Advertisement
E-Paper

স্যানিটারি মেশিনের ঠাঁই স্কুলের স্টোররুমে

জেলা সর্বশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, বছরখানেক আগে হাওড়া জেলার ১৭০টি স্কুলে ছাত্রীদের জন্য বসানো হয়েছিল স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন। ওই মেশিনে পাঁচ টাকার কয়েন ফেললেই স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্যাকেট বেরিয়ে আসার কথা।

নুরুল আবসার

শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:৩৯
—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

কোথাও মেশিন বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে স্টোররুমে। কোথাও আবার মেশিনে জোগানই নেই ন্যাপকিনের। অভিযোগ, হাওড়া জেলা জুড়ে অধিকাংশ স্কুলে ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিনের হাল এমনই।

জেলা সর্বশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, বছরখানেক আগে হাওড়া জেলার ১৭০টি স্কুলে ছাত্রীদের জন্য বসানো হয়েছিল স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন। ওই মেশিনে পাঁচ টাকার কয়েন ফেললেই স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্যাকেট বেরিয়ে আসার কথা। প্রথমে প্রতিটি স্কুলে মেশিন বসানোর সঙ্গে সঙ্গে ন্যাপকিনের কিছু প্যাকেট দেওয়া হয়েছিল। ঠিক হয়েছিল, ছাত্রীদের মেশিনে ফেলা ওই টাকা দিয়েই ফের সর্বশিক্ষা দফতর থেকে ন্যাপকিন কেনা হবে। সেই ন্যাপকিন, মেশিনে দিয়ে যাবেন সর্বশিক্ষা দফতরের নিয়োজিত সংস্থা। কিন্তু বাস্তবে সেই পরিকল্পনা মুখ থুবড়ে প়়ড়েছে।

বাগনানের একটি স্কুলে মেশিন বিকল হয়ে পড়ে আছে বসানোর কয়েকদিন পর থেকেই। প্রধান শিক্ষিকা বুলবুলি মাইতির কথায়, ‘‘কয়েকশো ন্যাপকিন আমাদের দেওয়া হয়েছে। সেগুলিই আমরা পাঁচ টাকা করে ছাত্রীদের বিক্রি করছি। সেগুলি শেষ হয়ে গেলে কী হবে বুঝতে পারছি না।’’ শ্যামপুরের একটি স্কুলে বসানো হয়েছিল মেশিন। খারাপ হয়ে তার ঠাঁই হয়েছে স্টোররুমে। স্কুলের মেট্রন সাগরিকা ঘোষ বলেন, ‘‘মেশিন থেকে ন্যাপকিন বিক্রি করে যে টাকা উঠেছিল তা দিয়ে বাজার থেকে বেশি দামের ন্যাপকিন কিনে ছাত্রীদের দেওয়া হয়। কিন্তু ছাত্রীরা দেয় সেই পাঁচ টাকাই। ফলে তহবিল প্রায় শেষ।’’

প্রধান শিক্ষক কানন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের বিভিন্ন শিক্ষা সংক্রান্ত বৈঠকে আমরা বলেছি ন্যাপকিনের জোগান দেওয়া হোক। কিন্তু আসেনি।’’ এমনকী যন্ত্রটি সারিয়ে দেওয়ার জন্য সর্বশিক্ষা দফতরে যোগাযোগ করার পরেও কাজ হয়নি বলে জানান কাননবাবু।

ত্রুটির কথা স্বীকার করেছেন জেলা সর্বশিক্ষা দফতরের কর্তারা। তাঁরা জানান, জেলার কত স্কুলে মেশিন কাজ করছে না, কতগুলিতে ন্যাপকিনের জোগান নেই সে বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর মাঝেই জেলার আরও ১২০টি স্কুলে ভেন্ডিং যন্ত্র বসানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও জেলা সর্বশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর।

সর্বশিক্ষা দফতরের জেলা প্রকল্প আধিকারিক স্বরদ্যুতি চৌধুরী বলেন, ‘‘যে সব ভেন্ডিং যন্ত্র বিকল হয়ে গিয়েছে সেগুলি মেরামত করার জন্য একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কম দামে ন্যাপকিনের জন্য বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জেলা প্রকল্প আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সমস্যা মিটে যাবে।’’

Vending Machine Sanitary Napkin Girl's School Store Room
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy