নভজ্যোত সিংহ সিধু ও আমির সোহেল।
১৯৯৬ সালে শারজায় মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। সেই ম্যাচে পাকিস্তানের অধিনায়ক আমির সোহেলের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন ভারতের ওপেনার নভজ্যোত সিংহ সিধু। সেই ঘটনা নিয়েই এ বার মুখ খুলেছেন সোহেল।
তিনি বলেছেন, “প্রত্যেকেই নভজ্যোত সিংহ সিধুকে চেনে। ক্রিকেটে ও বড় নামগুলোর মধ্যে পড়ে। আমি শ্রদ্ধা করি ওকে। ওর ব্যাটিং দেখতে পছন্দও করি। বিশ্বের সেরা বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে খুব ভাল পারফরম্যান্স রয়েছে সিধুর। কিন্তু সিধু যে ভাবে ওই ঘটনার কথা বার বার বলেছে, বিষয়টা সে রকম নয়। আর আমি সেটা ওকে বলেওছিলাম। বলেছিলাম, আকিব জাভেদের সঙ্গে বসে এটা নিয়ে কথা বলতে পারা আমরা। কিন্তু, সিধু ফের ওই ঘটনাকে অন্য ভাবে পেশ করেছে। আমাকে তাই এটা নিয়ে স্পষ্ট ভাবে সব জানাতে হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: বিরাট কোহালির শরীরে আছে এই ১১টি ট্যাটু, এগুলির মানে জানেন?
আরও পড়ুন: সৌরভের মতো সাহসী ক্রিকেটার দেখিনি, বলছেন শোয়েব
আমির সোহেল এর পর স্মৃতিচারণের মেজাজে বলেছেন, “১৯৯৬ সালে শারজায় ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলাম। সিধু নব্বইয়ের কাছাকাছি ব্যাট করছিল। এক বার ওভারের মাঝামাঝি ও আমার কাছে রেগেমেগে এল। বলল, ‘তোমার পেসারকে থামাও। ও ভুলভাল কাজ করছে।’ আমি তখন বললাম, ‘কী ঘটেছে।’ সিধু বলল, ‘ও আমাকে গালাগাল করছে।’ আমি তখন বললাম, ‘এগুলো গায়ে মেখো না। ও ফাস্ট বোলার। ওদের অভ্যাসই হল কথা বলা।’ সিধু তখন বলল, ‘না, না। যা খুশি বলতে পারো, কিন্তু গালাগাল দিও না।’ আমি তখন বললাম, ‘ঠিক আছে। ম্যাচের পর আমি এটা বলব ওকে। তুমি ব্যাট করো।’ এটুকুই ঘটেছিল। আমি জানি না ও কী ভেবে এই ঘটনাকে সামনে আনছে। তবে সত্যিটা এটাই।”
বাঁ-হাতি ওপেনার সোহেল আরও বলেছেন, “যদি ক্রিকেটারদের মধ্যে কোনও গালাগাল চলত, তবে তা নিশ্চয়ই আম্পায়ারদের নজরে পড়ত। আচরণবিধি নিয়ে আম্পায়াররা অধিনায়কদের প্রতি কঠোরই থাকেন। সে ক্ষেত্রে আম্পায়াররা শাস্তি দিতেন। যাক, আমার মনে হয়, ঘটনাটা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি দূর করা গিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy