অন্যের মত, আদর্শ, বিশ্বাস, ব্যবহার, যারা মানতে আগ্রহী নয়, তাদেরই অসহিষ্ণু বলি আমরা। ইদানীং শিক্ষিত শহুরে লোকরা ভারতে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে কি না, এ নিয়ে বিতর্কে মেতেছেন। বেশির ভাগ লোকই এই বিতর্কের কথা না জেনে, যেমন অসহিষ্ণু তেমনই থেকে যাচ্ছেন। এখনও নারীর প্রতি পুরুষ অসহিষ্ণু। এখনও গরিবের প্রতি ধনী অসহিষ্ণু। এখনও এক ধর্মের লোক আর এক ধর্মের লোকদের প্রতি, এক রাজনৈতিক বিশ্বাসের মানুষ আর এক রাজনৈতিক বিশ্বাসের মানুষের প্রতি অসহিষ্ণু। খুনখারাপি করলেই সে অসহিষ্ণু, তা না হলে নয়— তা তো নয়। যারা গোমাংস খাওয়ার অপরাধে মুসলিমদের খুন করেছে, হিন্দু ধর্মের বা কুসংস্কারের নিন্দা করেছিলেন বলে কালবুর্গিকে যারা খুন করেছে, তারা শুধু অসহিষ্ণু নয়, তারা বর্বর, ধর্মান্ধ খুনি, ক্রিমিনাল।
লেখক-বুদ্ধিজীবীদের অনেকে তাঁদের পুরস্কার ফিরিয়ে দিচ্ছেন। প্রতিবাদের এ এক নতুন রূপ। যে যে ভাবে প্রতিবাদ করতে পছন্দ করেন, সে ভাবে করছেন। অনেকে বলছেন, রুশদির বই যখন নিষিদ্ধ করা হল, তাঁকে যখন কলকাতায় বা জয়পুর সাহিত্য উৎসবে যেতে দেওয়া হল না, অথবা তসলিমাকে যখন হায়দরাবাদে আক্রমণ করা হল, তাঁকে যখন কলকাতা থেকে বা ভারত থেকে বের করে দেওয়া হল, তখন কোথায় ছিল ওই লেখক-বুদ্ধিজীবীদের চেতনা? তখন কেন পুরস্কার ফেরত দেননি ওঁরা? মোদ্দা কথা, মুসলিম মৌলবাদীরা অন্যায় করলে তার প্রতিবাদ আপনারা করেন না, কেবল হিন্দু মৌলবাদীরা অন্যায় করলেই প্রতিবাদ করেন?
যদি করেনই, আপত্তি কেন? আমি সব ধর্মীয় মৌলবাদের বিপক্ষে দাঁড়াই। কেউ যদি তা না করতে চান, যদি কেউ মনে করেন, একটি ধর্মের মৌলবাদের বিপক্ষেই তিনি দাঁড়াবেন, তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে আমি যাব কেন, যদি আমি মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি? বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের লেখক-বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের দেশের মুসলিম মৌলবাদীদের বিপক্ষে লড়েন, হিন্দু বা খ্রিস্টান মৌলবাদীদের বিপক্ষে নয়। নিরীহ সংখ্যালঘুর প্রতি সব দেশের বুদ্ধিজীবীদের সহানুভূতি কাজ করে। তবে ঠিক এ ভাবে সব দেশের সব সংখ্যালঘুকে বিচার করা চলে না। পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দু বা খ্রিস্টান এবং ভারতের সংখ্যালঘু খ্রিস্টান বা মুসলমান একই রকম নিরীহ নয়, একই ভাবে তারা নির্যাতিতও হয় না। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়েও মৌলবাদী থিকথিক করছে, সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের মৌলবাদীর চেয়ে তারাও কম যায় না। বাংলাদেশে এখনও হিন্দু মৌলবাদীরা শাস্ত্রমতে চলার পক্ষপাতী, নারীর সমানাধিকারের পক্ষে যে কোনও আইনের তারা ঘোর বিরোধী। ভারতেও একই হাল। সংখ্যালঘু মুসলমান তার নিজের আইনে চলবে, সভ্য আইন নৈব নৈব চ।
অসহিষ্ণুতা নিয়ে কত কাণ্ডই না হচ্ছে। আমির খান বললেন, তাঁর স্ত্রী নাকি ভারত ছাড়ার কথা তুলেছেন। অমনি শুরু হয়ে গেল আমিরের বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক। শিবসেনার কেউ কেউ তো ঘোষণা করে দিল, আমির খানের গালে যে চড় মারতে পারবে, তাকে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। শুনে আমার মনে পড়ল, ২০০৪ সালে কলকাতায় ঘোষণা করা হয়েছিল, আমার মুখে চুনকালি দিতে পারলে পঞ্চাশ হাজার টাকা পুরস্কার। শুধু টাকার অংকটায় আর সময়টায় পার্থক্য, তা ছাড়া সব তো এক।
তার পরও আমি হিন্দু আর মুুসলিম সন্ত্রাসীদের এক কাতারে রাখি না। সারা বিশ্বে আজ মুসলিম সন্ত্রাসীরা যে কাণ্ড করে বেড়াচ্ছে, তার তুলনায় হিন্দু সন্ত্রাসীরা কিছুই করছে না। আইএস, বোকো হারাম, আল শাবাব, আল কায়দা, লস্কর-ই-তৈবা, হিজবুল্লাহ, হিজবুত তাহিরি— এ সবের কাছাকাছি আসতে পারবে কোনও আরএসএস, শিবসেনার দল! যে ভাবে ওরা গলা কাটছে মানুষের, যে ভাবে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে, হিন্দু সন্ত্রাসীদের পক্ষে তা কোনও কালেই সম্ভব নয়। সে দিন এক জন বলল, হিন্দুরা যদি মুসলমানদের মতো গলা কাটার সুযোগ পেত, গলা কাটত। সুযোগ পাচ্ছে না বলে করছে না।
আমির খানের বিরুদ্ধে যে কাণ্ডগুলো হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হচ্ছে, সমাজের অসহিষ্ণুতা নিয়ে ওঁর আশংকা একেবারেই অমূলক ছিল না। আমিরের নিন্দুকরাই ওঁর কথার সত্যতা প্রমাণ করেছে। এক বার মনে হয় আমির যা-ই বলুন, তাঁর মতো তারকার কখনও ভারত ছেড়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি আসবে না। আবার এ-ও মনে হয়, মকবুল ফিদা হুসেনের মতো তারকার যদি সেই পরিস্থিতি আসতে পারে, আমিরেরও আসতে পারে। দেশকে ভালবাসেন বলেই আমির দেশে কোনও অরাজকতা চান না। আমিও এ দেশকে ভালবাসি বলে চাই এ দেশে নারী-পুরুষের সমতা থাকুক, অন্যায়-অত্যাচার-দারিদ্র-বৈষম্য দূর হোক, ধর্মান্ধতা-কুসংস্কার ঘুচে যাক, বাক্স্বাধীনতা মুক্তি পাক, মানুষ সভ্য হোক, বিজ্ঞানমনস্ক হোক। যখন এ দেশে ঘটতে থাকা মন্দ-বীভৎস ঘটনার সমালোচনা করি, এদেশি কিছু জাতীয়তাবাদী আমাকে গালি দিয়ে অনুযোগ করে, এ দেশের নিন্দা করছি আমি। কী করে বোঝাই, দেশটার ভাল চাই বলে সমালোচনা করি, যেন মন্দ-বীভৎস ঘটনা আর কখনও না-ঘটে। ওই জাতীয়তাবাদীরা মনে করে, মন্দ-বীভৎস ঘটনাগুলো কার্পেটের তলায় রেখে চোখ বুজে জোরে জোরে জাতীয় সংগীত গেয়ে ফেললেই দেশকে ভালবাসা হয়ে গেল। দেশকে আমি ওদের চেয়ে অন্য ভাবে ভালবাসি। ক্ষতকে আড়াল করে নয়, ক্ষতের চিকিৎসা করে শরীরে সুস্থতা আনার পক্ষে আমি।
আমির খানকে এক জন প্রশ্ন করেছে, মুম্বই হঠাৎ তাঁর কাছে অ-নিরাপদ জায়গা হয়ে পড়ছে কেন? এত যে মুসলমানদের বোমাবাজি হল মুম্বইয়ে, সন্ত্রাসী হামলা হল, তখন তো উনি অ-নিরাপদ বোধ করেননি! হ্যাঁ, একেবারেই ফেলে দেওয়ার মতো কথা নয়। কিন্তু হয়তো আমির তখনও অ-নিরাপদ বোধ করেছিলেন। হয়তো প্রকাশ করেননি। হয়তো অনেকে মনে করেন, মুসলিম মৌলবাদীদের গালাগালি দেওয়ার চেয়ে হিন্দু মৌলবাদীদের গালাগালি দেওয়া নিরাপদ। এ কিন্তু এক দিক থেকে প্রমাণ করে, হিন্দু মৌলবাদীরা মুসলিম মৌলবাদীদের মতো ভয়ংকর নয়।
সব সমাজেই অসহিষ্ণু লোক থাকে। আমেরিকা, ইউরোপেও আছে, এশিয়া, আফ্রিকাতেও আছে। ভারতবর্ষকে অসহিষ্ণু আখ্যা না দিয়ে বরং অসহিষ্ণু মানুষকে অসহিষ্ণু আখ্যা দেওয়া উচিত। ভারতবর্ষের সংবিধান এবং আইন কোনও রকম অসহিষ্ণুতাকে উৎসাহ দেয় বলে আমি মনে করি না।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, যত দূর জানি, হিন্দু কট্টরপন্থীদের কোনও অসভ্য কার্যকলাপে হাততালি দেননি। কেউ কেউ বলছেন, দাদরি হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করে তাঁর উচিত ছিল আখলাকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করা। নরেন্দ্র দাভোলকর বা গোবিন্দ পানেসরকেও তো মেরে ফেলা হয়েছে তাঁদের ধর্মান্ধতা আর কুসংস্কার-বিরোধী আন্দোলনের জন্য। অসহিষ্ণুতা তো এই সরকারের আমলেই প্রথম নয়, সব সরকারের আমলেই ঘটেছে। তখন তো সমাজ অসহিষ্ণু হয়ে যাচ্ছে, দেশ রসাতলে গেল— এ রকম হাহাকার শুরু হয়নি। আসলে সত্যি বলতে কী, দেশ এবং মানুষ ধীরে ধীরে আগের চেয়ে অনেক বেশি সভ্য হচ্ছে। বর্বরতার পরিমাণ আগে অনেক বেশি ছিল এখনকার চেয়ে। এখন ধর্ষণ হলে, খুন হলে, কোথাও কোনও অসহিষ্ণুতা ঘটলে মুহূর্তে ছড়িয়ে যায় খবর। এখন মানুষ জানে যে, মেয়েদের পেটানো বা ন্যাংটো করে বাজারে ঘোরানো, বা ধর্ষণ করা বা প্রাণে মেরে ফেলা অন্যায়। কন্যাশিশুদের জ্যান্ত পুঁতে ফেললে মানুষ এখন ছি-ছি করে। এক সময় এ সব কাজকে উচিত কাজ বলেই ভাবত লোকেরা। এক সময় ব্রাহ্মণ্যবাদের অত্যাচার স্বাভাবিক ছিল, এখন ওগুলো নিন্দার বিষয়। শূদ্রকে শূদ্র বলে ঘাড়ধাক্কা দেওয়াটা চোখে লাগত না। এখন লাগে। এখন মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি মানবাধিকারে, নারীর অধিকারে, সমতা আর সমানাধিকারে বিশ্বাস করে। দীর্ঘ কাল যাবৎ যে মুক্তবুদ্ধির চর্চা চলেছে সমাজে, এ তারই ফল।
ভারতে, শুধু ভারতে নয়, সারা পৃথিবীতেই লড়াই চলছে। এই লড়াইটা কিন্তু বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে নয়, এই লড়াই দুটো মতবাদের মধ্যে— ধর্মনিরপেক্ষতা এবং মৌলবাদ। লড়াইটা বিজ্ঞানমনস্কতা আর ধর্মান্ধতার মধ্যে, যুক্তিবাদিতা আর কুসংস্কারের মধ্যে, জ্ঞান আর অজ্ঞানতার মধ্যে, সচেতনতা আর অচেতনতার মধ্যে, স্বাধীনতা আর পরাধীনতার মধ্যে। এই লড়াইয়ে আমি জানি, আমি কোন পক্ষে। বিপক্ষের মত প্রকাশের অধিকারের পক্ষে আমি, কিন্তু তার মতকে মেনেও নিতে চাই না, শ্রদ্ধাও করতে চাই না। তার মানে এই নয় যে, ভোরবেলায় বিপক্ষের কেউ যখন মর্নিং ওয়াকে বেরোবে, আমি তাকে গুলি করে মারব, বা সে যখন ফুটপাতে হাঁটবে, তাকে চাপাতি চালিয়ে খুন করব। না, কারও মত আমার অপছন্দ হলে তাকে আমি চুমু খাব না, তার গালে আমি চড়ও দেব না। আমি লিখব। লিখে আমি আমার মত প্রকাশ করি। কারও যদি আমার লেখা পছন্দ না হয়, লিখে আমার লেখার প্রতিবাদ করতে পারেন, আমার মতের বিরুদ্ধে বক্তৃতা দিতে পারেন, কিন্তু আমাকে মারতে আসতে পারেন না। বাক্স্বাধীনতার এই শর্তটি আজকাল অনেকেই জানেন। জানলেও কিছু কিছু ধর্মীয় মৌলবাদী-সন্ত্রাসী শর্তটি মোটেও মানতে চান না।
লক্ষ করছি, হিন্দু মৌলবাদীদের একটা ভয়— হিন্দু ধর্ম আর সংস্কৃতি বুঝি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ভয়— মুসলিম মৌলবাদই বা ইসলামই এর বিলুপ্তির কারণ। সুতরাং ধর্ম টিকিয়ে রাখার জন্য মুসলিম মৌলবাদীরা যে পদ্ধতি অনুসরণ করছে, তারাও তা-ই করছে। তারাও যুক্তিবাদীদের, বিধর্মীদের, অবিশ্বাসীদের হত্যা করতে শুরু করেছে।
এ ভাবে কি ধর্ম টিকে থাকে? পৃথিবীতে শত শত ধর্ম ছিল। এখন তারা বেশির ভাগই বিলুপ্ত। কোথায় আজ অলিম্পিয়া পাহাড়ের সেই ডাকসাইটে গ্রিক দেবতারা, কোথায় শক্তিশালী রোমানদের নামীদামি ঈশ্বর? কোথায় মিশরীয় ফারাওদের ঈশ্বর? সব আজ ইতিহাস। ইসলাম, খ্রিস্ট ধর্ম, ইহুদি ধর্ম, বৌদ্ধ বা হিন্দু ধর্মও এক সময় ইতিহাস হবে। যুগোপযোগী নতুন ধর্ম আসবে, অথবা যুক্তিবাদ আর বিজ্ঞানমনস্কতায় মানুষের বিশ্বাস বাড়বে।
ভারতে অসহিষ্ণুতা নিয়ে বিতর্কে একটুখানি যা লাভের লাভ হয়েছে তা হল, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আশির দশকে রুশদির বই নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল। অসহিষ্ণুতা যে শুধু ধর্মীয় মৌলবাদীদের মধ্যে তা নয়, রাজনীতিকদের মধ্যেও প্রচণ্ড। পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকার আমার বই নিষিদ্ধ করেছিলেন, আমাকে রাজ্য থেকে বার করে দিয়েছেন, তৃণমূল সরকার কলকাতা বইমেলায় আমার বই উদ্বোধনের অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করেছে, টিভির জন্য লেখা আমার মেগাসিরিয়াল দেখাতেই দেয়নি। সবই মুসলিম মৌলবাদীদের তোষণ করার জন্য এবং মুসলমানের ভোট পাওয়ার জন্য। আমি প্রশ্ন করেছিলাম, চিদম্বরমের মতো পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কি তাঁদের ভুল স্বীকার করবেন? না, তাঁরা ভুল স্বীকার করবেন না। ভুলটাই আজকের রাজনীতিকদের কাছে বাস্তবতা, যে বাস্তবতা ছাড়া, তাঁরা বিশ্বাস করেন, ভোটে জেতা সম্ভব নয়।
এ ভাবেই চলবে ভারত, যে ভাবে চলছে। এ ভাবেই চলবে পৃথিবী। অশিক্ষা, জড়তা আর মূর্খতা চলবে শিক্ষা আর সচেতনতার পাশাপাশি। ধর্মান্ধ আর রাজনীতিক নিজেদের স্বার্থ দেখবে, সমাজটাকে অন্ধকারেই ফেলে রাখবে, শুধু সুস্থ সচেতন মানুষই সমাজ পালটাবে। হাতে গোনা কিছু মানুষই সমাজ পালটায়। চিরকাল তা-ই হয়েছে।
মানুষ মূলত অসহিষ্ণু। সে ভালবাসতে যেমন জানে, ঘৃণা করতেও জানে। আজ বিতর্ক হোক, বিতর্ক ছাড়া সমাজ এগোয় না। অসহিষ্ণুতার পক্ষে বিপক্ষে যা হচ্ছে, তা বেশ লাগছে। শুধু ভায়োলেন্সটা যেন না হয়। ভায়োলেন্সটা বা বর্বরতাটা মানুষের রক্তে। রক্ত থেকে এই জিনিসটা বিদেয় করতে পারলে মানুষের জয় নিশ্চিত।