Advertisement
E-Paper

ধন্দে আটকে শব্দবাজি ধরা

শহরে বাজির শব্দমাত্রার ঊর্দ্ধসীমা কত, তা নিয়ে ধন্দে পড়েছে লালবাজার। তাই শব্দবাজি ধরপাকড়ের অভিযানে নামতে পারছে না তারা। বুধবার কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষকর্তা জানান, জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এ বছর দীপাবলীতে ১২৫ ডেসিবেল পর্যন্ত শব্দমাত্রার বাজি ফাটানো যেতে পারে। কিন্তু রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের যে নির্দেশিকা বহাল রয়েছে তাতে ৯০ ডেসিবেলের বেশি শব্দমাত্রার বাজি নিষিদ্ধ। ‘‘এই পরিস্থিতিতে কোন শব্দবাজি আইনি আর কোনটা বেআইনি, তা বুঝতে পারছি না’’, মন্তব্য ওই পুলিশকর্তার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৫ ০০:৩০

শহরে বাজির শব্দমাত্রার ঊর্দ্ধসীমা কত, তা নিয়ে ধন্দে পড়েছে লালবাজার। তাই শব্দবাজি ধরপাকড়ের অভিযানে নামতে পারছে না তারা। বুধবার কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষকর্তা জানান, জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এ বছর দীপাবলীতে ১২৫ ডেসিবেল পর্যন্ত শব্দমাত্রার বাজি ফাটানো যেতে পারে। কিন্তু রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের যে নির্দেশিকা বহাল রয়েছে তাতে ৯০ ডেসিবেলের বেশি শব্দমাত্রার বাজি নিষিদ্ধ। ‘‘এই পরিস্থিতিতে কোন শব্দবাজি আইনি আর কোনটা বেআইনি, তা বুঝতে পারছি না’’, মন্তব্য ওই পুলিশকর্তার।

লালবাজার সূত্রে খবর, এই বিভ্রান্তির জেরে শব্দবাজি ধরপাকড় বন্ধ রয়েছে। পুজো ও বিসর্জনে শহরে দেদার শব্দবাজি ফাটতে দেখা গিয়েছে। যেমন গত রবিবার বিসর্জনের দিন দক্ষিণ কলকাতায় প্রকাশ্যে শব্দবাজি ফাটানো হচ্ছিল। কিন্তু তা দেখেও আটকাতে পারেননি উপস্থিত পুলিশকর্মীরা। অনেকেরই আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি চললে কালীপুজোয় শব্দবাজির দাপটে নাকাল হবেন সাধারণ মানুষজন। আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতার জাতীয় পরিবেশ আদালতে শব্দবাজি নিয়ে শুনানি রয়েছে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র বলেন, ‘‘আমরা আদালতে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছি। শুক্রবার এ ব্যাপারে আদালত যা বলবে, সেটাই মেনে নেওয়া হবে।’’ সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় বলেন, ‘‘আমরা চাই বাজির শব্দমাত্রা ১২৫ ডেসিবেল থাকুক। আমরা আদালতেই সেই দাবিই জানাব।’’

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy