ইশা সাহা। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।
না! আলাদা করে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের কোনও তাত্পর্য নেই আমার কাছে। ঠিক যেমন ভ্যালেন্টাইনস ডে। আমি বিশ্বাস করি না, কোনও নির্দিষ্ট দিনে প্রেম হয়!
আচ্ছা, ‘নারী দিবস’ বলে আলাদা কোনও দিন ধার্য হলেই কি সব সমস্যা মিটে যাবে? কারণ এখনও এ সমাজে মেয়েদের শুধু ‘মেয়ে’ হিসেবেই দেখা হয়। এখনও এতটাই খারাপ ভাবে ট্রিট করা হয় আমাদের!
ধরুন, কিছু দিন আগেই ট্রিপল তালাক বাতিল করার রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মুসলিম মহিলাদের জন্য এ তো খুশির খবর। কিন্তু আমি যখন আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছি, তখন দেখেছি মেয়েরাই প্রশ্ন তুলছেন, কী হবে এটা করে?
ঠিক এখানেই আমার প্রশ্ন। মেয়েদেরই তো আগে ভাবতে হবে, এগিয়ে আসতে হবে। বুঝতে হবে নিজেদের অধিকার ঠিক কতটা। না হলে কোনও মুভমেন্ট, কোনও বিশেষ দিন— কিছুই পরিবর্তন করতে পারবে না।
ওই যে বললাম না, মেয়েরা শুধুই ‘মেয়ে’! হোক না তার বয়স ৭০, অথবা সাত। কিছুই কি যায় আসে? এ সব ঘটনার কথা পড়ি, আর রাগ হয়।
‘মি টু’ মুভমেন্ট নিয়েও খুব হইচই হল। আসলে হেনস্থার ঘটনা কম-বেশি সব মহিলাকেই ফেস করতে হয়। আগেও ছিল, এখনও আছে। এখন হয়তো সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য সেগুলো আমরা অনেক বেশি জানতে পারছি।
তবে আমি মনে করি, এ সব বিষয়ে মহিলাদের সকলের সমান মত হতে হবে। চেষ্টাটা সকলে মিলে করতে হবে। একা তো কেউ কিছু বদলাতে পারবে না। কোনও বিশেষ দিনের সেলিব্রেশনও কিছু বদলে দেবে না। ফলে নিজেদেরই নিজেদেরকে বাঁচাতে হবে। এটা খুব ভাল করে বুঝে গিয়েছি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy