এই শতাব্দীর মেয়েদের সবচেয়ে বড় শারীরিক সমস্যা ওভারিয়ান সিস্ট। হরমোনের সমস্যা, অনিয়মিত পিরিয়ড, অল্পবয়সে ঋতুস্রাব শুরু হওয়া, অতিরিক্ত ইত্যাদি নানা কারণে সিস্টের সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন মহিলারা। বয়ঃসন্ধিতে সমস্যা শুরু হলেও, দেরিতে বিয়ে, অনিয়মিত সেক্স লাইফ, দেরিতে সন্তানের কারণে ক্রমশই বাড়ছে সমস্যা। জেনে নিন সিস্ট মোকাবিলার পাঁচ সহজ উপায়।
১। ইস্ট্রজেন নিয়ন্ত্রণ- ওভারিতে সিস্ট হওয়ার অন্যতম কারণ ইস্ট্রজেন হরমোনের সাম্য নষ্ট হওয়া। ইস্ট্রজেনের পরিমাণ বেড়ে গেলে ওভিউলেশন অনিয়মিত হয়। যার ফলে ওভারিতে সিস্ট তৈরি হয়। তাই সিস্ট রুখতে শরীরে ইস্ট্রজেন ব্যালান্সের দিকে খেয়াল রাখুন। সয় প্রোটিন, প্রসেসড মিট শরীরে ইস্ট্রজেনের পরিমাণ বাড়ায়। প্লাস্টিকের বোতল থেকে জল খেলেও শরীর রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে ইস্ট্রজেনের পরিমাণ বাড়তে পারে। তাই ডায়েটে যতটা সম্ভব অরগ্যানিক মিট ও ডেয়ারি প্রডাক্ট রাখুন। এতে ইস্ট্রজেনের সঠিক মাত্রা বজায় থাকবে।
২। হার্বাল উপায়- বেশ কিছু হার্বাল জিনিস এন্ডোক্রিন সিস্টেম সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। হরমোনের সঠিক মাত্রা বজায় রাখা, ওভিউলেশন নিয়মিত করতে ও জনন তন্ত্রে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে এ সব প্রাকৃতিক মূল। ড্যান্ডেলিয়ন, মিল্ক থিসল ইস্ট্রজেনের সঠিক মাত্রা বজায় রাখে।
৩। ডায়েট- চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর ডায়েট ও অনিয়মিত লাইফস্টাইল ওভারিয়ান সিস্টের অন্যতম কারণ। ডায়েটে ফল, সবুজ শাক-সব্জি, গোটা শস্যের পরিমাণ বেশি থাকলে সিস্টের মোকাবিলা করা সহজ হবে।
৪। ওজন নিয়ন্ত্রণ- অতিরিক্ত ওজন ও বিএমআই বেশি হওয়ার কারণেও ওভারিয়ান সিস্টে আক্রান্ত হচ্ছেন মহিলারা। মেদ ঝরিয়ে বিএমআফ ২৫-এর নীচে নিয়ে আসতে পারলে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যা অনেকটাই কাটানো যেতে পারে।
৫। সাপ্লিমেন্ট- ডায়েট ও মেদ ঝারনোর পাশাপাশি কিছু ভিটামিন ও সাপ্লিমেন্ট হরমোনের ব্যালান্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই, ফ্লাক্সসিড অয়েল, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি তার মধ্যে অন্যতম।
আরও পড়ুন: ৩৫-এ মা হতে গেলে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy