আমার তিনটি সমস্যা। প্রথম সমস্যা হল, আমার সেকশনের ছাত্ররা আমায় খেলায় নেয় না। দ্বিতীয়, সন্ধেবেলা এক-দেড় ঘণ্টা পড়ার পর আমার আর পড়তে ইচ্ছে করে না। তৃতীয়, বড় অঙ্ক সব ঠিক করে শেষে ভুল করে দিই।
অর্কদীপ দাঁ। পঞ্চম শ্রেণি, বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুল
অর্কদীপ, তোমার বন্ধুরা তোমায় খেলায় কেন নেয় না, সেটা জানতে চেষ্টা করেছ কি? তুমি যদি খেলায় দক্ষ না হও, তা হলে স্বাভাবিক ভাবেই কোনও দল তোমায় খেলায় নিতে চাইবে না। সুতরাং, তুমি কারণটা জানার চেষ্টা করো। তার পর সেই কারণটা দূর করার চেষ্টা করো। না হলে দেখো, যদি অন্য সেকশন-এর ছাত্রদের সঙ্গে খেলতে পারো কি না।
আমাদের মনোযোগ টানা খুব বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয় না। এক-দেড় ঘণ্টার পরে যদি পড়তে ইচ্ছে না হয়, তা হলে পড়া বন্ধ করে খানিক ক্ষণ গল্প-গুজব করবে, কথা বলবে। আধ ঘণ্টা-চল্লিশ মিনিট পরে আবার পড়তে বসবে।
অঙ্ক করার সময় প্রতিটি স্টেপ লিখবে। পাশাপাশি নয়, একটা লাইনের নীচে আর একটা লাইন। এই ভাবে লিখলে তুমি পুরো অঙ্কটার দিকে তাকালে কোথায় ভুল করেছ, চট করে ধরতে পারবে। অঙ্ক খুব পরিষ্কার করে করবে।
আমার ক্লাসে দু’জন বাদে সবাই আমার বন্ধু। আমি পড়া না পারলে ওরা হাসে। আমি রোগা বলে ওরা আমায় ‘রুগনি’ বলে খ্যাপায়। মিড ডে মিলের জন্য লাইনে দাঁড়ালে ওরা হাসে।
প্রীতি চট্টোপাধ্যায়। অষ্টম শ্রেণি, লেক টাউন গভঃ স্পনসর্ড হাই স্কুল
দেখো প্রীতি, দু’জন তোমাকে নিয়ে হাসাহাসি করে কিন্তু ক্লাসের বাকি সবাই তো তোমার বন্ধু। তুমি ওদের হাসাহাসি, খ্যাপানোতে একেবারেই কান দেবে না। বরং যদি প্রয়োজন হয়, ওদের একটু পড়া বলে দেওয়া বা অন্য কোনও ব্যাপারে সাহায্য করবে। দেখবে, কিছু দিন পরে ওরাও তোমার বন্ধু হয়ে যাবে।
আমার বন্ধু কুণাল সব সময় আমার জিনিস চায়, না দিলে আমায় মারে আর দিলে জিনিস নষ্ট করে দেয়।
সপ্তর্ষি বিশ্বাস। পঞ্চম শ্রেণি, ডন বসকো স্কুল, শিলিগুড়ি
সপ্তর্ষি, তোমার বন্ধুর কি তোমার উপর কোনও রাগ আছে? জিজ্ঞেস করো না তাকে। না হলে, হয় শিক্ষক মহাশয়কে সব কথা জানাও অথবা তুমি তোমার সিট বদলে অন্য জায়গায় বসো।