এই মুহূর্তে পৃথিবীর গতি গত ৫০ বছরে সবচেয়ে বেশি। বিজ্ঞানীদের অনুমান, ২০২১ সালে নিজের অক্ষের চার দিকে পাক খেতে খেতে ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করবে পৃথিবী। এই খবর নিয়ে যখন জোর চর্চা, তেমনই সময় নিজের অক্ষে পৃথিবীর ঘুরপাক খাওয়ার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। পৃথিবীর উপরিতলে বসবাস করেও সাধারণ মানুষ সেই আহ্ণিক গতি অনুভব করতে পারেন না। কিন্তু লাট্টুর মতো পৃথিবী যখন পাক খাচ্ছে, সেই সময় চোখের সামনে গাছপালা, আকাশও যদি সরে সরে যেত? ৩ বছর আগে সেই অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছিলেন এক চিত্রগ্রাহক। সেই টাইম ল্যাপস ভিডিয়ো ঘিরেই নতুন করে চর্চা নেটপাড়ায়।
বর্তমানে মহাকাশকে নিয়ে ডিজিটাল মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় যাঁরা, তাঁদের মধ্যে অন্যতম আরিয়াই নারেনবার্গ। নেটাগরিকদের কারও কারও মতে, মহাকাশকে মোবাইলবন্দি করে ফেলেছেন তিনি। মহাকাশ উৎসাহী হিসেবে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে চাঁদ, তারা, ছায়াপথের গতিবিধি সংক্রান্ত ছবি ও ভিডিয়ো তোলেন তিনি। ইউটিউব এবং অন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত তা পোস্টও করেন। ২০১৭-য় তাঁর তোলা পৃথিবীর ঘুরপাক খাওয়ার একটি ভিডিয়োই এখন রীতিমতো ভাইরাল।
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গত ৫০ বছরের তুলনায় এই মুহূ্র্তে পৃথিবীর গতি সবচেয়ে বেশি। তাঁরা বলেছেন, গত কয়েক দশক ধরে নিজের অক্ষের উপর পাক খেতে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় লাগছিল পৃথিবীর। তবে ২০১৯-এর জুন থেকে সেই ঘূর্ণন ০.৫ মিলি সেকেন্ড কম সময়ে শেষ হচ্ছে। তার ফলে দিনের দৈর্ঘ্যও কমে যাচ্ছে। ২০০৫ সালের ৫ জুলাই ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ ৮৬ হাজার ৪০০ মিলি সেকেন্ডের চেয়ে ১.০৫১৬ মিলি সেকেন্ড কম ছিল। এখনও পর্যন্ত ওই তারিখেই দিনের দৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম ছিল। কিন্তু ২০২০-তে মোট ২৮ বার সেই রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে। ২০১৯-এর ১৯ জুলাই দিনটি এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে কম দৈর্ঘ্যের। ওই দিনের দৈর্ঘ্য ৮৬ হাজার ৪০০ মিলি সেকেন্ডের চেয়ে ১.৪৬০২ মিলি সেকেন্ড কম ছিল। বিজ্ঞানীদের দাবি, নতুন বছর এই গতি আরও বেশি হতে চলেছে। অর্থাৎ, নিজের অক্ষের উপর পাক খেতে আরও কম সময় লাগবে পৃথিবীর।