বিজ্ঞানের চর্চা না-হলে প্রযুক্তির অগ্রগতি যে থমকে যাবে, বারে বারেই সে-কথা বলছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, মৌলিক বিজ্ঞান চর্চায় নিবেদিত বিজ্ঞানীরা আড়ালেই থেকে যান এবং প্রচার ও প্রশংসার বেশিটাই পান প্রযুক্তিবিদেরা।
৫-৮ নভেম্বর কলকাতায় ‘ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যালে’ মৌলিক বিজ্ঞানচর্চার থেকে প্রযুক্তির উন্নয়ন প্রচার পেয়েছে বেশি। অনেকেই বলছেন, বিজ্ঞান উৎসবে এই জনপ্রিয়তার কথাই প্রধানমন্ত্রী থেকে আমলা, সকলের মুখে মুখে ঘুরেছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মৌলিক গবেষণার কোনও উল্লেখই ছিল না।
বিজ্ঞানচর্চার সঙ্গে যুক্ত অনেকেই বলছেন, আধুনিক ভারতে যাঁরা বিজ্ঞানী হিসেবে বিশেষ জনপ্রিয় হয়েছেন, তাঁদের অনেকেই আদতে প্রযুক্তিবিদ। তাঁদের মতে, ইসরো এবং পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র তৈরির জন্য বিক্রম সারাভাই ও হোমি ভাবার জনপ্রিয়তা আদতে প্রযুক্তিরই জয়গান। প্রযুক্তির চর্চায় ও প্রয়োগে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু তাঁর জীবনের সব গবেষণাই প্রযুক্তিনির্ভর। সত্যেন্দ্রনাথ বসু বা মেঘনাদ সাহার মতো মৌলিক বিষয়ের গবেষণায় কৃতবিদ্য বিজ্ঞানীর কথা তুলনায় অনেক কম লোক জানেন। মৌলিক বিজ্ঞানে গবেষণার খবর শিক্ষাপ্রাঙ্গণের বাইরে বৃহত্তর সমাজে সে-ভাবে ছড়িয়ে পড়ে না।