কাঁচা আম দিয়ে ডাল খাওয়ার চল বাংলার অধিকাংশ বাড়িতেই রয়েছে। কাঁচা আমের আচার, চাটনি, এমনকি কাঁচা আম দিয়ে স্যালাড, তরকারিও বানান কেউ কেউ। কিন্তু টসটসে রসালো পাকা আম, যা এমনিতেই সুস্বাদু, তাই দিয়ে তরকারি বানানোর কথা ভেবে দেখেছেন কখনও?
কেউ কেউ পাল্টা প্রশ্ন তুলতে পারেন, যে জিনিসটা রান্না না করেই খেতে ভাল লাগে, তাকে আবার রান্না করা কেন, তাতে বাড়তি কী এমন স্বাদ আসবে? কিন্তু এই যুক্তি খুব একটা জোরালো নয়। রান্না না করে খাওয়া যায় এমন বহু সব্জিকে রান্না করে খাওয়ার চল আছে। গাজর, টম্যাটো, পেঁয়াজ ইত্যাদি কাঁচাও খাওয়া যায়। কেউ কেউ তা কাঁচা অবস্থায় খেতে ভালও বাসেন। আবার এই সব্জি রান্না করতেও ব্যবহার করা হয়। সে ক্ষেত্রে পাকা আমই বা কী দোষ করল!
পাকা আম দিয়ে তৈরি তেমনই এক সুস্বাদু রান্নার প্রণালী রইল, যা পাঁচ মিনিটেই রেঁধে ফেলা যাবে। খাওয়া যাবে রুটি, পরোটার সঙ্গেও।
কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ: ১টি পাকা আম
এক চিমটে হিং
একটি শুকনো লঙ্কা
আধ চা চামচ জিরে
আধ চা চামচ কালো জিরে
আধ চা চামচ মেথিদানা
আধ চা চামচ লাল লঙ্কার গুঁড়ো
১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
১ চা চামচ সর্ষের তেল
১/৪ কাপ পেঁয়াজকুচি
স্বাদমতো নুন
প্রণালী:
আম পাকলেও তাতে একটু শক্ত ভাব থাকলে এই রান্নাটি করতে সুবিধা হবে। আমের খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে কেটে নিন।
প্যানে তেল গরম করে তাতে কালো জিরে, সাদা জিরে, মেথিদানা এবং শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন। সুগন্ধ বেরোলে দিয়ে দিন হিং। খানিক ক্ষণ নাড়াচাড়া করে দিয়ে দিন আমের টুকরোগুলো।
চড়া আঁচে তেলে খানিক ক্ষণ আমের টুকরোগুলি নাড়ুন। এর পরে দিন লঙ্কাগুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, সামান্য চাট মশলা।
একদম শেষে পেঁয়াজকুচি ছড়িয়ে আঁচ বন্ধ করে কিছু ক্ষণ ঢেকে রাখুন।