মেক্সিকো ম্যাচে এভাবেই বার বার দেখা গেল নেমারকে। ছবি: এএফপি।
অহেতুক ডাইভ নয়। পালটাও মানসিকতা!
মেক্সিকো ম্যাচ জিতে ব্রাজিল কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পর দিয়েগো মারাদোনা পরামর্শ দিলেন নেমারকে। সতর্কও করে দিলেন ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় ভরসাকে। বললেন, মাঠে 'নাটক' করলে দেখতে হতে পারে কার্ড। ফলে, সমস্যায় পড়তে পারে দল।
রাশিয়া বিশ্বকাপে বার বার উঠে আসছে ব্রাজিলের দশ নম্বর জার্সিধারীর মাঠে পড়ে যাওয়া। সোমবার মেক্সিকোর বিরুদ্ধে গোল করে, গোল করিয়ে যতই নায়কের মর্যাদা পান নেমার, মাঠে তাঁর ফাউল আদায়ের চেষ্টা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচিত হচ্ছেন তিনি।
৫৭ বছর বয়সি মারাদোনারও চোখে পড়েছে বিপক্ষের সঙ্গে চ্যালেঞ্জে নেমারের পড়ে গিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা। কিংবদন্তি ফুটবলার বলেছেন, “নেমার এখন তারকা ফুটবলার। যদিও ওঁর মধ্যে ঘাটতি রয়েছে, তবে তার পরও নেমার হল তারকা। ওঁকে জানতে হবে যে এখনকার দিনে অহেতুক ডাইভিংয়ের শাস্তি হল হলুদ কার্ড। ভিএআর চালু হয়েছে। কোস্টা রিকার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ও হলুদ কার্ড দেখেছে। ওঁর মাথার মধ্যে থাকা চিপ এবার বদলাতে হবে।” অর্থাত্, মানসিকতা বদল করতেই বলেছেন মারাদোনা।
যন্ত্রণায় ছটফট করছেন নেমার। ছবি: রয়টার্স।
মেক্সিকোর কোচ হুয়ান কার্লোস ওসোরিয়াও সোমবার ম্যাচের পর সমালোচনা করেছিলেন নেমারের। 'অভিনয়' হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন নেমারের আচরণকে। মেক্সিকোর অধিনায়ক আন্দ্রেস গুয়ারদাদো বলেছেন, “আমরা সবাই নেমারকে জানি। জানি, ও বাড়িয়ে দেখানোর চেষ্টা করে। যখন-তখন পড়েও যায়। ভিএআর এসে গিয়েছে। রেফারিকে তাই এগুলো বিচার করতে হবে।”
আরও পড়ুন: যে যে কারণে ব্রাজিলের সঙ্গে পারল না মেক্সিকো
আরও পড়ুন: মারাত্মক আহত হওয়ার ‘অভিনয়’ করছেন, শুনেই ক্ষিপ্ত নেমার
বিশ্বজুড়ে প্রাক্তনদের অনেকেই বল পায়ে নেমারের প্রশংসা যেমন করছেন, তেমনই নিন্দা করেছেন তাঁর রেফারির দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টার। অনেকেই বলছেন যে নেমারের আচরণে ব্রাজিলের ভাবমূর্তিই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গ্যারি লিনেকার, অ্যালান শিয়েরাররা টুইটে কড়া নিন্দা করেছেন। শিয়েরার বলেছেন, নেমার, এবার বন্ধ করো এসব। আমরা বিরক্ত হয়ে উঠেছি।
যতই সমালোচনা হোক, নেমার কিন্তু ক্রমশ ছন্দে ফিরছেন। পরিসংখ্যান বলছে, তিনি বিশ্বকাপে গোলের উদ্দেশে ২৩ শট মেরেছেন। তার মধ্যে ১২টি থেকেছে গোলে। তিনি সবচেয়ে বেশি, ১৬টি গোলের সম্ভাবনা তৈরিও করেছেন। সবচেয়ে বেশি, ৪০টি ড্রিবলের চেষ্টা করেছেন। একইসঙ্গে, সবচেয়ে বেশি, ২৩বার ফাউলের সামনেও পড়েছেন।
মেক্সিকোর বিরুদ্ধে গোলের পর বিশ্বকাপে মোট ছয়টি গোল করে ফেললেন তিনি। যার জন্য প্রয়োজন হয়েছে ৩৮ বার গোল করার চেষ্টা। তথ্য জানাচ্ছে, লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর বিশ্বকাপে ছয়টি গোল করতে লেগেছিল যথাক্রমে ৬৭ ও ৭৪ শট।
পরিসংখ্যানই বলছে, নেমারকে কেন বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের অন্যতম হিসেবে ধরা হচ্ছে। মারাদোনার পরামর্শ মাথায় রাখলে আগামী দিনে চর্চায় এই নেমারই আসবেন। ‘অভিনয়’ ক্ষমতার প্রসঙ্গ উঠবেই না!
আরও পড়ুন: 'গোল করে ও করিয়ে যাবতীয় সমালোচনার জবাব দিলেন নেমার'
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy