Advertisement
৩১ মার্চ ২০২৩

বোলিংয়ের জন্য নাইটদের এগিয়ে রাখছি ফাইনালে

চেন্নাই সুপার কিংসকে একই টুর্নামেন্টে পরপর তিন বার হারানো যে বড় ব্যাপার, এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এ রকমই এক কৃতিত্ব নিয়ে আজ আইপিএল ফাইনালে নামছে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। কিন্তু সিএসকে এবং কেকেআর যে একই রকম ধাঁধা নয়, বেশ আলাদা, সেটা মাথায় রেখেই তৈরি হকে হবে জর্জ বেইলিদের।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৪ ০৩:২০
Share: Save:

চেন্নাই সুপার কিংসকে একই টুর্নামেন্টে পরপর তিন বার হারানো যে বড় ব্যাপার, এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এ রকমই এক কৃতিত্ব নিয়ে আজ আইপিএল ফাইনালে নামছে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। কিন্তু সিএসকে এবং কেকেআর যে একই রকম ধাঁধা নয়, বেশ আলাদা, সেটা মাথায় রেখেই তৈরি হকে হবে জর্জ বেইলিদের।

Advertisement

শুক্রবার চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে পঞ্জাবের জয়টা অপ্রত্যাশিত নয়। বিশেষ করে বীরেন্দ্র সহবাগের ওই অসাধারণ ব্যাটিংয়ের পর তো নয়ই। বীরু যে ফুরিয়ে যায়নি, এই একটা ইনিংসই তার বড় প্রমাণ। সে প্রসঙ্গে নয় পরে আসা যাবে। তার আগে আইপিএলের ফাইনালের দিকে তাকানো যাক।

কেকেআর-কে চেন্নাইয়ের থেকে আলাদা বলছি, ওদের অসাধারণ বোলিংয়ের জন্য। বোলিংই নাইটদের অন্য দলের চেয়ে আলাদা করে দিয়েছে। ওদের বোলিংয়ে যেমন বৈচিত্র আছে, তেমন গতিও আছে। আর সুনীল নারিন তো আছেই। তাই পঞ্জাবকে ভিন্ন স্ট্র্যাটেজি ও চতুর পরিকল্পনা নিয়ে নাইটদের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে হবে। দুই দলের পক্ষেই সুবিধাজনক ব্যাপার হল, খেলাটা বেঙ্গালুরুতে, যেখানে প্রচুর রান ওঠে।

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল যদি ফের জেগে না ওঠে আর পঞ্জাব যদি নিজেদের বোলিং নিয়ে আলাদা করে ভাবনাচিন্তা না করে, তা হলে কিন্তু সমস্যায় পড়বে। ওদের শুধু যে ভাল ব্যাটিং করতে হবে, তা নয়। ভাল বোলিংটাও দরকার। কারণ, টুর্নামেন্টের সেরা বোলিং বিভাগের বিরুদ্ধে নামছে ওরা। এই মুহুর্তে কেকেআরের তেমন ভুলভ্রান্তিও খুঁজে বের করা যাচ্ছে না। সব বিভাগেই ওরা অসাধারণ এবং ফাইনালেও অবশ্যই এই ফর্ম বজায় রাখার চেষ্টা করবে গম্ভীররা। একে অপরের মধ্যে শেষ লড়াইয়ে তো কেকেআর-ই আধিপত্য দেখিয়েছে। তাই ফাইনালেও নাইটদের কিছুটা হলেও এগিয়ে রাখছি।

Advertisement

তবে শুক্রবার বীরু যে ইনিংসটা খেলে দিল, তেমন ইনিংস যদি পঞ্জাবের কারও ব্যাট থেকে আসে, তা হলে লড়াইটা বেশ জমে যাবে। বীরেন্দ্র সহবাগ এমন ইনিংস ফের খেললেও অবশ্য অবাক হব না। ওর তো এখন আর কারও কাছে প্রমাণ করার কিছু নেই। তাই খোলা মনে নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারে। শুক্রবার তেমন ইনিংসই খেলল। একেবারে সহবাগ-সুলভ। নির্বাচকদের খাতায় এই সেঞ্চুরিটার সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ আগে এমসিসি-র হয়ে বিশ্ব একাদশের বিরুদ্ধে করা ওর সেঞ্চুরিটাও নিশ্চয়ই রয়েছে। আমার বিশ্বাস, একশো টেস্ট খেলা একজন ব্যাটসম্যানকে ঘরোয়া ক্রিকেটে পরীক্ষায় না ফেলে বড় জায়গায় পরখ করাই ভাল। সে জন্য অবশ্য নির্বাচকদের মধ্যে এই বিশ্বাসটা থাকাও দরকার যে, বীরু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসতে পারবে। এই বিশ্বাসটা থাকলে ওকে ইংল্যান্ডে নিয়ে গিয়ে পরখ করে দেখা যেতেই পারে। ওই সফরের দল ঘোষণা হয়ে গেলেও এমন লম্বা সিরিজের মাঝখানে কেউ আহত বা অসুস্থ হয়ে পড়লে ওকে দলে নেওয়া যেতেই পারে। কারণ, বিদেশের মাঠে ওপেনিং স্লট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.