Advertisement
E-Paper

উৎকণ্ঠা নিয়েই অবতরণে তৈরি নয়া মঙ্গলযান

নাসার জেট প্রোপালসন ল্যাবের বিজ্ঞানী তথা ‘মার্স ইনসাইট’-এর অন্যতম কর্মকর্তা রব গ্রোভার বলেন, ‘‘খারাপ কিছু হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম।’’

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:০৯
নাসার ‘মার্স ইনসাইট’।—ছবি এএফপি।

নাসার ‘মার্স ইনসাইট’।—ছবি এএফপি।

সাড়ে ছ’মিনিটের আতঙ্ক। ব্যস, ওই ফাঁড়াটুকু কেটে গেলেই সাফল্যের স্বাদ। সেই আশাতেই রয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। কিউরিয়োসিটি-র পরে এ বার মঙ্গলের মাটিতে নামতে চলেছে নাসার ‘মার্স ইনসাইট’। সব ঠিক থাকলে আগামী সোমবার লালগ্রহে অবতরণ করবে সে। গ্রহটি কী ভাবে তৈরি হয়েছিল, তার অন্তঃস্থলে কী রয়েছে, কী ঘটে চলেছে, এ সবই অনুসন্ধান করবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রের নয়া মঙ্গলযানটি।

নাসার জেট প্রোপালসন ল্যাবের বিজ্ঞানী তথা ‘মার্স ইনসাইট’-এর অন্যতম কর্মকর্তা রব গ্রোভার বলেন, ‘‘খারাপ কিছু হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম।’’ তবু প্রচণ্ড গতিতে মঙ্গলের চৌহদ্দিতে ঢোকা, লালগ্রহের বায়ুস্তরের সঙ্গে প্রবল সংঘর্ষে তৈরি হওয়া তাপমাত্রা উপেক্ষা করে মাটিতে নামার বিষয়টা তো কঠিন। ব্যর্থতার ঘটনাও যে কম নেই। এ পর্যন্ত মঙ্গলের কক্ষপথ বা মাটিতে যান নামানোর জন্য ৪৩টি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ব্যর্থ হয়েছে ২৫টি যান। হয় মঙ্গলের মাটিতে ভেঙে পড়েছে, না হলে কক্ষপথে নামতে পারেনি। এমন নিদর্শনও আছে, মহাকাশযান উৎক্ষেপণের পরে তার আর খোঁজ মেলেনি।

সোমবার গ্রিনিচ মিন টাইম সন্ধে ৭টা ৫৪ মিনিটে ‘মার্স ইনসাইট’-এর নামার কথা মঙ্গলে। পুরো পদ্ধতিটি ১৪ মিনিটের। সরাসরি ভিডিয়ো অবশ্য পাবে না নাসা। শেষ মুহূর্তে কোনও গোলমাল হলে আটকাতেও পারবে না তারা। কারণ তখন আর কিছু নাসার নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। এমনকি ‘মার্স ইনসাইট’ সফল হয়েছে কি না, সেই সঙ্কেতও পৃথিবীতে পৌঁছবে সব কিছু ঘটে যাওয়ার আট মিনিট পরে। মঙ্গলযানটির ‘এক্স-ব্যান্ড রেডিয়ো’ একটি বিপ সঙ্কেত পাঠবে। সেটা নাসার কাছে আসতে আসতে আনুমানিক রাত আটটা। ছবিও তুলে পাঠাবে ‘মার্স ইনসাইট’। তবে সেই মঙ্গলবার। এতটা পথের ক্লান্তি!

Mars Insight Mars Curiosity NASA
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy