Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বয়ফ্রেন্ড যখন বস

বস কি আপনার বয়ফ্রেন্ড? মাঝে মাঝেই অফিসে অপেশাদার আচরণের জন্য আপনাকে ধমকে দেন উনি? আর তাতেই বাড়ছে সম্পর্কের দূরত্ব? পেশাদার জীবনের মাঝে যখন ব্যক্তিগত সম্পর্ক এসে পড়ে তখন ব্যক্তিগত, পেশাদার দুই জীবনেই কিছুটা তাল কাটে। জেনে নিন কী ভাবে এই অবস্থায় কী ভাবে বজায় রাখবেন পেশাদারিত্ব, কীভাবেই বা শান্তি থাকবে ব্যক্তিগত জীবনে।

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ১২:৩৫
Share: Save:

বস কি আপনার বয়ফ্রেন্ড? মাঝে মাঝেই অফিসে অপেশাদার আচরণের জন্য আপনাকে ধমকে দেন উনি? আর তাতেই বাড়ছে সম্পর্কের দূরত্ব? পেশাদার জীবনের মাঝে যখন ব্যক্তিগত সম্পর্ক এসে পড়ে তখন ব্যক্তিগত, পেশাদার দুই জীবনেই কিছুটা তাল কাটে। জেনে নিন কী ভাবে এই অবস্থায় কী ভাবে বজায় রাখবেন পেশাদারিত্ব, কীভাবেই বা শান্তি থাকবে ব্যক্তিগত জীবনে।

১। না শুনতে শিখুন- মনে রাখবেন অফিস কিন্তু আপনাদের ব্যক্তিগত পরিসরের বাইরে। এমন অনেক সময় আসবে যখন আপনাকে বসের থেকে না শুনতে হবে, চোখে চোখে কথাও বলতে পারবেন না। উল্টে যুক্তি দেখিয়ে তর্ক না করে ওনার দিকটা বুঝতে শিখুন, মেনে নিতে শিখুন। বাড়ি ফিরে নিজেকে বোঝান, এটা কাজের জায়গা। যেখান উনি শুধুই আপনার বস।

২। পেশাদার আচরণ- অফিসে যতটা সম্ভব পেশাদার আচরণ বজায় রাখার চেষ্টা করুন। মাঝে মাঝেই ইচ্ছা হবে একান্তে সময় কাটাতে। কিন্তু নিজের ইচ্ছা সংবরণ করুন। হালকা হাত ধরতে ইচ্ছা হলে বা এক সঙ্গে সময় কাটাতে ইচ্ছা হলে খেয়াল রাখুন তা যেন দৃষ্টিকটু না হয় কোনও ভাবেই।অন্যের সামনে ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলবেন না, আবদার করবেন না।

৩। ব্রেক- লাঞ্চের সময় অন্য সময় কাজ থেকে ব্রেক নিলে সব সময় দু’জনে এক সঙ্গে ব্রেক নেবেন না।অন্যদের সঙ্গে গল্প করুন, খেতে যান। এতে পেশাদারিত্ব যেমন বজায় থাকবে, তেমনই অন্যরাও বুঝবেন আপনি তাঁদের গুরুত্ব দিচ্ছেন।

৪। অফিস থেকে আলাদা বেরোন- অফিসে ঢোকা-বেরনোর সময় খেয়াল রাখুন। প্রতি দিন দু’জন এক সঙ্গে ঢুকবেন, বেরোবেন না। খেয়াল করে অন্তত কিছুটা আগে পরে বেরোন। এতে পেশাদারিত্ব বজায় থাকবে, অফিসে দু’জনকে নিয়ে অযথা আলোচনাও এড়াতে পারবেন।

৫। গসিপ- একই অফিসে কাজ করেন, সম্পর্ক যখন রয়েছে তখন গসিপ হবেই। কোনও ভাবেই বন্ধ করতে পারবেন না। তাই পাত্তা না দেওয়াই শ্রেয়। সকলের সামনে তর্ক করবেন না এমন আচরণ করবেন যাতে গসিপ আরও বাড়ে। কেউ খোঁচা দিয়ে কিছু বললেও বেশি প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না। যত এড়িয়ে চলতে পারবেন, তত শান্তিতে থাকবেন।

৬। ব্যক্তিগত জীবনে প্রভাব- পেশাদার জীবন যেন ব্যক্তিগত জীবনে প্রভাব না ফেলে। সব সময় অফিস নিয়ে কথা বলবেন না, অফিসের ঝামেলা নিয়ে আলোচনা করবেন না। বোঝার চেষ্টা করুন কখন উনি অন্য প্রসঙ্গে যেতে চাইছেন। সরাসরি না বললেও ওনার ইঙ্গিত বোঝার চেষ্টা করুন। না হলে জীবনে একঘেয়ে হয়ে যাবে।

বস গায়ে হাত দেয়? জেনে নিন কীভাবে সামলাবেন পরিস্থিতি

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE