আমেরিকা ও ইউরোপের পর ভারতের বাজারেও আসতে চলেছে ‘ড্রিমসেভার’ বা স্বপ্ন সঞ্চয়ক যন্ত্র। আপনি ঘুমোবার সময় যে স্বপ্ন দেখবেন, তা ‘সেভ’ করে রাখবে এই যন্ত্র। ঘুম থেকে উঠে আবার দেখুন সেই স্বপ্ন, বার বার। ইচ্ছে করলে ফুল থ্রিডি-তে। ঘুমোতে যাবার সময় শুধু পরে নিন টুপির মতো একটি স্লিপিং ক্যাপ। ঘুমের রেম (র্যাপিড আই মুভমেন্ট)-এ যত রকমের মস্তিষ্ক-তরঙ্গ তৈরি হবে, এটি তাদের শনাক্ত করে, ডিজিটাল অডিয়ো-ভিশুয়াল মিডিয়ায় রূপান্তরিত করে, যন্ত্রের মেমরিতে ধরে রাখে। সৃষ্টিশীল কাজের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁরা তো ভীষণ খুশি এই আবিষ্কারে। স্বপ্নে অনেক বৈজ্ঞানিকই ফর্মুলা খুঁজে পেয়েছেন, লেখক-কবিরা পেয়েছেন গল্পের প্লট, কবিতার লাইন। শিল্পী খুঁজে পেয়েছেন তাঁর ক্যানভাসের দৃশ্য। এখন এই সব স্বপ্ন জমিয়ে রাখা সম্ভব হওয়ায় এঁদের কাজের বিরাট সুবিধা হয়েছে। বেশ কয়েকটি দেশে তরতরিয়ে বাড়ছে লুসিড ড্রিমিং-এর ক্লাস। অর্থাৎ যেমন খুশি তেমন স্বপ্ন দেখতে শেখা। স্বপ্ন যেমন বাস্তব আর কল্পনার সীমানাগুলোকে ঘুচিয়ে দেয় অনায়াসে, তেমনই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় অবচেতনে আপনি ঠিক কী চান। তাই, এর মধ্যেই স্বপ্নের বিশ্লেষণ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি সাইট খুব জনপ্রিয় হয়েছে। সেখানে নিজের স্বপ্ন আপলোড করলে, বিশেষজ্ঞরা তার পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা তুলে ধরবেন, যার অনেক কিছুই আপনাকে চমকে দেবে। এ দিকে, অন্যের দেখা স্বপ্ন প্রায় সকলেই যে বেশ উপভোগ করেন, তার প্রমাণ ইউ টিউবে বেশ কিছু স্বপ্নের কয়েক মিলিয়ন লাইক। স্বপ্ন দেখার প্রতিযোগিতাও দিন দিন দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি ভিয়েনাতে পোষ্যদের স্বপ্ন দেখার প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান পেল একটি রিট্রিভার কুকুর। সে দেখেছে, জঙ্গি-উপদ্রুত এক এলাকায় অভিযানে গিয়ে সে খুঁজে পেয়েছে একটি গোপন বোমা, যা ফাটতেই ছড়িয়ে পড়ছে অনেক অনেক হাড়।
সুপ্রতীক রায়চৌধুরী, সোদপুর, কলকাতা
লিখে পাঠাতে চান ভবিষ্যতের রিপোর্ট? ঠিকানা: টাইম মেশিন, রবিবাসরীয়, আনন্দবাজার পত্রিকা, ৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০ ০০১। অথবা pdf করে পাঠান এই মেল-ঠিকানায়: robi@abp.in