Advertisement
০৭ মে ২০২৪

প্রি-ম্যাচিওর ডেলিভারি এড়াতে সাবধান থাকুন, যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন

প্রথম বার প্রেগন্যান্সিতে অনেক সময়ই প্রি-টার্ম ডেলিভারির ঝুঁকি থেকে যায়। শুধু মায়ের ক্ষেত্রে নয়, সময়ের আগে জন্মালে শিশুরও জন্মগত কিছু শারীরিক ত্রুটি থেকে যায়, যা অনেক সময় সারা জীবনের সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৫ ১২:৩৮
Share: Save:

প্রথম বার প্রেগন্যান্সিতে অনেক সময়ই প্রি-টার্ম ডেলিভারির ঝুঁকি থেকে যায়। শুধু মায়ের ক্ষেত্রে নয়, সময়ের আগে জন্মালে শিশুরও জন্মগত কিছু শারীরিক ত্রুটি থেকে যায়, যা অনেক সময় সারা জীবনের সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। কিছু ওষুধ, শারীরিক অসুস্থতা বা জিনগত কারণে প্রি-টার্ম ডেলিভারি হতে পারে। জেন নিন কী কী বিষয়ে সাবধান থাকবেন।

১। ধুমপান- প্রেগন্যান্ট হওয়ার অন্তত ছয় মাস আগে থেকে ধুমপান সম্পূর্ণ ছেড়ে দিন।

২। অ্যালকোহল- প্রেগন্যান্সি পরিকল্পনা করার সঙ্গে সঙ্গেই অ্যালকোহল ছেড়ে দিন। যদি না পরেন তবে গর্ভাবস্থায় অবশ্যই অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। শিশুর জন্য টক্সিক পরিবেশ তৈরি হলে প্রি-ম্যাচিওর ডেলিভারির সম্ভাবনা বাড়বে।

৩। ওষুধ- গর্ভাবস্থায় কী ওষুধ খাচ্ছেন সে দিকে খেয়াল রাখুন। কোনও ওষুধে প্রি-টার্ম লেবরের সম্ভাবনা রয়েছে কিনা চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ করে সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন।

৪। ওজন- গর্ভাবস্থায় যদি পর্যাপ্ত ওজন না বাড়ে, তবে শিশুর প্রি-ম্যাচিওর ডেলিভারির সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই ঠিকঠাক ডায়েট মেনে চলুন। ওজন বাড়ছে কিনা সে দিকে খেয়াল রাখুন। গর্ভে যদি যমজ সন্তান থাকে তবে প্রি-টার্ম ডেলিভারির সম্ভাবনা থকে। মায়ের বয়স যদি ১৭ বছরের নীচে বা ৩৫ বছরের উপরে হয় তবে সময়ের আগে ডেলিভারির সম্ভাবনা থাকে।

৫। ভারী কাজ, দাঁড়িয়ে থাকা- গর্ভাবস্থায় ভারী জিনিস তুললে বা ভারী কাজ করলে, অনেক ক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করলেও সময়ের আগে ডেলিভারির সম্ভাবনা বা়ড়ে।

৬। স্ট্রেস- গর্ভাবস্থায় যত সুস্থ থাকবেন প্রি-টার্ম ডেলিভারির সম্ভাবনা তত কমবে। যে কোনও অসুস্থতার মূলে রয়েছে অতিরিক্ত স্ট্রেস। তাই যতটা সম্ভব স্ট্রেস থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। শরীরচর্চা, রিলাক্সেশন, বিশ্রাম বা মাসাজের মাধ্যমে স্ট্রেস দূরে রাখুন।

৭। পেরেন্টাল ক্লাস- গর্ভাবস্থায়, বিশেষ করে যদি আপনি প্রথম বার প্রেগন্যান্ট হন তাহলে অবশ্যই পেরেন্টাল ক্লাসে যান। এই সব ক্লাসে অনেক অজানা বিষয়ে সম্পর্কে জানতে পারবেন।

৮। সংক্রমণ- গর্ভাবস্থায় সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি থাকে। যদি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয় তবে এই সম্ভাবনা বাড়ে। গর্ভস্থ শিশুর যদি ইনফেকশন হয়ে যায় তবে সময়ের আগে ডেলিভারি হতে পারে।

৯। পারিবারিক ইতিহাস- পরিবারে যদি প্রি-ম্যাচিওর ডেলিভারির ইতিহাস থাকে তবে শুরু থেকেই চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে থাকুন। ইউটেরাসের কিছু জিনগত অস্বাভাবিকতার কারণে এটা হয়। অস্ত্রপচারের মাধ্যমে ঠিক করা যায়।

১০। মানসিক অসুস্থতা- অনেক সময় মানসিক অসুস্থতার কারণেও প্রি-ম্যাচিওর ডেলিভারারি হতে পারে। যদি আপনার কোনও সমস্যা থেকে থাকে, অথবা পারিবারে মানসিক অসুস্থতার জিন থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে এগোন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE