ব্রাজিলের সোনালি প্রজন্মের অন্যতম মুখ তিনি। বারো বছর আগে শেষ বিশ্বজয়ী ব্রাজিলের অধিনায়ক। আর সেই কাফুকেই কি না ঢুকতে দেওয়া হল না ব্রাজিল ড্রেসিংরুমে! প্রায় এক রকম গলাধাক্কা দিয়ে!
এ দিন সাও পাওলো মিডিয়া সেন্টারে রবের্তো কার্লোস ঢোকার সময় বিভিন্ন দেশের মিডিয়ার দ্বারা এমন ঘেরাও হয়ে গেলেন যে বোঝা গেল, মার্সেলোদের বাজারদর যত কমছে তত পুরনো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন টিমের প্লেয়ারদের গুরুত্ব বাড়ছে। কাফু যেমন মানুষের খুব সহানুভূতি পাচ্ছেন। কাল রাতে তিনি ব্রাজিল ড্রেসিংরুমে সহানুভূতি জানাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ব্রাজিল ফুটবল সংস্থার প্রধান তাঁকে বার করে দেন। অপমানিত কাফু বলেছেন, “আমি জানি হারের যন্ত্রণা কেমন হয়। আটানব্বইয়ের ফাইনালে হারার অভিজ্ঞতা আছে। তাই গেছিলাম কিন্তু আমায় তো এক রকম ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করে দেওয়া হল।” এই ঘটনায় জনরোষ বেড়েছে। রোমারিও আবার তাকে উস্কে দিয়েছেন এই বলে যে, “শুধু স্কোলারিকে সরালে হবে না। স্কোলারি হলেন রোগের বহিঃপ্রকাশ। রোগ ছড়িয়ে আছে আমাদের ফুটবল সংস্থায়। ওটাকে ঠিকঠাক করতে হবে।” এর মধ্যে পেলের বিবৃতিটাই মানুষের একটু হাস্যকর মনে হয়েছে। পেলে বলেছেন, “বিশাল লজ্জা দেখতে হল। কিন্তু ব্রাজিল আবার উঠে দাঁড়াবে। পরের বিশ্বকাপ জিতবেই।”
ব্রাজিলীয় মিডিয়ার মতে, পেলের এই ছেলেভুলোনো কথাটা স্রেফ দেশের সরকারের হয়ে বলা। কারণ কালকের শোকাবহ ঘটনায় বর্তমান প্রেসিডেন্টের অক্টোবরের নির্বাচন জিতে ক্ষমতায় ফেরা আরও অনিশ্চয়তার মুখে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। সশব্দ গণ্ডগোল না করলেও গণমাধ্যমে রেডিও-টিভির ফোন ইন-এ বলছে, এই সরকার দেশে বিশ্বকাপ করে এত বড় লজ্জা ডেকে আনল। এদের আর একটা ভোটও নয়। পেলের জনপ্রিয়তা দিয়ে তাই ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা হচ্ছে। আর মানুষ এতেই রেগে যাচ্ছে। তুমি পেলে, আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ। তোমারও তো আমাদের মতো আজ শোকের আগুনে পোড়া উচিত!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy