শুক্রবার রাতের আকাশে 'তিন মূর্তি'কে দেখা যাবে এ ভাবেই। ছবি- নাসার সৌজন্যে।
আর দু’দিন বাদেই পূর্ণিমা। তার আগেই একেবারে ষোলো কলা পূর্ণ হবে শুক্রবার রাতে!
এ বার চাঁদ যে আকাশে একা নয়। সঙ্গে রয়েছে বৃহস্পতি আর শনিও। বেশ উজ্জ্বল ভাবে। দেখাও যাবে খালি চোখে। মেঘে আকাশের মুখভার না থাকলে।
চাঁদের এক পাশে শনি, অন্য দিকে বৃহস্পতি।
সৌরমণ্ডলের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতিকে অনেক বেশি উজ্জ্বল দেখা যাবে। চাঁদের উপরের দিকে, বাঁ দিক ঘেঁষে।
তবে যার জন্য সৌরমণ্ডলে যথেষ্টই সুখ্যাতি রয়েছে সেই শনি গ্রহের বলয়গুলি দেখা যাবে না খালি চোখে। শনিকে দেখা যাবে চাঁদের উপর দিকে। একটু ডান দিক ঘেঁষে।
শনির সমস্যা
উজ্জ্বলতায় বৃহস্পতির চেয়ে শনিকে একটু ম্রিয়মানও দেখাবে। তবে খুব একটা শক্তিশালী নয় এমন টেলিস্কোপে বেশ ভাল ভাবেই দেখা যাবে শনির বলয়গুলি।
পূর্ণিমা নয় বলে চাঁদকে শুক্রবার রাতে তার সেরা উজ্জ্বলতায় দেখা যাবে না ঠিকই, তবে আর দু’দিন পরেই পূর্ণিমা। তাই শুক্রবারের চাঁদের উজ্জ্বলতা হবে পূর্ণিমার চাঁদের এক-তৃতীয়াংশ। তার উপর সূর্যের আলো এসে পড়বে ৯১ শতাংশ।
সৌরমণ্ডলের দু’টি বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতি আর শনি আকাশে দৃশ্যমান হলেও চাঁদের আকার ও উজ্জ্বলতা তাদের হারিয়ে দেবে অনিবার্য ভাবেই।
শনিগ্রহের সবচেয়ে বড় সমস্যা, তার শুক্রের মতো জ্বলজ্বল করে জ্বলার ক্ষমতা নেই পৃথিবীর আকাশে। শুক্রগ্রহ পৃথিবীর কার্যত ‘যমজ বোন’। শনির চেয়ে অনেক গুণ কাছে আছে আমাদের। তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই আকারে, উজ্জ্বলতায় শুক্র হারিয়ে দিতে পারে শনিকে।
আবার মঙ্গলের মতো গোলাপি-হলুদ রংও নেই শনির। তাই ‘লাল গ্রহ’কে আমরা যে ভাবে চিনে উঠতে পারি, শনিকে সে ভাবে খালি চোখে চিনতে একটু অসুবিধা হতে পারে। বলয়টাও দেখা যাবে না বলে তাকে আর সাতটা-পাঁচটা তারা বা নক্ষত্রের মতোই মনে হতে পারে।
সাত তারার ভিড়ে হারাতে নারাজ রুপালি বৃহস্পতি
যদিও সাত তারার ভিড়ে শুক্রবার রাতের আকাশে বৃহস্পতিকে খালি চোখেও চিনে উঠতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তার রুপালি আলোর জন্য।
তথ্য সৌজন্যে- নাসার 'স্টারওয়াচ'।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy