রঞ্চি ফাইনালে অর্পিতের ব্যাটিং দাপট। ছবি— পিটিআই।
রঞ্জি ট্রফি ফাইনালের দ্বিতীয় দিনে বেশ ভাল জায়গায় সৌরাষ্ট্র। মঙ্গলবার সারা দিনে বাংলার বোলাররা তিনটি উইকেট নিলেন। দ্বিতীয় দিনের শেষে সৌরাষ্ট্রের রান ৮ উইকেটে ৩৮৪। ক্রিজে রয়েছেন চিরাগ জানি (১৩) ও জাদেজা (১৩)।
শুরু থেকেই বাংলার বোলারদের বিরুদ্ধে দাপট দেখালেন সৌরাষ্ট্রের ব্যাটসম্যানরা। দ্বিতীয় দিন সৌরাষ্ট্র শিবিরে শাহবাজ আহমেদ আঘাত হানেন। অর্পিত ভাসাভাদাকে যখন ফেরান তিনি, তত ক্ষণে তাঁর সেঞ্চুরি হয়ে গিয়েছে। সৌরাষ্ট্র শিবিরও বেশ ভাল জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। শাহবাজের ওভারে বাঁ হাতি অর্পিতকে স্টাম্প করেন ঋদ্ধিমান সাহা। ১০৬ রানে আউট হন অর্পিত। ২৫৫ বলে শতরান করেন তিনি। প্রথম দিনের শেষে ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন এই অর্পিত।
মঙ্গলবার তিনি ও চেতেশ্বর পূজারা বড় রানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান সৌরাষ্ট্রকে। লাঞ্চের পরে অনুষ্টুপ মজুমদারকে বাউন্ডারি মেরে শতরান করেন অর্পিত। তাঁর ইনিংসে সাজানো ছিল ১১টি বাউন্ডারি।
অন্য দিকে পূজারাকে ৬৬ রানে এলবিডব্লিউ করেন মুকেশ কুমার। প্রেরক মাঁকড়কে (০) ফেরান মুকেশ কুমার। আহত ও অবসৃত অবস্থায় সোমবার মাঠ ছেড়েছিলেন পূজারা। রঞ্জি ট্রফি ফাইনালের দ্বিতীয় দিন পূজারা সকাল থেকেই ব্যাট করতে নামেন। পুরনো পূজারারই ঝলক দেখা গিয়েছে মাঠে। ক্রিজে পড়ে থেকে বাংলার বোলারদের বিষ শুষে নিচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে অর্পিত কখনও সিঙ্গলস নিয়ে আবার কখনও দুর্বল ডেলিভারি বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে সৌরাষ্ট্রের রান তোলার গতিকে সচল রাখেন।
প্রথম দিনের শেষে সৌরাষ্ট্রের রান ছিল পাঁচ উইকেটে ২০৬। বাংলার কোচ অরুণ লাল বলেছিলেন, সৌরাষ্ট্রকে তিনশোর মধ্যে ফেলে দিতে পারলে সুবিধা পাবে বাংলা। কিন্তু তাঁর আশা পূরণ হয়নি। দিনের শুরু থেকে অর্পিত ও পূজারার ব্যাটে ভর করে বড় রানের দিকে এগোয় সৌরাষ্ট্র। রঞ্জি ফাইনালের দ্বিতীয় দিনের যা পরিস্থিতি তাতে অ্যাডভান্টেজ সৌরাষ্ট্র বলাই যায়।
এসসিএ স্টেডিয়ামের নিষ্প্রাণ পিচে বোলারদের জন্য কিছুই নেই। বল পড়ে হঠাৎ হাঠাৎ নেমে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই উইকেটে তৃতীয় দিন থেকে ব্যাট করা সমস্যার হয়ে দাঁড়াবে।প্রথম দিনের শেষে আকাশদীপরা বাংলাকে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিলেন। দ্বিতীয় দিনের সকালে সুস্থ হয়ে নেমে পড়েন পূজারা। তাঁর খেলার ধরনটাই তো এ রকম। প্রতিপক্ষের বোলাররা তাঁকে আউট করার রাস্তা খুঁজে বের করতে পারেন না। ক্রিজে দীর্ঘসময় কাটিয়ে বড় রানের ইনিংস খেলেন। রঞ্জি ফাইনালেও তিনি বাংলার বোলারদের শাসন করলেন। মুকেশের বলটা অবশ্য বুঝতে না পেরে আউট হন।
আরও পড়ুন: ভারতের মাঠে দু’ প্লেসির অভিজ্ঞতা কাজে দেবে, বলছেন বাউচার
নিউজিল্যান্ড থেকে ফিরেই পূজারা নেমে পড়েন বাংলার বিরুদ্ধে রঞ্জি ফাইনালে। গলায় সংক্রমণ হওয়ায় ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে পিছিয়ে নিয়ে যান ছ’ নম্বরে। সোমবার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ইনিংস শুরু করলেও আট ওভার ব্যাট করার পরে হাঁপিয়ে যান তিনি। তার পরে উঠে যান। দ্বিতীয় দিন সেই পূজারার খেলা দেখে মনে হয়নি কোনও সমস্যা হচ্ছে। পিচেও নেই জুজু। তৃতীয় দিনের সকালে দ্রুত সৌরাষ্ট্রকে ফেলে দিতে চাইবেন বাংলার বোলাররা।
আরও পড়ুন: আইজলকে হারিয়ে আজই লিগ নিষ্পত্তিতে চোখ কোচ কিবুর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy