আকাশে যেন রঙের খেলা! পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ বুধবার রাতে সেই মেরুপ্রভার সাক্ষী থাকল। উত্তর গোলার্ধে একে বলা হয় অরোরা বোরিয়ালিস বা নর্দার্ন লাইটস। দক্ষিণ গোলার্ধে একে বলা হয় অরোরা অস্ট্রেলিস বা সাদার্ন লাইটস।
সৌরঝড় পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে ধাক্কা দিলে দেখা যায় এই মেরুপ্রভা। স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার বলছে, ১২ নভেম্বর সৌরঝড় জি৪ (তীব্র) পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইস্টার্ন স্ট্যান্ডার্ড সময় তখন রাত ৮টা ২০ মিনিট। সে কারণে ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় ওঠে। তা দেখা যায় ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর আমেরিকা থেকে।
আরও পড়ুন:
কেন হয় এই মেরুপ্রভা?
সৌরবায়ুর কণা (যা আদতে ইলেক্ট্রন এবং প্রোটনের স্রোত)-র যখন পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্র এবং বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংযোগ ঘটে, তখন মেরুপ্রভা তৈরি হয়। সূর্যের করোনা থেকে উদ্গত হয় সৌরবায়ু।
আকাশে সবুজ, লাল, বেগুনি রং খেলা করে। দেখে মনে হয়, আকাশে যেন নাচছে আলো। একেই বলে মেরুপ্রভা। বুধবার এই অরোরা দেখা গিয়েছে আমেরিকার টেক্সাস এবং উত্তর ভারতের কিছু জায়গাতেও।
পৃথিবীতে সৌরঝড়ের প্রভাব কী?
বুধবার যে সৌরঝড় হয়েছে, তা জি৪ (তীব্র) বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর জেরে ব্যাঘাত ঘটেছে উপগ্রহের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা, জিপিএস, পাওয়ার গ্রিডে। স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার বলছে, দীর্ঘ সময় জিপিএস ব্যবস্থা সমস্যায় পড়তে পারে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি বলছে, এই মেরুপ্রভার প্রভাব সরাসরি মানুষের শরীরে পড়ে না।