সতর্কতা: সুনীলদের খেলতে হবে একগুচ্ছ করোনা বিধিকে সঙ্গী করে।
করোনা-সংক্রমণ রুখতে আইএসএলে জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরির সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল। এ বার প্রতিযোগিতার সঙ্গে যুক্ত সকলের স্বাস্থ্যের উপরে নজরদারি চালাতে আনা হচ্ছে ‘হেল্থ অ্যাপ’।
আইএসএলে দশটি দলের ফুটবলার থেকে টিম বাস ও গাড়ির চালক— সকলের মোবাইল ফোনেই বাধ্যতামূলক ভাবে এই বিশেষ অ্যাপ থাকতে হবে। প্রত্যেক দিন সেখানে তাঁদের শরীর সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিতে হবে। অগস্ট থেকেই পরীক্ষামূলক ভাবে এই অ্যাপ ব্যবহার শুরু হওয়ার কথা।
কী ভাবে নজর রাখবে এই অ্যাপ? প্রত্যেক দিন অ্যাপে ‘লগ ইন’ করার সঙ্গে সঙ্গেই মোবাইলের স্ক্রিনে ভেসে উঠবে একাধিক প্রশ্ন। যেমন, শরীরের তাপমাত্রা এখন কত? কারও সর্দি, জ্বর, বা গলা ব্যথা হয়েছে কি না। করোনা শরীরে থাবা বসালে অনেক সময়ই তা বোঝা যায় না। কারণ, জ্বর, সর্দি বা গলা ব্যথার মতো কোনও উপসর্গ থাকে না। কিন্তু করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির ঘ্রাণ শক্তি ও খাবারের স্বাদ বোঝার ক্ষমতা চলে যেতে পারে। অ্যাপের মাধ্যমে সকলকে জানাতে হবে, এই ধরনের কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না।
করোনা অতিমারির জেরে এ বার আইএসএল হবে গোয়া অথবা কেরলের মধ্যে যে কোনও একটি রাজ্যে। গোয়ায় আইএসএল হলে ম্যাচ হবে ফতোরদা, বাম্বোলিম ও ভাস্কোয়। কেরলে তিন কেন্দ্রের কথা ভাবা হয়েছে। কোচি, কোজ়িকোড় ও মাঞ্জেরি। আইএসএল শুরু হওয়ার কথা ২০ থেকে ২৩ নভেম্বরের মধ্যে কোনও একটা দিন। তবে যেখানেই খেলা হোক, স্টেডিয়ামে দর্শকদের প্রবেশ নিষেধ। পরিস্থিতির উন্নতি হলে ফেব্রুয়ারিতে দর্শকদের খেলা দেখার অনুমতি দেওয়া হতে পারে। শুধু তাই নয়, করোনার কারণে এ বার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হওয়ার সম্ভাবনাও কম। তাতেও দেড় থেকে দু’হাজার মানুষ জড়িত থাকবেন এ বার আইএসএলে।
সকলের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণের জন্য বিশেষ দলও ইতিমধ্যে গড়া হয়ে গিয়েছে। তাদের কাজ হচ্ছে, কারও তথ্যে কোনও গোলমাল দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে মেডিক্যাল টিমকে জানানো। যেমন, কেউ হয়তো জানালেন, তাঁর জ্বর বা গলা ব্যথা না হলেও প্রচণ্ড ক্লান্ত লাগছে। কেউ হয়তো গন্ধ বা স্বাদ কিছুই বুঝতে পারছেন না আগের রাত থেকে। এই পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সেই ব্যক্তির কাছে মেডিক্যাল টিম পৌঁছে যাবে। টিম হোটেলেই নিভৃতবাসের ব্যবস্থা থাকছে। তবে পরিস্থিতি জটিল হলে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে আক্রান্তকে।
অ্যাপের মাধ্যমে নজরদারি রাখা নিয়ে আইএসএলের কর্তাদের ব্যাখ্যা, ‘‘পরীক্ষা তো রোজ করা সম্ভব নয়। তাই এই অ্যাপের মাধ্যমেই সকলের স্বাস্থ্যের উপরে নজর রাখা হবে।’’ তাঁরা মানছেন, ‘‘সচেতনতাই পারে করোনা থেকে বাঁচাতে। তাই আমরা সকলকেই এই ব্যাপারে নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy