রান্নাটি পঞ্জাবী ঘরানার। তবে বানানো সহজ। আয়োজনও ঝক্কিহীন।
মূল উপকরণ বলতে দু’টি পালংশাক এবং রসুন। সেই দু’টিকেই মশলা দিয়ে ভাল করে কষিয়ে রাঁধা হয়। পালং শাকের ঘণ্ট খেতে ভালবাসে যে বাঙালি, তাঁদের মনে হতে পারে— ‘শুধু পালংশাক? কোনও সব্জি এমনকি পনিরও নেই! তা হলে খাবেটা কি’? পঞ্জাবে কিন্তু পালংশাকের ওই রান্না দিয়েই বজরার রুটি, নান বা পরোটা জমিয়ে খাওয়া হয়।
পঞ্জাবে ওই খাবারকে বলা হয় লেহসুনি পালং। বাংলায় রসুন-পালং বলা যেতে পারে অবশ্যই। পঞ্জাবে রুটির সঙ্গত করলেও বাঙালির প্রিয় ভাতের সঙ্গেও পালংশাকের ওই রান্না খেতে মন্দ লাগবে না। আবার চাইলে রাতে রুটি-পরোটার নৈশভোজে একটু অন্য স্বাদ আনা যাবে ওই রান্না দিয়ে।
কী ভাবে বানাবেন
রসুন পালং বানানোর জন্য আলাদা করে মশলা তৈরি করার দরকার নেই। রান্নাঘরের দৈনন্দিন প্রয়োজনে যা লাগে তাই তাই দিয়েই তৈরি করে ফেলা যায়।
উপকরণ:
৪ কাপ পালংশাক কুচনো
১ টেবিল চামচ ঘি
১/৪ চা চামচ জিরে
৩ টেবিল চামচ রসুন কুচি
১ চা চামচ কাঁচা লঙ্কা কুচি
২ টি শুকনো লঙ্কা
১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
১/৪ চা চামচ লঙ্কা গুঁড়ো
১ টি ছোট টম্যাটো কুচি
১/৪ চা চামচ চিনি
সামান্য বেকিং সোডা
স্বাদ মতো নুন
উপরে ছড়ানোর জন্য:
১ টেবিল চামচ ঘি
১/২ চা চামচ জিরে
১ চা চামচ লম্বা করে কাটা রসুন
১টি শুকনো লঙ্কা
প্রণালী:
একটি সস প্যানে জল গরম করে তাতে সামান্য নুন এবং বেকিং সোডা দিয়ে তার মধ্যে পালং শাক দিয়ে ভাপিয়ে নিন। এ বার একটি পাত্রে বরফ ঠান্ডা জল নিয়ে তাতে ওই পালংশাক তুলে নিন। ঠান্ডা হলে বেটে নিন। বেশি মিহি করে বাটার দরকার নেই।
একটি প্যানে ১ টেবিল চামচ ঘি গরম করে তাতে ১/৪ চা চামচ জিরে, রসুন কুচি, ২টি শুকনো লঙ্কা দিয়ে কিছু ক্ষণ ভেজে তাতে কাঁচা লঙ্কা কুচি, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, দিয়ে খানিক ক্ষণ নাড়াচাড়া করে তাতে পালং শাক বাটা এবং নুন দিয়ে মিনিট দশেক ভাজুন। তেল ছেড়ে এলে অল্প জল, চিনি এবং কুঁচনো টম্যাটো দিয়ে আরও মিনিট দশেক নাড়া চাড়া করে যে পাত্রে পরিবেশন করবেন তাতে ঢেলে দিন।
এ বার আলাদা একটি ছোট প্যান আঁচে বসিয়ে তাতে ঘি, আধ চা চামচ জিরে, একটি শুকনো লঙ্কা, সরু করে কাটা রসুন কয়েক সেকেন্ড ভেজে সুগন্ধ বেরোলে এবং রসুন সোনালি রং ধরলেই মশলা সমেত ঘি পালংশাকের উপর ছড়িয়ে দিন।
রুটি বা পরোটা অথবা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন!