জোড়া শালিক
রিম, ঝিম দুটি ছোট্ট বন্ধু আমার। থাকে ওরা বাড়ির পিছনে চালের কোটোরে। বন্ধুত্বের বয়স এক বছর। ওরা আমার ডাকে সাড়া দিয়ে নেমে আসে রান্নাঘরের দরজার সামনে। আমি ওদের তখন বিস্কুটের টুকরো খেতে দিই। রিম আনন্দে খায়, এবং ঝিম ভয়ে ভয়ে খায়। খাওয়া শেষে ওরা বসে গোলার চালের উপর। কখনও বা মোটর সাইকেলের আয়নায় ও বারান্দায় ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় ওদের সুন্দর চেহারা দেখে নেয়। এক দিন ওদের বাসায় ডিম ফুটে ছোট্ট মিমির জন্ম হল। বিস্কুটের টুকরো, পোকা, মুড়ি ইত্যাদি ঠোঁটে করে নিয়ে দু’জনে মিলে খাওয়ায়। মিমিও আস্তে আস্তে মা-বাবার যত্নে বড় হয়ে ওঠে। ওরা মিমিকে সঙ্গে নিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসে। মিষ্টি মিমি এক দিন কোথায় যেন উড়ে যায়। কিন্তু রিম, ঝিম রোজ আসে তিন বেলা আমার হাতের খাবার খেতে।
সুজয় মণ্ডল। পঞ্চম শ্রেণি, দেবগ্রাম বরমপুর হাইস্কুল, বর্ধমান
মাছশিকারের কৌশল
বাড়ির পাশের পুকুরে রোজ দেখি একটি কালো কুচকুচে পানকৌড়ি অদ্ভুত কৌশলে মাছ ধরে খাচ্ছে। পুকুরের এক জায়গায় ডুব দিয়ে অনেকক্ষণ পরে খানিক দূরে জলের উপর ভেসে ওঠে। এই ভাবে যতক্ষণ না একটি মাছ ধরছে, ততক্ষণ সে ডুব দিতে থাকে। তার দু’টি ঠোঁট দিয়ে মাছ ধরে খেয়ে, স্নান করে, পাশে গাছের ডালে বসে তার ডানা দু’টি ও গায়ের পালক শুকনো করে অন্য কোথায় উড়ে চলে যায়।
অর্কপ্রভ জানা। তৃতীয় শ্রেণি, রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রম বিদ্যালয়, তমলুক
ঠাকুরঘরে কে?
মা রোজ স্নান করে এসে ঠাকুর পুজো করেন। আমিও রোজ স্কুল থেকে ফিরে দেখি অন্য সব প্লেটের প্রসাদ আছে, কেবল একটি প্লেটের প্রসাদ নেই! সে দিন ছিল রবিবার। ভাবলাম, কে ওই প্লেট থেকে প্রসাদ নেয় আজ দেখব। সেখানে লুকিয়ে চুপ করে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম। এর পর দেখলাম, একটি টিকটিকি এসে প্রসাদ চুরি করে ফ্রিজের পিছনে চলে গেল।
অরিজিৎ মান্না। ষষ্ঠ শ্রেণি, জগৎপুর আদর্শ বিদ্যালয়, হাওড়া
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা, অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো:
নজরদার, রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার িস্ট্রট, কলকাতা ৭০০০০১