অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে আড্ডায় সৌরভ। বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে।
গোটা ম্যাচে পিছিয়ে থেকে শেষ বেলায় গতবারের চ্যাম্পিয়ন জয়পুর পিঙ্ক প্যান্থার্সকে নাটকীয় ভাবে ২৮-২৬ হারানোর পর বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স অধিনায়ক দীনেশ কুমার খুঁজছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। করমর্দনের জন্য। পেলেন অভিষেক বচ্চনের হাত!
ঢাকুরিয়ার স্টুডিওয় দু’দিন রিহার্স করার পর এ দিন ‘জনগণমন’ গেয়ে নেতাজি ইন্ডোরে প্রো-কবাডি শুরুর নায়ক সৌরভ তখন বাড়ির পথে। মোবাইলে তাঁর গলায় বিস্ময়! ‘‘ম্যাচটা আমরা জিতেছি! অভিষেকের টিমটা কিন্তু বেশ টাফ ছিল।’’
এ দিন স্টেডিয়ামে ঢুকেই অবশ্য টিভি অ্যাঙ্করকে ‘থাই ফাইভ’ দেখিয়ে সৌরভ বলেছিলেন, ‘‘আইপিএল, আইএসএলের মতো কবাডিতেও কলকাতা ‘লে পাঙ্গা’ বলে ট্রফিটা নিতে পারবে তো? এশিয়াড থেকে বিশ্বজিৎ পালিতরা কিন্তু সোনা এনেছে এই খেলায়।’’ গ্যালারিতে বসে যা শুনে হিরোশিমা এশিয়াডের সোনাজয়ী অধিনায়ক বিশ্বজিতের স্বগতোক্তি, ‘‘দাদার এখনও মনে আছে!’’
আর অভিষেক? তিনি কখনও সৌরভের সঙ্গে সেলফি তুললেন, কখনও হাত ছুড়লেন, কখনও বা চেয়ার ছেড়ে উঠে নির্দেশও দিলেন টিমকে। পাশ থেকে তাল মেলাচ্ছিলেন পরিচালক সুজিত সরকার, সুজয় ঘোষ, আইএসএলে তাঁর টিম চেন্নাইয়ানের বাঙালি ডিফেন্ডার অভিষেক দাসরা (যাঁকে ইতালিতে আসন্ন আবাসিক শিবিরের জন্য টিপসও দেন)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করতে এলে তাঁকে ঢিপ করে প্রণামও সারলেন। কিন্তু শেষ বেলায় যেই না পিছনো শুরু জয়পুরের, চোয়াল শক্ত অভিষেকের! আর ম্যাচ হারতেই দু’দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নেতাজি ইন্ডোর ছাড়লেন কারও সঙ্গে কথা না বলেই! আর সিনিয়র বচ্চন? ম্যাচ শুরুর আগে টুইটে হুঙ্কার দিচ্ছিলেন। ম্যাচ শেষে সুর পাল্টে তাঁর ফের টুইট, ‘‘ছোট্ট ভুলে আজ হারলাম আমরা। কলকাতা তোমাকে ‘জামাইবাবু’র শুভেচ্ছা!’’ তাতে সৌরভের বিনয়ী টুইট, ‘‘স্যর আপনি কলকাতায় এলেন না বলেই জয়পুর হারল। আমরা আপনাকে খুব মিস করেছি।’’
দর্শকদের শব্দব্রহ্ম, সাইকেডেলিক আলোর দৌরাত্ম্য, বাংলা মেগাসিরিয়ালের অভিনেত্রীদের ভিড়, ডিজের হুঙ্কার, ঝিন্চ্যাক হিন্দি-বাংলা গানের কলি তো ছিলই। স্ত্রী অর্পিতা, পুত্র তৃষাণজিৎকে নিয়ে প্রসেনজিতের উপস্থিতি আরও রংদার করেছিল কবাডির আসরকে। প্রসেনজিৎ বলেও গেলেন, ‘‘ছোটবেলায় চুটিয়ে কবাডি খেলেছি। আমার ছেলেও আজ স্টেডিয়ামে এসে ফুটছে।’’
আর সৌরভের ‘জয় হে’? এ বার টলিউডের ‘বুম্বাদা’— ‘‘ওকে জাতীয় সঙ্গীতের পর বললাম, কী রে, এখানেও তুই!’’ বলেই মুচকি হাসি।
ছবি: শঙ্কর নাগ দাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy