E-Paper

দৃষ্টিদান

মনের চোখ তো আলাদা। মনের দৃষ্টি আর চোখের দৃষ্টি তো এক নয়। মনের দৃষ্টি জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই ঈশ্বর ঠিক করে দেন। তার সঙ্গে থাকে রক্তের সম্পর্ক।

সৌরভ হোসেন

শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৫ ০৭:৫৪
ছবি: প্রসেনজিৎ নাথ।

ছবি: প্রসেনজিৎ নাথ।

ডাক্তারবাবু যখন চোখের ব্যান্ডেজটা প্রথম খুলে দিয়েছিলেন, তখন কেউ কিছু টের পায়নি। না চোখের গড়নে, না দৃষ্টিতে। দৃষ্টি না ছিল ঝাপসা, না ছিল আগের চেয়ে স্পষ্ট। ঠিক আগে যেমন দেখত ইয়াছিন, এখনও ঠিক তেমনই দেখছে। আসেদ কানাকে যেমন কানা দেখত, এখনও তা-ই দেখছে। বদির বৌ আফসারা বিবিকে যেমন মোটাসোটা দেখত, এখনও তা-ই দেখছে। আকরাম গেরস্তর চোখগুলোকে যেমন ট্যারা দেখত, এখনও তা-ই দেখছে। ইমাজ মেম্বারের বৌ ছায়রা বিবিকে যেমন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখত, অপারেশনের পরে সে রকম করেই হাঁটতে দেখছে। শুধু কি মানুষ আর মানুষের চালচলন? পশু-পাখি-গাছপালাকে দেখার ক্ষেত্রেও কোনও পরিবর্তন দেখছে না। আবুলের বাড়ির কুকুরটার লেজটা যেমন বাঁকা দেখত, এখনও তা-ই দেখছে। কুকুরটা তাকে দেখলে সেই আগের মতোই ঘেউ ঘেউ করে। মেস্কাত শেখের লাল বলদটার শিংগুলো যেমন গাছের শিকড়ের মতো বাঁকা দেখত, এখনও সে রকম বাঁকাই দেখে। এ সব দেখায় কোনও বদল দেখছে না ইয়াছিন। কিন্তু চোখ অপারেশনের পর ইয়াছিনের অন্য দেখায় বদল ঘটেছে। আর সেখানেই বিস্ময়! এ সব কী সম্ভব?

মনের চোখ তো আলাদা। মনের দৃষ্টি আর চোখের দৃষ্টি তো এক নয়। মনের দৃষ্টি জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই ঈশ্বর ঠিক করে দেন। তার সঙ্গে থাকে রক্তের সম্পর্ক। যেমন ছোটলোকের ছেলে ছোটলোকই হবে। কৃপণের ছেলে কৃপণই হয়। যে লোকের দৃষ্টি ছোট, তার ছেলেমেয়েদেরও দৃষ্টি ছোট হওয়ার সম্ভাবনা। এমনকি জিনগত কারণে অন্ধ লোকের সন্তান অন্ধও হতে পারে। মূক-বধির লোকের সন্তান মূক-বধির হতে পারে। বেঁটে লোকের সন্তান বেঁটে হয়। কিন্তু ইয়াছিনের ক্ষেত্রে তো এ সবের কোনওটাই ঘটেনি। তার তো মৃত্যুর পর পুনর্জন্ম হয়নি! সেই একটাই জন্ম। মাথায় ঋণ আর পেটে অভাব নিয়ে হাভাতের জন্ম। নিড়ানি কাটানি মাড়ানি জনমুনিষ বাপের ওরস আর পরের ধান-কুটা, গোহাল-ধোয়া, গোবর-তোলা কাঙালী মায়ের গর্ভে জন্ম নেওয়া দুঃখী সন্তান। বুকের হাওয়া টানা কল, কথা বলা মুখ আর চোখ দিয়ে দেখা দৃষ্টিখানা বিনি-মাগনায় ঈশ্বরের কাছ থেকে পেয়েছিল বলে এখনও কোনও রকমে বেঁচেবর্তে আছে ইয়াছিন। বাকি সব কলকব্জা গুড়গুড় ধুকপুক হাঁসফাঁস করে করে এখনও অবধি ঠিক থাকলেও, দৃষ্টিখানা কেড়ে নিচ্ছিলেন ঈশ্বর। হঠাৎ করেই চোখে ঝাপসা নেমে এসেছিল ইয়াছিনের।

ডায়াবেটিসের রোগী ইয়াছিন। রঙচঙা দুনিয়াটা হঠাৎ কালো হয়ে এসেছিল তার। ফুল-প্রজাপতি-জামাকাপড় সব কিছু কেমন বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছিল। ইয়াছিন তখন বুঝতে পেরেছিল, জগতে সব কিছু রঙিন, শুধু মানুষের শরীরখানা বড্ড বেরঙিন। অথচ এই বেরঙিন শরীরের মানুষের ভিতরে কত রং-ঢং! ইয়াছিন এখন এ সব রং, এ সব ঢংকেই বেশি দেখছে! আর সেখানেই মানুষের অবাক হওয়ার কারণ।

কথাটা তার নিজের এই বর্ডার-ঘেঁষা গ্রাম শিমুলপুরে তো রটলই, আশপাশের সব গাঁ-গঞ্জেও হুলস্থুল পড়ে গেল। কেউ কেউ উঁকিঝুঁকি মেরে দেখল তার চোখগুলোকে। আলাদা কি কিছু কলকব্জা বসানো আছে! চোখের গঠনে কি আলাদা কিছু পরিবর্তন হয়েছে! না তো! সে সব কিছুই দেখতে পেল না কৌতূহলী মানুষে। কিন্তু ইয়াছিন দেখতে পেল। চোখ অপারেশনের আগে যে-সব জিনিস দেখতে পেত না, এক কথায় তার চোখে সুজত না, এখন সে-সব বড় বড় করে দেখছে! এই যেমন তার বৌ ফরিদাকেই এখন অন্য রকম দেখছে ইয়াছিন। আগে বৌটাকে দু’চোখে দেখতে পারত না। উঠতে-বসতে পণের খোঁটা দিত। কথায় কথায় গালিগালাজ করত। একটুখানি কোনও কিছুর দোষ পেলেই বৌয়ের গায়ে হাত তুলত। যেন মনে হত, ফরিদা তার বিহেতি বৌ নয়, যুদ্ধে পড়ে পাওয়া দাসী! সেই বৌকে এখন ভালবাসা ঢেলে দিচ্ছে ইয়াছিন! নতুন বৌয়ের মতো সোহাগ করছে! আগে ‘তুই’ ‘তুই’ করত, এখন ‘তুমি’ ছাড়া ডাকছেই না! এমনকি সারা দিনের খাটাখাটনির পর যখন ফরিদা ক্লান্ত শরীরে দাওয়ায় একটুখানি জিরোনোর জন্য বসছে, ইয়াছিন তখন হাতপাখাটা দিয়ে ফরিদার গায়ে হাওয়া দিচ্ছে!

শুধু কি ঘরের আদর-সোহাগে বদল এসেছে? বাইরেও ইয়াছিন এখন ‘ভাল মানুষ’! অথচ এই ইয়াছিন চোখ অপারেশনের আগের দিন পর্যন্তও এক জন কুখ্যাত সমাজবিরোধী ছিল। জগতে এমন কোনও খারাপ কাজ নেই যেটা করেনি। খুন-ধর্ষণ, চুরি-ডাকতি, পাচার, ভাঙচুর-মারপিট সব করেছে। এক সময় তো বর্ডারে মেয়ে-পাচারকারী হিসেবে পুলিশের খাতায় তার নাম জ্বলজ্বল করত। আর এ-সবে সিদ্ধহস্ত হওয়ার জন্য উপরওয়ালাদের সঙ্গে তার দারুণ দহরম মহরমও ছিল। নেতা-আমলারা তাকে সমীহ করতেন। ইয়াছিন এই তল্লাট থেকে সবচেয়ে বেশি তোলা তুলে দিত শাসক দলকে। সেই ইস্পাত লোহালক্কড়-সদৃশ পাথর মানুষ ইয়াছিন এখন পুরোপুরি মাটির মানুষ! আর এখানেই মানুষের বিস্ময়। চোখ অপারেশনে এমন কী ঘটল যে, এমন পাষাণ মানুষ মাটির মানুষ হয়ে গেল! যার গায়ের চামড়াকে লোকে গন্ডারের চামড়া বলত, সেই লোকের শরীর থেকে এত মায়া-মমতা ঝরে পড়ছে! পরের কষ্ট দেখে এত হা-হুতাশ করছে! যে লোকের হাত দিয়ে এক আনা পয়সা বেরোত না, সে লোক এখন দান-খয়রাতে মহসিন হয়ে উঠছে! কৃপণ হিসেবেও একটা বদনাম ছিল ইয়াছিনের। লোকে বলত, হাড়কিপ্টে লোক সে, গায়ের জ্বরও কাউকে ধার দেয় না! খইল-চিপা লোক ছিল। মাছের কানকো টিপে মাছ কিনত। চোখের তাকানোও খারাপ ছিল ইয়াছিনের। যুবতী মেয়ে দেখলেই কটূক্তি করত। ছুকছুক করে তাকাত। বর্ডার এলাকায় কানাঘুষো শোনা যেত, যে মেয়েদের পাচার করত ইয়াছিন, তাদের ইজ্জত নাকি সে আগে লুট করত। ‘ইজ্জত লুটেরা’ ছিল ইয়াছিন। চোখে তার হিংসাও ছিল খুব। কারও উন্নতি সহ্য করতে পারত না। কারও ভাল কিছু হতে দেখলেই হিংসায় গা-গতর জ্বলে উঠত তার। পাশের বাড়ির বদি সেখের বেটা ইন্তাজ সেখ সে বার মাধ্যমিক পরীক্ষায় স্কুলে প্রথম হয়েছিল। কথাটা সহ্য করতে না পেরে ইয়াছিন বলে বেড়াতে লাগল, ‘ও-সব টুকলি করে ফার্স্ট।’ আকরাম গেরস্ত যখন গ্রামে প্রথম চারচাকা কিনে আনলেন, তখন ইয়াছিন হিংসায় জ্বলে-পুড়ে বলতে লাগল, ‘সুদের টাকার গাড়ি। আজ আছে, কাল ফুড়ুৎ হয়ে যাবে।’ অথচ নিজের রোজগারটার দিকে এক বারও তাকাত না ইয়াছিন। সেটা হারাম না হালাল, তা দেখত না। পরের সবই মন্দ, আর নিজের মন্দ ভাল।

সেই ইয়াছিন এখন বদি সেখকে বলছে, ‘ছেলেকে ডাক্তার বানাও। এ গাঁয়ে একটাও ডাক্তার নেই। তোমার ছেলে মানে তো এ গাঁয়ের সোনার ছেলে! ইন্তাজ আমাদের গর্ব।’ শুধু এখানেই থামেনি সে। আকরাম গেরস্তকে বলছে, ‘তুমি হলে এই শিমুলপুর গাঁয়ের মুরুব্বি মানুষ। তোমার একখানা চারচাকা গাড়ি আছে বলে এ গাঁয়ের সম্মান বেড়ে গেছে। আমাদের গ্রাম আর পিছিয়ে পড়া গ্রাম নয়।’

ইয়াছিন এখন সকাল হলেই গ্রামের মানুষের খোঁজখবর নিচ্ছে! গরিব-মিশকিনদের খয়রাত করছে! মেয়েদের দিকে যাতে কেউ বাঁকা চোখে না তাকায়, সে দিকেও কড়া নজর রাখছে! ফরিদা তার স্বামী লোকটাকে যত দেখছে ততই অবাক হচ্ছে। সে ভেবে কুল পাচ্ছে না, চোখ অপারেশনের দিন এমন কী ঘটল যে তার অসুর স্বামীটা হঠাৎ ফেরেশতা হয়ে উঠল! ফরিদা প্রথম দিকে জানত, ইয়াছিনের দৃষ্টি হারিয়ে যাওয়া চোখদুটোয় কোনও একটা লোকের দান করা চোখের অংশ বসানো হয়েছে। তার দুই চোখের কর্নিয়া নষ্ট হয়ে গেছিল। ডাক্তাররা প্রথমে বলেছিলেন, ইয়াছিন চোখের দৃষ্টি হারাবে। কিন্তু ঈশ্বরের কী কাজ, সেই সময়েই চক্ষু দান করা লোকটি মারা গিয়েছিলেন। কপালের জোরে ইয়াছিন সেই মৃত লোকটির দান করা চোখের কর্নিয়াদুটি পেয়ে গেছিল। আসলে সে সময় কোনও হাসপাতালে কোনও ক্ষমতাবান লোকের কর্নিয়া প্রতিস্থাপন হচ্ছিল না। সেই সুযোগটাই পেয়ে গিয়েছিল ইয়াছিন। চক্ষু দানকারীর মৃত্যুর ছয় ঘণ্টার মধ্যে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করতে হয়। এই অল্প সময়ের জন্যই সুযোগটা পেয়েছিল ইয়াছিন। তা ছাড়া এই এত বড় শহরের কোনও আনাকানি গলিঘুঁজি তো দূরের কথা, আধখানা-পুনখানা মানুষও না ইয়াছিনের পরিচিত, না ফরিদার। ফরিদা বলে, এ সব আল্লার ফেরেশতার কাজ। তা না হলে এই এত বড় শহরের এত বড় হাসপাতালে কোথাকার কোন লোক মারা গেল, আর সে লোকের দান করা চোখ তার স্বামী ইয়াছিনের চোখে প্রতিস্থাপন করা হল!

পরে অবশ্য টিভির খবরে সেই চক্ষুদানকারী লোকটাকে দেখেছিল ফরিদা। লোকটিকে দেখে তার চোখ কপালে উঠে গিয়েছিল। এ তো সাধারণ মানুষ নন, এক জন মহৎ মানুষ! গোটা দেশের লোক তাঁকে চেনে। দেশের এক জন বড় বিজ্ঞানী তো ছিলেনই, বড় মাপের লেখকও ছিলেন! তাঁর মৃত্যুতে তাঁর জন্মগ্রামের সমস্ত মানুষ তিন দিন ধরে অরন্ধন পালন করেছিল। তবে কি ইয়াছিন এখন সেই মহৎ লোকটির চোখ দিয়ে সব কিছু দেখছে! এখন ইয়াছিনের চোখে আর ইয়াছিনের চোখ নেই, সেই মহৎ লোকটির চোখ!

কথাটা মাথায় খেলতেই সারা শরীর হেলে উঠল ফরিদার। কপালে জমল ঘাম। তার দুশ্চিন্তাটা এখন নতুন করে বেড়েছে। মাথায় শুধু ‘চোখ অপারেশন’ আর ‘চোখ অপারেশন’ ঘুরছে। যেন মাথার ভিতরের স্নায়ুগুলোর এখন একটাই কাজ, ‘চোখ অপারেশন’ আর ‘চোখ অপারেশন’। কারণ, ইয়াছিনের পর এ বার তার পালা। ইয়াছিনের তো চোখে হঠাৎ অন্ধত্ব নেমে এসেছিল। আর তার অসুখ তো অনেক দিনের পুরনো। তার ডান চোখটার ছানি অপারেশন করাতেই হবে। ডাক্তার বলে দিয়েছেন, বেশি দেরি করলে চোখটা অন্ধ হয়ে যেতে পারে!

*****

পৃথিবীর সব মানুষ খারাপ হয়ে যাচ্ছে! হিংসা, ঘৃণা আর বিদ্বেষে ছেয়ে যাচ্ছে! দাঙ্গা লেগে যাচ্ছে! বেধে যাচ্ছে যুদ্ধ! পৃথিবী ধ্বংসের সম্মুখীন! ঈশ্বর বিচলিত হয়ে উঠলেন। বুদ্ধি খাটালেন, কী করে তাঁর এই সুন্দর সৃষ্টিখানা বাঁচানো যায়। তাঁর মাথায় কিছু একটা খেলতেই তিনি তাঁর দূতদের হুকুম দিলেন, “আমার পৃথিবীটা মানুষের কুকর্মের জন্য ধ্বংস হতে চলেছে। কিন্তু আমি ধ্বংস হতে দেব না। তোমরা একটা কাজ করো...”

“কী কাজ, হে মহান ঈশ্বর?” দেবদূতেরা জিজ্ঞেস করলেন। মহান ঈশ্বর বললেন, “তোমরা নতুন দৃষ্টি নিয়ে পৃথিবীতে যাও। তার পর পৃথিবীর সব মানুষের চোখের দৃষ্টি পরিবর্তন করে দাও। তাদের আগের দৃষ্টি আমি ফিরিয়ে নিচ্ছি।”

“জো হুকুম, হে মহান ঈশ্বর!” বলেই দেবদূতেরা পৃথিবীতে নামতে লাগলেন। তার পর তাঁরা একে একে পৃথিবীর সব মানুষের চোখের দৃষ্টি বদলে দিতে লাগলেন। এক জন দেবদূত ফরিদার কাছে এলেন। ফরিদার চোখদুটো টেনে ধরলেন। আর অমনই কাতর স্বরে ‘ছেড়ে দিন, ছেড়ে দিন’ বলে চিৎকার করে উঠল ফরিদা।

ঘুম ভেঙে গেল ইয়াছিনের। পাশেই শুয়ে ছিল সে। ফরিদাকে জিজ্ঞেস করল, “কী স্বপ্ন দেখছিলে? ‘ছেড়ে দিন, ছেড়ে দিন’ বলে চিৎকার করছিলে! কী ছেড়ে দিতে বলছিলে?”

ফরিদা উত্তর দিল না। উল্টে সে ইয়াছিনকে জিজ্ঞেস করল, “তুমি কি তোমার চোখ অপারেশনের আগের রাতে কোনও স্বপ্ন দেখেছিলে, যে স্বপ্নে দেখা যাচ্ছে, আকাশ থেকে ফেরেশতারা নেমে এসে তোমার চোখের পুরনো দৃষ্টি কেড়ে নিচ্ছে, আর তার বদলে নতুন দৃষ্টি বসিয়ে দিচ্ছে?”

“কই, না তো!” ইয়াছিন অবাক চোখ থির করে তাকাল ফরিদার দিকে। ফরিদা আরও জিজ্ঞেস করল, “গতকাল সন্ধ্যা রাতে যে লোকটা মারা গেছেন, তিনি এক জন বড় ডাক্তার ছিলেন না?”

“হ্যাঁ, নামী ডাক্তার ছিলেন।”

“লোকটা মরণোত্তর চক্ষুদান করে গেছেন না?”

“হ্যাঁ,” ঘাড় হেলাল ইয়াছিন।

তার পর ফরিদা তার চোখগুলোকে কুতকুত করে জিজ্ঞেস করল, “এই লোকটাই এক জন জুনিয়র ডাক্তারকে খুন করে পনেরো বছর জেল খেটেছিলেন না?”

“খবরে তাই তো দেখলাম!” ইয়াছিন উত্তর দিল।

ফরিদা বলল, “আমি কিন্তু আজ চোখের ছানি অপারেশন করাতে যাব না।”

“কেনে গো?” ভুরু টান করে ফরিদার দিকে তাকাল ইয়াছিন। ফরিদা ঠোঁটের ফাঁকে দুষ্টু হাসি হেসে বলল, “অপারেশনের পর যদি তোমাকে আর চিনতে না পারি!”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bengali Short Story Short story

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy