"আমরা চাঁদে মানুষ পাঠিয়ে দিচ্ছি, কিন্তু বৃষ্টির জন্য রিজার্ভডে রাখতে পারছি না।” হতাশ স্টিভ রোডস, ছবি: রয়টার্স
প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারপরে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা। পরপর দু’দিন বৃষ্টির জন্য ভেস্তে গেল বিশ্বকাপের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। সোমবারের ম্যাচে মাঠে কিছু ওভার বল গড়ালেও, মঙ্গলবার তো মাঠ থেকে কভার সরানোই গেল না।
একটি করে পয়েন্ট এই চারটি দলের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। টুর্নামেন্টে এখনই এর প্রভাব বিশেষ না পড়লেও গ্রুপ স্টেজের অন্তিম লগ্নে সেমিফাইনালে যোগ্যতা অর্জন করার জন্য যখন প্রতিটি দল মরিয়া হয়ে উঠবে, তখনই বোঝা যাবে এই পয়েন্ট ভাগের ‘মাহাত্ম্য’।
প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে বিশ্বকাপের মতো এত বড় একটা টুর্নামেন্টে কেন কোনও রিজার্ভ ডে রাখা হল না? এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের কোচ স্টিভ রোডস হতাশার সুরে বলেন, “আমরা এক দিকে চাঁদে মানুষ পাঠিয়ে দিচ্ছি, কিন্তু এদিকে বৃষ্টির জন্য আমরা একটা রিজার্ভডে রাখতে পারি না।”
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের আশা শেষ? বাঁ হাতি ওপেনারের টুইটে আশার আলো
আরও পড়ুন: একটা ফেয়ারওয়েল ম্যাচ কি পেতে পারতেন না যুবরাজ? সৌরভ বললেন...
তিনি আরও বলেন, “আমি জানি যুক্তি দিয়ে ভাবতে গেলে এত বড় টুর্নামেটে রিজার্ভ ডে রাখা আইসিসির ম্যানেজমেন্টের কাছে বড় চিন্তার বিষয় হবে। কিন্তু আমরা দু’টি ম্যাচের মাঝে অনেকটা সময় পাই খেলার জন্য। সেই সময়টা যদি কাজে লাগানো যায় তাহলে ভাল হয়।”
বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার পর স্টিভ রোডসের হতাশ হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ যে সমস্ত দলগুলোকে হারানোর ক্ষমতা রাখে, তাদের মধ্যে শ্রীলঙ্কা অন্যতম। তাই রিজার্ভ ডে না থাকা বাংলাদেশের পক্ষে ক্ষতি হল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
অন্য দিকে, টুর্নামেন্টের লিগ পর্বে রিজার্ভ ডে না রাখার কারণ হিসেবে আইসিসি-র প্রধান ডেভিড রিচার্ডসন জানিয়েছেন, “পুরুষদের এই ক্রিকেট বিশ্বকাপ রাউন্ড রবিন ফরম্যাটের হওয়ায় এমনিতেই টুর্নামেন্টের দৈর্ঘ্য বেড়ে গিয়েছে, তার উপরে আলাদা করে গ্রুপ লিগের জন্য রিজার্ভ ডে রাখলে বিশ্বকাপের দৈর্ঘ্য আরও বাড়বে এবং সেটা এই টুর্নামেন্টকে আরও জটিলতর করে তুলবে।”
রিচার্ডসন আরও বলেন, “টুর্নামেন্টের দৈর্ঘ্য বাড়লে অনেক দিকেই এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পরবে। যেমন মাঠের পিচ প্রস্তুত করা, দলের রিকভারি, যাত্রা পথ, ভেন্যুর পরিস্থিতি, টুর্নামেন্টের জন্য নিয়োগ করা কর্মী ও ভলান্টিয়ার, ম্যাচ ব্রডকাস্টিং ইত্যাদি। তার উপরে রিজার্ভ ডে রাখলেও এটা কেউ বলতে পারবে না যে সেই রিজার্ভ ডে-তে বৃষ্টি হবে না।’’
রিচার্ডসন ব্যাখ্যা করে জানিয়েছেন, ম্যাচগুলি সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রায় ১২০০ জন স্টাফ দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে চলেছেন। এর উপরে যদি গ্রুপ লিগের জন্য আলাদা করে রিজার্ভ ডে-র ব্যবস্থা করা হয় তাহলে স্টাফেদের মান আরও উন্নত করার পাশাপাশি তাদের সংখ্যাও বাড়াতে হবে। রিচার্ডসন বলছেন, ‘‘আমরা শুধু মাত্র নক আউট ম্যাচগুলির জন্যই রিজার্ভ ডের ব্যবস্থা রেখেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy