Advertisement
E-Paper

টুকরো খবর

রাতভর উপদ্রব চালিয়ে সব্জির ক্ষতি করল হাতির দল। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঝালদার খামার বিট এলাকার হেঁসলা গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হাতির পালটি গ্রামের পাশে জমিতে ঢুকে খেয়ে ও পায়ে মাড়িয়ে প্রচুর সব্জি নষ্ট করেছে।

শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১৮:০১

হাতির উপদ্রব

নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝালদা

রাতভর উপদ্রব চালিয়ে সব্জির ক্ষতি করল হাতির দল। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঝালদার খামার বিট এলাকার হেঁসলা গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হাতির পালটি গ্রামের পাশে জমিতে ঢুকে খেয়ে ও পায়ে মাড়িয়ে প্রচুর সব্জি নষ্ট করেছে। মঙ্গলবার বন দফতরের রেঞ্জ অফিসে গিয়ে ক্ষতিপূরণের দাবি জানান চাষিরা। ঝালদার রেঞ্জ অফিসার সমীর বসু জানান, কিছুদিন আগেই সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে ঝাড়খণ্ড থেকে ন’টি হাতির দল ঝালদায় ঢুকেছে। দলটিকে তাড়িয়ে দেওয়া হলেও সব্জির লোভে ফের ফিরে এসে উপদ্রব চালাচ্ছে। সব্জির ক্ষতি করার পাশাপাশি দলটি রাতে বিট অফিসের দরজাও ভেঙেছ। নিয়ম অনুযায়ী চাষিদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

সভা শকুন সংরক্ষণে

নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি

শকুন সংরক্ষণ বিষয়ে আলোচনাসভার আয়োজন হয়েছিল মঙ্গলবার মাটিগাড়া পশু চিকিৎসাকেন্দ্রে। ‘বাস্তুতন্ত্র বাঁচাতে জন্য শকুন রক্ষা প্রয়োজন’ শিরোনামে এই আলোচনা সভা হয়। শিলিগুড়ি মহকুমার সমস্ত প্রাণী ও পশু চিকিৎসা সংক্রান্ত কর্মীদের সচেতনতা বাড়াতে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকাররে প্রাণিসম্পদ বিকাশ বিভাগ। সাহায্যে দুই পরিবেশপ্রেমী সংস্থা ন্যাফ, রাজাভাতখাওয়া শকুন সংরক্ষণ কেন্দ্র। ন্যাফের পক্ষে অনিমেষ বসু ও অন্য সংগঠনের পক্ষে সৌম্য চক্রবর্তী, শকুনকে কী ধরণের চিকিৎসা করা প্রয়োজন ও কী কী করলে শকুনকে দীর্ঘ জীবন দেওয়া সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা করেন। দফতরের সহকারী নির্দেশক উমাশঙ্কর সেন বলেন, “এই কর্মশালায় তাঁরাই উপকৃত হবে যাঁরা চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত থাকেন।”

হোয়াইট হেরন বাঁচাতে প্রয়াস

নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি

২৫ ফেব্রুয়ারি

বিশ্বে তাদের সংখ্যা মাত্র আড়াইশো। ‘অত্যন্ত বিপন্ন’ প্রজাতির তালিকা ভুক্ত সাদা পেটের হেরন, হেরন পরিবারের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম। ২০০৮ সালে চিরাং জেলার কয়লাময়লা এলাকায় প্রথম দর্শনের পরে গত বছর ফের তাদের দেখা মিলেছে মানসে। সংরক্ষণকর্মীদের আশঙ্কা, বিপন্ন সাদা পেটের হেরনরা জঙ্গলের গভীরে যে সব এলাকায় বাসা বেঁধেছে সেগুলি জঙ্গি অধ্যূষিত এলাকা। তাই সংরক্ষণকর্মীরা সেখানে গিয়ে এই দুর্লভ পাখির ব্যাপারে তথ্য জোগাড় করতে পারছেন না। সম্ভব হচ্ছে না সংরক্ষণের প্রয়াসও। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, এট্রির তরফে এই পাখি বাঁচাতে স্থানীয় গ্রামবাসীদের নিয়ে ‘হেরন গার্ডিয়ান’ নামে একটি দল গড়া হয়েছে।

চিতাবাঘের আতঙ্ক এ বার মুজফ্ফরনগরের গ্রামে

বাড়ির বাইরে বাঁধা ছিল ছাগল। কিছু ক্ষণ পরেই গ্রামবাসীরা দেখেন, সেটি মরে পড়ে রয়েছে। মুজফ্ফরনগরের কুতেসরা গ্রামে সোমবার রাতের ঘটনা। মেরঠ থেকে এখানকার দূরত্ব ৫৬ কিলোমিটার মতো। চিতাবাঘের পক্ষে একবেলায় এটুকু দূরত্ব পেরিয়ে আসা কোনও ব্যাপারই নয়। ফলে কুতেসরার বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন, এটা সেই চিতাবাঘের কাজ, রবিবার যে মেরঠ দাপিয়েছে। জখম করেছে এক পুলিশ অফিসার-সহ ছ’জনকে। লাঠি-সোঁটা বন্দুকেও বাগ মানেনি সে। কাবু হয়নি ঘুমপাড়ানি গুলিতেও। দোকানপাট, ঘর-দোর বন্ধ করে চিতাবাঘের ভয়ে রীতিমতো চার দেওয়ালের মধ্যে লুকিয়ে ছিল শহরবাসী। হন্যে হয়ে খুঁজেও টিকি পাওয়া যায়নি সেই চিতাবাঘের।

কমেছে পাখি

গত বছরের তুলনায় এ বছর মণিপুরের লোকটাক সরোবরে হাজার দুয়েক পাখি কম এসেছে। লোকটাক সরোবর ঘিরে গড়ে ওঠা অবৈধ বসত, অবাধ মৎস চাষ, পাখি শিকার এবং দূষণের কারণে সরোবরে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কমতে থাকায় ২০১১ সাল থেকেই রাজ্য বন দফতর প্রতি শীতেই পাখির মাথা গোনার কাজ শুরু করেছে। গত বছর সুমারিতে দেখা গিয়েছিল, শীতের লোকটাকে ৩৪ হাজার দেশি-বিদেশি পাখি এসেছে। এ বছর ১৮ জানুয়ারি থেকে পাখি গোনার কাজ শুরু হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy