বেটিংয়ের অভিযোগে গ্রেফতার দেশের মহিলা ক্রিকেট দলের কোচ তুষার আরোঠে। ছবি: তুষার আরোঠের ফেসবুক পেজ থেকে।
বেটিং চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের প্রাক্তন কোচ তুষার আরোঠেকে গ্রেফতার করল গুজরাত পুলিশ।
বছর দু’য়েক আগে মিতালি রাজের নেতৃত্বে ভারত লর্ডসে বিশ্বকাপ ফাইনালে পৌঁছেছিল। তখন তাঁদের কোচ ছিলেন তুষার। তবে আরোঠে একা নন, তাঁর সঙ্গে আরও ১৮ জনকে একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। বদোদরার ডিসিপি ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ জয়দীপ সিংহ জাদেজা জানিয়েছেন, বেটিংয়ের খবর তাঁদের কাছে আগে থেকেই ছিল। সেই মতোই তাঁরা সোমবার আরোঠের কাফেতে হানা দেন। তখনই আরোঠে-সহ ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় একাধিক মোবাইল ও গাড়ি। সোমবার ছিল কিংস ইলেভেন ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ। সেই ম্যাচ নিয়েই কাফেতে চলছিল বেটিং। পুলিশ সঠিক সময়ে হানা দিয়ে গ্রেফতার করে বেটিং চক্রের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের। জাদেজা বলেছেন, ‘‘আরোঠে সক্রিয়ভাবে বেটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না, তা তদন্ত করে দেখা হবে।’’
মিতালিদের ক্রিকেট গুরু বেটিংয়ের অভিযোগে ধরা পড়ায় ক্রিকেটমহলে ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। এর আগে আইপিএল চলাকালীন ফিক্সিংয়ের অভিযোগে দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করেছিল শ্রীসন্থ, অজিত চান্ডিলা এবং অঙ্কিত চহ্বনকে।
আরও পড়ুন: ‘মাঁকড় আউট’ নিয়ে মত প্রকাশ অ্যান্ডারসনের, মেশিনে কাটলেন অশ্বিনের ছবি
আরও পড়ুন: দিল্লি ফেরাল পুরনো সৌরভ, দেখুন তো নেটের এই মহারাজকে চিনতে পারেন কি না?
২০১৭ সালের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ভারত। টুর্নামেন্টের পরেই কোচের চেয়ার ছেড়ে দেন তুষার। বেশ কয়েক জন সিনিয়র ক্রিকেটার তুষারের বিরুদ্ধে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের কাছে নালিশ জানান। হরমনপ্রীত কউরের মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররা তুষারের ট্রেনিং পদ্ধতিতে খুশি ছিলেন না। জাতীয় দলের কোচ হিসেবে তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়লেও ঘরোয়া ক্রিকেটার হিসেবে সমীহ জাগানোর মতোই নাম ছিল তুষারের। খেলোয়াড়জীবনে অফ ব্রেক বল করতেন। ব্যাট করতেন বাঁ হাতে। বরোদার হয়ে ১৯৮৫ থেকে ২০০৩-০৪ মরসুম পর্যন্ত টানা খেলার পরে ব্যাট-প্যাড তুলে রাখেন তিনি। বরোদার হয়ে ১০০টির বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তুষারের। এ বার কলঙ্কের ছিটে লাগল তাঁর গায়ে। সেই দাগ কি সহজে মুছে ফেলা যাবে? ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কী করে সেটাও দেখার?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy