Advertisement
E-Paper

৯০ বছর আগে হারানো আইনস্টাইনের পান্ডুলিপিই পথ দেখাবে সৃষ্টিরহস্যের জট খুলতে?

পাতার পর পাতা অঙ্ক কষে খুব চেষ্টা করেছিলেন এই ব্রহ্মাণ্ডের ‘নাটের গুরু’ মূল দু’টি বল বা ফোর্সকে মিলিয়ে দিতে, একটি বিন্দুতে। চেয়েছিলেন দু’টি বলকে একই পথে হাঁটাতে। একই নিয়মে ব্যাখ্যা করতে। যা এখনও পর্যন্ত করা সম্ভব হয়নি।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৯ ১৫:৪০
অ্যালবার্ট আইনস্টাইন। -ফাইল ছবি

অ্যালবার্ট আইনস্টাইন। -ফাইল ছবি

মেলাবেন, কেউ মেলাবেন বলে যে স্বপ্নটা আমরা দেখি, আজ থেকে ৯০ বছর আগে সেই স্বপ্নটাকে সত্যি করতে খুব উঠেপড়ে লেগেছিলেন অ্যালবার্ট আইনস্টাইন। পাতার পর পাতা অঙ্ক কষে খুব চেষ্টা করেছিলেন এই ব্রহ্মাণ্ডের ‘নাটের গুরু’ মূল দু’টি বল বা ফোর্সকে মিলিয়ে দিতে, একটি বিন্দুতে। চেয়েছিলেন দু’টি বলকে একই পথে হাঁটাতে। একই নিয়মে ব্যাখ্যা করতে। যা এখনও পর্যন্ত করা সম্ভব হয়নি।

একটি বলের নাম অভিকর্ষ বল বা বা গ্র্যাভিটেশনাল ফোর্স। অন্যটি তড়িৎচুম্বকীয় বল বা ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক ফোর্স। যে জন্য গাছ থেকে আপেল মাটিতে পড়ে, কাছাকাছি এসে পড়লে যে জন্য কোনও গ্রহাণু আছড়ে পড়ে পৃথিবীতে, তাকে বলে অভিকর্ষ বল। আর যার জন্য তড়িৎকণা কোনও পরিবাহীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছোটে, বিদ্যুৎশক্তির পরিবহণ হয়, তার নাম তড়িৎচুম্বকীয় বল।

মূলত এই দু’টি বলেই যত রঙ্গ সম্ভব, দেখিয়ে চলেছে ব্রহ্মাণ্ড। সৃষ্টির সময় থেকে এখনও পর্যন্ত। আর এই দু’টি বলই চালিকাশক্তি হয়ে থাকবে বেলুনের মতো ফুলতে থাকা ব্রহ্মাণ্ডটা ফেটে যাওয়ার সময় পর্যন্ত।

৯০ বছর আগেকার সেই পান্ডুলিপি

অঙ্কের আঁকিবুকিতে ভরা আইনস্টাইনের সেই ১০১ পাতার পান্ডুলিপি আচমকাই হাতে এসেছে ইজরায়েলের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের। যাতে জানা গিয়েছে, ব্রহ্মাণ্ডের চালিকাশক্তি মূল দু’টি বলের হাতে হাত মেলাতে তিনি অঙ্কের সড়ক ধরে কোন দিকে কতটা এগিয়েছিলেন বা এগনোর চেষ্টা করেছিলেন। শুধুই অঙ্কের আঁকিবুকিতে ভরা ওই পান্ডুলিপিটি লেখা হয়েছিল ১৯৪৪ থেকে ১৯৪৮ সালের মধ্যে। যার সাত বছরের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছিল প্রবাদপ্রতিম বিজ্ঞানীর। ১৯৫৫-য়।

আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর সুনামি আসছে! সূর্যের মনের কথা জানিয়ে চমক রানাঘাটের কন্যার​

আরও পড়ুন- যুগান্তকারী আবিষ্কার, নিউট্রন তারার ধাক্কার ঢেউ দেখা গেল প্রথম​

এত দিন ভাবা হত, আইনস্টাইনের ওই পান্ডুলিপিগুলি বোধহয় হারিয়ে বা কোনও ভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই প্রথম জানা গেল, না, সেগুলি নষ্ট হয়নি। পাওয়া গিয়েছে একটি সংযোজনী অংশও। আলোচনা, বিতর্কের জন্য আইনস্টাইন ওই নথিপত্রগুলি পাঠিয়েছিলেন প্রুসিয়ান অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সে। ১৯৩০ সালে।

হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, শিকাগোর একটি ফাউন্ডেশনের তরফে কিংবদন্তী বিজ্ঞানীর ৮০ হাজার নথিপত্র হালে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ওই পান্ডুলিপি তারই অন্যতম। শিকাগোর ওই ফাউন্ডেশন সেগুলি কিনেছিল নর্থ ক্যারোলিনার এক সংগ্রাহকের কাছ থেকে।

বিন্দু থেকেই সৃষ্টি। ছড়িয়ে পড়া। শেষে বিন্দুতেই সব কিছুর মিলেমিশে যাওয়া। ক্ষয়, লয়। বিন্দু থেকেই উৎপত্তি। আবার বিন্দুতেই নিষ্পত্তি।

ব্রহ্মাণ্ডের এই এক ও একমাত্র নিয়মেই বিশ্ব প্রকৃতির সব কেরামতিকে মেলাতে চেয়েছিলেন অ্যালবার্ট আইনস্টাইন। মিলিয়ে দিতে চেয়েছিলেন এই ব্রহ্মাণ্ডের মূল চালিকাশক্তি দু’টি বলকে। এ ছাড়াও রয়েছে আরও দু’টি বল। শক্তিশালী বল (স্ট্রং ফোর্স) ও দুর্বল বল (উইক ফোর্স)। দু’টি বলই পরমাণুর মধ্যে। একটি (স্ট্রং ফোর্স) কার্যকরী তার কেন্দ্রে, অন্যটি (উইক ফোর্স) কেন্দ্র ও পরমাণুর বিভিন্ন খোলকে থাকা ইলেকট্রনের মধ্যেকার বল বা টান। কিন্তু এই দু’টি বলই খুব কম দূরত্বের মধ্যে কার্যকরী হয়। তাই গুরুত্বের নিরিখে অভিকর্ষ ও তড়িৎচুম্বকীয় বলকেই রাখা হয় সামনের সারিতে।

Albert Einstein Prussian Academy of Science Professor Hanoch Gutfreund অ্যালবার্ট আইনস্টাইন
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy