চ্যাম্পিয়ন: অনূর্ধ্ব-২৩ ওয়ান ডে ট্রফি নিয়ে বাংলার মেয়েরা। টুইটার
বাংলার মহিলা ক্রিকেটে ত্রিমুকুট। সিনিয়র ও অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে ক্রিকেটে আগেই জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলার মেয়েরা। রবিবার নাগপুরে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-২৩ ওয়ানডে লিগ চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ী হল বাংলা। ফাইনালে মুম্বইকে দু’উইকেটে হারায় তনুশ্রী সরকারের দল। ব্যাটে ও বলে দুরন্ত পারফরম্যান্স করে ম্যাচের সেরা দীপ্তি শর্মা।
এ দিন শুরুতে ব্যাট করে ১৭৯ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল মুম্বই। তাদের হয়ে অর্ধশতরান করেন জেমাইমা রদ্রিগেস। ৭২ বলে ৪০ রান করেন ব্রুশালি ভগত। বাংলার বোলারদের মধ্যে দু’উইকেট করে নেন অধিনায়ক তনুশ্রী সরকার ও শ্রেয়া কাঁড়ার। ৩৫ রানে তিন উইকেট নেন দীপ্তি শর্মা।
ব্যাট করতে নেমে ১৩৩ বলে অপরাজিত ১০৫ রান করে ম্যাচ জেতান এই দীপ্তিই। তার আগে অবশ্য শুরুতে রিচা ঘোষ আউট হয়ে যাওয়ায় ১২-১ হয়ে গিয়েছিল বাংলা। কিন্তু দীপ্তির সঙ্গে তনুশ্রী যোগ্য সঙ্গত করেন বাংলার জয়ের জন্য। ৪১ বলে তিনি করেন ৩৩ রান।
ম্যাচ শেষে নাগপুর থেকে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কোচ ঋতুপর্ণা রায় বললেন, ‘‘সারা বছর ধরে প্রস্তুতিটা ভাল হয়েছিল আমাদের। সঙ্গে সহকারীদের অবদানও উল্লেখ করার মতো। গত বছর উত্তরপ্রদেশ থেকে সিনিয়র দলের অধিনায়ক ঝুলন গোস্বামী নিয়ে এসেছিল বিশ্বকাপার দীপ্তি শর্মাকে। এই খেতাব জয়ে দীপ্তিও একটা বড় ভূমিকা নিয়েছে।’’
যা শুনে ঝুলন বলছেন, ‘‘মহিলাদের ক্রিকেটে জাতীয় স্তরে সাম্প্রতিক কালে বাংলার এই ত্রিমুকুট জয় অন্যতম সেরা ঘটনা। এই সাফল্য দলের সদস্য, কোচ ও তাঁর সহকারীদের। আমি কেবল নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে সাহায্য করেছি ওদের।’’
সিএবি মেয়েদের অনূর্ধ্ব-২৩ দলের এই সাফল্যে দলের প্রতিটি সদস্যের জন্য ৫০ হাজার টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে। সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গোটা মরসুম জুড়ে বাংলার মেয়েরা যে পারফরম্যান্স করেছেন, তা গর্ব করার মতো। এর অর্থ বাংলায় মহিলা ক্রিকেট সঠিক পথেই এগোচ্ছে।’’ যুগ্ম সচিব অভিষেক ডালমিয়াও বলেন, ‘‘ঝুলন গোস্বামী জুনিয়রদের দারুণ ভাবে সব সময়ে পরামর্শ দিয়েছেন। বাংলার মেয়েরা নিজেদের প্রতিভা চিনিয়ে দিল জাতীয় পর্যায়ে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy