অ্যাডিলেডে আগামী ৬ ডিসেম্বর তিনি টস করতে নামবেন না। থাকবেন না অস্ট্রেলিয়ার ড্রেসিংরুমেও। কিন্তু বিরাট কোহালিকে আটকানোর নীল নকশা অস্ট্রেলিয়ার জন্য তৈরি করে দিলেন রিকি পন্টিং।
অস্ট্রেলিয়ার একটি ওয়েবসাইটে কোহালিকে থামানোর রাস্তা দেখিয়েছেন পন্টিং। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘কোহালিকে নিয়ে পরিকল্পনা তৈরি করতে বসলে আমি সবার আগে একটা জিনিস দেখব। অতীতে ওর বিরুদ্ধে কোন বোলারের সাফল্য সব চেয়ে বেশি আর কেন?’’ সেই রাস্তায় হেঁটে পন্টিং একজনের নামই পাচ্ছেন। ‘‘জেমস অ্যান্ডারসনই হল একমাত্র বোলার যে কোহালিকে সমস্যায় ফেলেছিল। ওর বিরুদ্ধে সাফল্যও বেশি ইংল্যান্ড পেসারের,’’ বলেছেন পন্টিং।
ভারত অধিনায়কের ব্যাটিং নিয়ে পন্টিং বলেছেন, ‘‘বল যদি নড়াচড়া না করে, তা হলে কিন্তু কোহালিকে আউট করা রীতিমতো কঠিন হয়ে যাবে।’’ তাঁর সুপারিশ অনুযায়ী, প্রথম দিকে কোহালিকে রান করতে দিলে চলবে না। ‘‘শুরুর দিকেই বাউন্ডারি লাইনে কয়েক জন ফিল্ডারকে রাখতে হবে। যাতে ইনিংসের প্রথম দিকে বাউন্ডারি না পায় কোহালি। তবে শুরু থেকেই একেবারে আক্রমণে যাওয়ার কিছু নেই। আমি তো বলব, ধারাবাহিক ভাবে আঁটসাঁট বল করে যাও,’’ বলেছেন পন্টিং।
এখানেই শেষ নয়। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের জন্য থাকছে পন্টিংয়ের আরও পরামর্শ। যেমন তিনি বলেছেন, ‘‘কোহালি থার্ডম্যানে বল ঠেলে রান সংগ্রহ করতে ভালবাসে। তাই কয়েক জন ফিল্ডারকে এমন জায়গায় রাখা হোক, যাতে কোহালি একটু ধন্ধে পড়ে যায়।’’ কী ধরনের ফিল্ডিং সাজানো দরকার, তাও বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বজয়ী অধিনায়ক। তাঁর কথায়, ‘‘তৃতীয় স্লিপ বা ফ্লোটিং স্লিপকে (যে ফিল্ডার ঠিক প্রথাগত জায়গায় না দাঁড়িয়ে দুই স্লিপের মাঝের কোন জায়গায় দাঁড়ায়। সাধারণত বলের সুইং দেখে ফ্লোটিং স্লিপ রাখা হয়।) একটু সামনে নিয়ে আসতে হবে। কারণ, কোহালি গ্রিপ আলগা করে বলগুলো থার্ডম্যানের দিকে ঠেলার চেষ্টা করে। সে ক্ষেত্রে ক্যাচ হলে সেটা আগে পড়বে।’’ পন্টিং মনে করছেন, এ সব ছোটখাটো ব্যাপার নিয়ে কোহালিকে ভাবতে বাধ্য করালে তাঁর ব্যাটিংয়ে প্রভাব পড়তে পারে।
পন্টিং আরও মনে করেন, কোহালির মাথা গরম করে দিতে পারলে অস্ট্রেলিয়ার কাজটা সহজ হবে। ‘‘কেউ আমাদের পাড়ায় এসে দাপট দেখিয়ে যাবে, আর আমরা সহ্য করব, এটা হয় না। প্রয়োজন হলে কোহালিকেও জবাব দিতে হবে।’’ অতীত অভিজ্ঞতা থেকে পন্টিং বলেছেন, ‘‘মিচেল জনসন কিন্তু কোহালিকে ঝামেলায় ফেলে দিয়েছিল। কখনও আগুনে বোলিং করে, কখনও আক্রমণাত্মক
শরীরী ভাষায়।’’
পন্টিং এও বলেছেন, ‘‘আমি যে সব অস্ট্রেলিয়া দলের হয়ে খেলেছি, তারা কিন্তু মাঠে চুপচাপ থাকত না। কিছু না কিছু বলত। কিন্তু তার আগে বোলাররা দারুণ, আগ্রাসী বোলিং করত। এটা সব সময় মাথায় রাখতে হবে, ভাল ক্রিকেট খেলার পরেই এ সব করা যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy