আমার সমস্যা হল, দিদিমণিরা পড়া জিজ্ঞেস করলে আমি ঘাবড়ে যাই। আমার হাত-পা কাঁপতে থাকে। কী করব?
তিতাস মল্লিক। দ্বাদশ শ্রেণি, ব্যাঁটরা পাবলিক লাইব্রেরি শিক্ষানিকেতন গার্লস হাইস্কুল
তিতাস, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটা আসে যদি পড়া ভাল ভাবে তৈরি না থাকে। যদি পড়া তৈরি থাকে, তবুও ঘাবড়ে যাও, তা হলে একটাই কারণ থাকে, ভুল করলে শাস্তির ভয় বা বন্ধুরা হাসবে, তাদের চোখে তুমি ছোট হয়ে যাবে— সেই ভয়।
প্রথমত, পড়া ভাল করে তৈরি করো। তার পর পড়া দেওয়া প্র্যাক্টিস করো। বাড়ির কাউকে বলো, তোমায় বার বার পড়া ধরবে। আর বন্ধুরাও তো তোমারই মতো। তুমি কখনও কখনও ভুল করবে, আবার ওরাও কখনও কখনও ভুল করবে। মনে রেখো, তোমরা সবাই শিখতে এসেছ— কেউ আশা করে না যে তুমি সব জানো। তুমি জানার, বোঝার চেষ্টা করেছ, সেটাই আসল।
আমি আমার গৃহশিক্ষকের কাছে পরীক্ষায় পুরো নম্বর আর ভাল নম্বর দুই-ই পাই, কিন্তু স্কুলে ফাইনাল টেস্টে সব বিষয়ে পুরো নম্বর পাই না। খুব টেনশনে থাকি।
দেবজিৎ চক্রবর্তী। সপ্তম শ্রেণি, শক্তিনগর উচ্চ বিদ্যালয়, কৃষ্ণনগর, নদিয়া
দেবজিৎ, তুমি তো কারণটা বলেই দিয়েছ। তুমি যত নম্বর পাওয়ার জন্য পড়বে, পরীক্ষা দেবে, তত টেনশন বাড়বে আর পরীক্ষার ফল আশানুরূপ হবে না। পড়া আর শেখাটাকে লক্ষ করো— নম্বর পাওয়া নয়। আগেরটা ঠিক হলে, পরেরটা আপনি ঠিক হবে। যদি কখনও কম নম্বর পাও, তাতে এত বিচলিত হওয়ার কী আছে। তুমি নিশ্চয়ই কিছু ভুল করেছ। বুঝে নাও, কী ভুল করেছ, পরের বার সেটা শুধরে নাও। দেখবে, তোমার শেখা যত বাড়বে, তোমার আত্মবিশ্বাসও বাড়বে। নম্বর আপনিই আসবে।
খামে ভরো মুশকিল
পড়াশোনা, শিক্ষক বা বন্ধুদের নিয়ে তোমার যা মুশকিল, জানাও আমাদের।
চিঠির উত্তর দেবেন সাইকো-অ্যানালিস্ট পুষ্পা মিশ্র, বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। চিঠিতে তোমার নাম আর ক্লাস জানাতে ভুলো না। খামের উপরে লেখো: ইসকুলে মুশকিল, রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা, ৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০১