Advertisement
E-Paper

রাস্তায় শ্লীলতাহানি কী ভাবে রুখবেন?

মাত্র আর দু’টো দিন। তার পরই আসছে ইয়ার এন্ডিংয়ের রাত। চলছে পার্টি টাইম। সব আনন্দের মধ্যেও কোথাও একটা আশঙ্কা থেকে যায় মহিলাদের। আর তা হল শ্লীলতাহানি বা শারীরিক হেনস্থার আশঙ্কা।

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৮:১৬

মাত্র আর দু’টো দিন। তার পরই আসছে ইয়ার এন্ডিংয়ের রাত। চলছে পার্টি টাইম। সব আনন্দের মধ্যেও কোথাও একটা আশঙ্কা থেকে যায় মহিলাদের। আর তা হল শ্লীলতাহানি বা শারীরিক হেনস্থার আশঙ্কা। সংবাদ পত্রে ঠাঁই না পেলেও প্রতিদিনই কোনও না কোনও মহিলা শিকার হন এই ধরনের পরিস্থিতির। রাস্তাঘাটে হালকা ছোঁয়া, অশ্লীল উক্তি বা হেনস্থার চেষ্টা নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রয়োজন সতর্কতার। রোজকার ব্যবহারের কিছু জিনিস ব্যাগে রাখলে আপনি এ ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারেন।

১। পেপার স্প্রে বা বডি স্প্রে- হঠাত্ আক্রমণকারীকে রুখতে বডি স্প্রে বা পেপার স্প্রে ব্যাগে রাখা খুব জরুরি। যখনই বুঝতে পারবেন অবস্থা বেগতিক ব্যাগ থেকে স্প্রে বের করে হাতে রাখুন। আক্রমণকারী সামনে এলেই চোখের ওপর স্প্রে করুন। কিছু ক্ষণের জন্য থমকে যাবে সে।

২। কলম- এই সময় কাজে আসে কলম। ডট পেন বা ফাউন্টেন পেন যাই সঙ্গে থাকুক আচমকা পেনের সরু নিব ফুটিয়ে দিন শরীরের সংবেদনশীল কোনও অংশে। চোখ বা মুখ মণ্ডলের কোনও অংশ, বিশেষ করে নাকের আশেপাশে ফোটানোর চেষ্টা করুন।

৩। সল্ট অ্যান্ড পেপার- ছোট কৌটোয় গোল মরিচ গুঁড়ো রাখুন ব্যাগে। কেউ আক্রমণ করতে এলেই সঙ্গে সঙ্গে ছড়িয়ে দিন চোখে। অন্তত কিছু ক্ষণের জন্য আপনি নিশ্চিন্ত। এই সময়ের মধ্যে রাস্তা বদল করে ফেলুন। জলের বোতল বের করে জলও ছিটিয়ে দিতে পারেন।

৪। পেপার নাইফ- বটল ওপেনার পেপার নাইফ, নেল কাটারের হ্যান্ডি সেট কিনতে পাওয়া যায় বাজারে। এমনই একটা কিনে ব্যাগে রাখুন। আত্মরক্ষার জন্য ছুরি দিয়ে আচমকা আঘাত করুন। আঘাত করতে না পারলেও ছুরি বের করে অন্তত ভয় দেখানো যেতে পারে।

৫। থুতু- আচমকা চোখে, মুখে থুতু ছিটিয়ে দিলেও হামলাকারী কিছু ক্ষণের জন্য হকচকিয়ে যাবে।

৬। কামড়- যদি পিছন থেকে হামলা হয় তবে হামলাকারীর হাত গলার কাছে থাকলে সজোরে কামড় বসান। কোমরের কাছে থাকলে খিমচে দিন।

৭। অ্যাপ- এই সময় মলেস্টেশন অ্যাপের সাহায্য নিন। লোকেশম ট্র্যাকারের সাহায্যে পরিবার, বন্ধুদের তখনই জানান আপনি বিপদে পড়েছেন।

৮। চিত্কার করতে ভয় পাবেন না- হামলাকারী হুমকি দিলেও এক বার অন্তত চিত্কার করন। অনেক সময় আশপাশ থেকে কেউ এসেও যেতে পারে আপনার সাহায্যে।

৯। রাস্তা বদল করুন- যদি বুঝতে পারেন কেউ পিছু নিয়েছে তাহলে প্রথমেই হাঁটার গতি বাড়ান। যে ফলো করছে তা সঙ্গে দূরত্ব বাড়লেই রাস্তা বদল করুন।

১০। সতর্ক থাকুন- রাস্তায় হাঁটার সময় আমরা অনেক কিছু ভাবতে থাকি। ফোনে কথা বলতে বলতে বা কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে হাঁটাও বিপজ্জনক। আপনার অসর্কতাই কিন্তু হামলাকারীকে সুযোগ করে দেবে।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy