে দু’-তিনটি ঘর নিয়ে অতিথিদের, দাস-দাসীদের থাকার ব্যবস্থা। দুই তল মিলিয়ে সম্ভ্রান্ত অতিথিদের থাকার মতো চারটি করে মোট আটটি ঘর। সমস্ত দ্বিতলটি নৃসিংহ কর্জ নিয়ে নিয়েছেন। তাঁর পাশের ঘরেই পিরুমল, সেই সঙ্গে দু’জন রক্ষী থাকছে। নৃসিংহ ভাবলেন, ভাগ্যে এই থাকার জায়গাটি পাওয়া গেল, না হলে এই দুর্যোগের রাতে না জানি কত সমস্যায় পড়তে হত!

নৈশাহার একটু আগেই সারা হয়ে গিয়েছে।

নীচের ঘরগুলিতে কারা আছেন, সেটা জানা দরকার ছিল। এখন প্রতি মুহূর্তে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।

এই বাণিজ্যযাত্রার আগের দিন রাতে হঠাৎ মাধব মিশ্র এসে হাজির হয়েছিলেন। নৃসিংহ লক্ষ করেছেন, যখনই কোনও বিপদের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তখনই কোথা থেকে যেন মাধব মিশ্র এসে হাজির হয়েছেন। এই মানুষটাকে তিনি যেন ঠিক চিনতে পারেন না। মাধব যেন শুধু তাঁর অনুচর নয়। তারও বেশি কিছু। দুই ভরসার বাহু মেলে সর্বদাই যেন মাধব মিশ্র তাঁকে আগলে রেখেছেন।

মাধব বলেছিলন, “আর্যপুত্র, বাণিজ্যে যাচ্ছেন যান। কিন্তু চার পাশে চোখকান খোলা রাখবেন।”

“সে তো আমি রাখি।”

“সে আপনি কেমন রাখেন আমি জানি। যা-ই হোক। এখন আরও ভাল করে চার পাশে নজর রাখতে হবে। আপনার পিছনে চর লেগেছে। কেন, তা আমি আপনাকে যথাসময়ে জানাব। তা ছাড়া গৌড়ের সুলতানের আপনার প্রতি ভীষণ ক্রোধ আছে। আর আপনিও জানেন হুসেন শাহ কেমন প্রতিহিংসাপরায়ণ।”

মাধব মিশ্র সে রাতে পিরুমলকে ডেকে আরও কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন।

ঘরে একটাই মাত্র প্রদীপ জ্বলছে। তার আলোও এখন নিভু-নিভু। নৃসিংহ খোলা গবাক্ষ দিয়ে বাইরের বৃষ্টিমুখর অন্ধকারের দিকে তাকিয়েছিলেন।

পান্থশালার অধিকারী বলেছিল, নীচের একটি ঘরে এক বৃদ্ধ বৌদ্ধ ভিক্ষুক আছেন। তিনি সন্ধ্যার আগেই আহার সেরে ঘরে গিয়ে শয্যা নিয়েছেন।

এক বার পিরুমল নিজে সারা পান্থশালাটি ঘুরে দেখে এসেছে।

অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে এই সব কূট ষড়যন্ত্রের কথা ভাবতে ভাল লাগছিল না। তাঁর বুক জুড়ে শুধু একটি মুখ। বড় সুন্দর মুখটি যেমন তাঁর বুকটিকে ভরিয়ে রেখেছে, তেমনই একটা না-দেখার বিরহবেদনা তাঁকে কুরে কুরে খাচ্ছে অহরহ।

দু’দিন আগে যখন তিনি তুক্কাকে বললেন, কয়েক দিন তো তাঁদের দেখা হবে না, তুক্কার মুখ যে কী নিদারুণ করুণ হয়ে গিয়েছিল, তা কিছুতেই ভুলতে পারছেন না নৃসিংহ। দুই কাজলনয়নের ঘন পল্লবে হীরকখণ্ডের মতো জলের বিন্দু যেন নৃসিংহের বুকটিকে ফালা ফালা করে দিচ্ছিল। তাঁর যেন মেঘের দিকে তাকিয়ে বলতে ইচ্ছে করছে, ‘যাও মেঘ, যাও গিয়ে প্রিয়ার সংবাদ নিয়ে এসো।’

সহসা সমস্ত আকাশ দ্বিখণ্ডিত করে বিদ্যুৎ চমকিত হল। সে কী বিপুল ঝলক! সেই আলোকে গবাক্ষপথে দেখলেন, পান্থশালার প্রাচীরের বাইরে, বনের কিনারায় আপাদমস্তক বস্ত্রাবৃত একটি দীর্ঘদেহী ছায়া।

তাঁর মন সজাগ হয়ে উঠল।

কে ও? এই দুর্যোগের রাতে কে ওই ভাবে চলে যাচ্ছে বনের পথে!

তাঁর মনের ভিতরে কী যেন একটা অস্বস্তি কাজ করছিল। তাঁর মনে হল, পিছনে একটা খসখস শব্দ। তাঁর শয্যার উপরে রত্নখচিত বস্ত্রটি খুলে রেখেছেন। প্রদীপের মৃদু আলোকে দেখলেন, সেই বস্ত্র অধিকার করে আছে কালো কুচকুচে রজ্জুবৎ এক প্রাণী। রজ্জুর আগায় ক্ষুদ্র দু’টি বিন্দু জ্বল জ্বল করছে। আলগোছেই তাঁর হাত কোমরের কাছে চলে যায়। তিনি সম্পূর্ণ নিরস্ত্র।

তাঁর মুখ দিয়ে অজানতেই একটা চিৎকার বেরিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে দরজাটি হাট করেখুলে গেল। নিমেষে ঝলকে ওঠে অসি। শয্যার উপরে দ্বিখণ্ডিত সর্পটির মরণান্তিক আন্দোলন তখনও থামেনি।

নৃসিংহের দুই চোখ বিস্ফারিত।

রক্তলিপ্ত অসি হাতে পিরুমল বলল, “আপনি ঠিক আছেন তো আর্য?”

নৃসিংহ বিস্ময়ের ঘোর তখনও কাটেনি। তিনি ঘাড় নেড়ে বললেন, “তুমি আমার জীবন রক্ষা করলে পিরুমল।”

পিরুমল মাথা নিচু করে বলল, “এ আমার কর্তব্য, আর্য।” তার পর একটু থেমে বলল, “বিদ্যুতের আলোয় দেখলাম, প্রাচীরের বাইরে এক সন্দেহজনক ছায়া। দু’জন রক্ষীকে তখনই বাইরে দৌড়ে যেতে বললাম। আর আমি নিজে একটা বিপদ আশঙ্কা করে আপনার কক্ষের দিকে আসছিলাম। তখনই আপনার চিৎকার শুনলাম।”

নৃসিংহ এগিয়ে এসে পিরুমলের কাঁধে হাত রাখলেন। সে বড় নির্ভরতার স্পর্শ।

১৬

সবে প্রভাত হয়েছে। বর্ষার আকাশে মেঘ-ছোঁয়া রোদ্দুরে লেগেছে চাঁপাফুলের রং। মহাপ্রভু সমুদ্রস্নান সেরে জগন্নাথ দর্শনে গেলেন। সঙ্গে স্বরূপ দামোদর, সার্বভৌম ভট্টাচার্য। স্বরূপ দামোদর তার অনুপম গলায় কীর্তন শুরু করল। মহাপ্রভুর মধ্যে আবার ভাবের উদয় হল। কৃষ্ণনামে তিনি ভাবে বিভোর হয়ে গেলেন, নীল পদ্মের মতো দুই চক্ষু দিয়ে অবিরত ধারায় অশ্রু ঝরতে লাগল।

মহাপ্রভু যেখানে পা রাখেন, সেখানেই যেন উৎসবের সূচনা হয়ে যায়। গম্ভীরায় ফিরে এসে মহাপ্রভু ভক্তপরিবৃত হয়ে বসেছেন। আছেন কাশী মিশ্র। মহাপ্রভু কৃষ্ণপ্রেমের সারকথা ব্যাখ্যা করছেন।

কথায় কথায় সার্বভৌম ভট্টাচার্য বললেন, “প্রভু, যদি অভয় দেন তা হলে একটি কথা বলি।”

মহাপ্রভু সকালের আলোর মতো হাসলেন, “তুমি নির্ভয়ে বলো।”

সার্বভৌম ভট্টাচার্য যেন একটু ইতস্তত করে বললেন, “মহারাজ প্রতাপরুদ্রদেব আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইছেন।”

মহাপ্রভু বিদ্যুৎস্পর্শের ন্যায় চমকিত হয়ে উঠলেন। কর্ণে হাত দিয়ে বার বার নারায়ণনাম স্মরণ করতে লাগলেন। তার পর সার্বভৌমের দিকে কঠিন দৃষ্টি হেনে বললেন, “সার্বভৌম, কেন তুমি এমন কথা বলো! এমন কথা তোমার মুখে মানায় না। আমি সর্বরিক্ত সন্ন্যাসী। রাজদর্শন আমার শোভা পায় না। এ যেন সন্ন্যাসীর নারীদর্শনের তুল্য। বিষপানের সমান।”

সার্বভৌম নীরব হয়ে গেলেন।

সে সময় সেখানে এসে উপস্থিত হলেন রায় রামানন্দ। রামানন্দকে দেখে মহাপ্রভুর হর্ষের সীমা যেন ছাড়িয়ে যায়। রায় রামানন্দ প্রভুর পায়ে লুটিয়ে পড়লে প্রভু তাঁকে ভূমিশয্যা থেকে তুলে বুকে আলিঙ্গন করে নিলেন। দু’জনের চোখেই অবিরত জলের ধারা।

প্রাথমিক আবেগ একটু স্তিমিত হলে রায় রামানন্দ বললেন, “আপনার আদেশের কথা আমি মহারাজকে বললাম। মহারাজ প্রথমে নিমরাজি হলেও আমাকে রাজকার্য থেকে মুক্তি দিলেন। এখন আমায় আপনার পায়ে স্থান দিন প্রভু!”

তাঁর দু’চোখ থেকে অশ্রুর প্লাবন যেন থামতেই চায় না। তিনি আবার বললেন, “আপনার কথা শুনে মহারাজা খুবই প্রীত হলেন। বারংবার আপনার কথা জানতে চাইলেন। আকুল হয়ে জানতে চাইছেন, কবে তিনি আপনার দর্শন পাবেন।”

মহাপ্রভুর অশ্রু বাঁধ মানছে না। তিনি বললেন, “তুমি কৃষ্ণভক্ত সাত্ত্বিক মানুষ। তোমাকে যিনি স্নেহ করেন, তিনি ভাগ্যবান।”

দেখতে দেখতে জগন্নাথের রথযাত্রার দিনটি এসে গেল।

এই প্রথম বার মহাপ্রভু রথযাত্রা দেখবেন। তাই তাঁর অন্তরে খুশির বাঁধ ভেঙেছে। আবার তিনি অহেতুক সাবধানীও, পাছে বিরুদ্ধ কিছু ঘটে। ভোররাতে উঠে তিনি নিকটভক্তদের নিয়ে সমুদ্রস্নান সেরে নিলেন।

মন্দিরের সামনে এসে দেখলেন, শত শত ভক্ত ভিড় করেছেন জগন্নাথদেবের রথযাত্রা দেখার জন্য। চার দিকে প্রভূত বাদ্যযন্ত্র বেজে চলেছে। নিত্যানন্দ, অদ্বৈত প্রমুখ সঙ্গীর সঙ্গে দাঁড়িয়ে ঈশ্বরের রথে আরোহণ দেখতে লাগলেন মহাপ্রভু। ভাবে তিনি বিভোর। ক্ষণে ক্ষণেই তিনি কৃষ্ণনাম করছেন, কিন্তু কোলাহলে তাঁর স্বর চাপা পড়ে যাচ্ছে।

এমন সময়ে সেই স্থানে আবির্ভূত হলেন গজপতি মহারাজ প্রতাপরুদ্রদেব। প্রথা অনুসারে স্বর্ণমার্জনী হাতে তিনি পথ সম্মার্জন করতে লাগলেন। আগে আগে রাজকর্মচারীগণ চন্দনজল সিঞ্চন করতে লাগল পথে। পিছনে মার্জনী হাতে সেই পথ মার্জন করছেন মহারাজা। এই দৃশ্য দেখে মহাপ্রভু অভিভূত হলেন। রাজসিংহাসন ছেড়ে মহারাজা পথে নেমেছেন জগন্নাথদেবের সেবায়। এই অপূর্ব দৃশ্য দেখে মহারাজের প্রতি প্রীতিতে তাঁর মন ভরে গেল।

মহাপ্রভু বিস্মিত নয়নে রথের শোভা দেখছেন। তাঁর মনে হল, যেন হেমবর্ণ পর্বতের মতো সেই রথের আকার। চার দিকে তার চামর ঝুলছে। রথের শীর্ষে নির্মল পতাকা উড়ছে। সেই রথের চার পাশে নানা চিত্রপট শোভিত।

লীলাভরে যেন ভগবান জগন্নাথ সেই রথে চড়লেন। অন্য দুই রথে অধিষ্ঠান করলেন সুভদ্রা আর বলরাম।

রথ কখনও দ্রুত চলে, তো কখনও মন্থর হয়ে যায়। যেন ঈশ্বরের ইচ্ছায় সেই রথ চালিত হয়। চার পাশে ক্রমাগত পুষ্পবৃষ্টি, ঘণ্টাধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত।

সেই সকল অপূর্ব দৃশ্য দেখতে দেখতে মহাপ্রভু তাঁর সঙ্গীদের নিজে হাতে ফুলের মালা পরিয়ে দিতে লাগলেন। একে একে মালা পরালেন পরমানন্দ পুরী, ব্রহ্মানন্দ ভারতী, নিত্যানন্দ প্রমুখ সঙ্গীকে। আবার নিজের হাতেই তিনি সকলকে, এমনকি কীর্তনিয়াদেরও মালা ও চন্দন পরিয়ে দিলেন। এ বার তিনি চব্বিশ জন গায়ককে চার দলে ভাগ করে দিলেন। প্রতি দলে দু’জন করে মৃদঙ্গী। মহাপ্রভুর নির্বাচনে চার দলে চার প্রধান গায়ক হলেন নিত্যানন্দ, অদ্বৈত, হরিদাস আর বক্রেশ্বর। প্রভুর আজ্ঞা পেয়ে চার জনে নৃত্যগীত শুরু করলেন।

সেই সঙ্গে বেজে উঠল চোদ্দো মাদল। তার শব্দ শুনে যেন বৈষ্ণবরা পাগল হয়ে গেলেন। তাঁদের চোখের জলে যেন পথ পিচ্ছিল হয়ে উঠল। সমস্ত চরাচর ভরে উঠল সেই অপূর্ব কীর্তনগীতে। সেই গানে রথযাত্রার সমস্ত বাদ্যযন্ত্রের শব্দ যেন চাপা পড়ে গেল। আর সকলের অগ্রভাগে ‘হরি হরি’ ধ্বনিতে মহাপ্রভু দুই বাহু তুলে নৃত্য করছেন। সেই স্বর্গীয় নৃত্যগীতে রথের গতি যেন স্থবির হয়ে উঠছে। উপস্থিত সকলে দু’চোখ ভরে সেই অপূর্ব দৃশ্য দেখে এতটাই ভাবে বিভোর হয়ে গিয়েছেন যে, তাঁরা রথের রশি আকর্ষণ করার কথাই ভুলে গিয়েছেন। সকলে ভাবলেন, স্বর্গ থেকে যেন স্বয়ং ভগবান নেমে এসেছেন এই ধরাধামে।

মহারাজাও নৃত্যগীতরত ঐশ্বরিক চেহারার মহাপ্রভুকে দেখে বিস্ময়ে বাক্যহারা হয়ে গেলেন। এমন কীর্তন আর নৃত্য যেন কেবল স্বয়ং ঈশ্বরই করতে পারেন!

মহারাজের পাশে দাঁড়িয়ে কাশী মিশ্র মহারাজকে মহাপ্রভুর মহিমা বর্ণনা করতে লাগলেন। বললেন, “আর্য, তুমি পরম ভাগ্যবান। মহাপ্রভু তোমার এখানেই অধিষ্ঠান করেছেন।”

রাজাও স্বীকার করলেন যে, মহাপ্রভুকে দেখে তিনি পরম ধন্য মনে করছেন নিজেকে।

ক্রমশ

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bengali Novel Novel Series Bengali Literature

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy