Advertisement
E-Paper

অলিম্পিক্সের বছরে ভারতের উদ্বেগ ডোপিং, ১৪২ জন খেলোয়াড় ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ

ভারতীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে নিষিদ্ধ ওষুধ ব্যবহার করার প্রবণতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক বছরে ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ খেলোয়াড়ের সংখ্যা বেড়েছে কয়েক গুণ। অলিম্পিক্সের বছরে বাড়ছে উদ্বেগ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৫৫
picture of Doping

—প্রতীকী চিত্র।

দেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে ডোপ করার বা নিষিদ্ধ শক্তিবর্ধক ব্যবহারের প্রবণতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে অ্যাথলেটিক্স, ভারত্তোলন, কুস্তির মতো খেলায় পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ন্যাশনাল অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি (নাডা) ২০২২-২০২৩ মরসুমের তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত ১৪২ জন খেলোয়াড় ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। অথচ তার আগের ১২ মাসে ব্যর্থ ভারতীয় খেলোয়াড়ের সংখ্যা ছিল ৩৯।

নাডার নজর থেকে বাদ পড়েননি ক্রিকেটারেরাও। ২০২২-২৩ মরসুমে মোট ২৭ জন ক্রিকেটারের ডোপ পরীক্ষা হয়েছে। পরিচিতদের মধ্যে সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পন্থ, হার্দিক পাণ্ড্য, রবীন্দ্র জাডেজা, শ্রেয়স আয়ার, ইশান কিশন, হরমনপ্রীত কৌর এবং স্মৃতি মন্ধানারা ছিলেন সেই তালিকায়। ২০২২-২৩ মরসুমে মোট ৪৩৪২ জন খেলোয়াড়ের ডোপ পরীক্ষা হয়েছে। প্রতিযোগিতা চলার সময় পরীক্ষা হয়েছে ২৫৯৬ জনের। অন্য সময় পরীক্ষা হয়েছে ১৭৪৬ জনের।

ব্যর্থ খেলোয়াড়দের মধ্যে সংখ্যায় সব থেকে বেশি অ্যাথলিটেরা। মোট ৪৯ জন অ্যাথলিটের শরীরে নিষিদ্ধ পদার্থ পাওয়া গিয়েছে। ২২ জন ভারত্তোলক, ১৭ জন কুস্তিগির এবং ১৩ জন পাওয়ার লিফটার ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। ৮০ জন খেলোয়াড়ের শরীরে পাওয়া গিয়েছে পারফরম্যান্স বর্ধক ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ।

২০২৪ সালে রয়েছে প্যারিস অলিম্পিক্স। খেলোয়াড়দের মধ্যে ডোপ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়া উদ্বিগ্ন নাডা কর্তৃপক্ষ। অলিম্পিক্সের মঞ্চে দেশের মান বাঁচাতে কড়া মনোভাবের ইঙ্গিত দিয়েছেন তাঁরা। প্যারিসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এমন সব খেলোয়াড়ের পরীক্ষা হবে। আগামী জুন মাসের মধ্যে সম্ভাব্য সকলের অন্তত তিন বার পরীক্ষার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অ্যাথলেটিক্স, কুস্তি, ভারত্তোলন ছাড়াও নাডার নজরে রয়েছেন হকি, বক্সিং, শুটিং, ব্যাডমিন্টন, তিরন্দাজি এবং টেনিস খেলোয়াড়েরা।

ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি বা ওয়াডার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ ভারতের স্থান ছিল দ্বিতীয়। রাশিয়ার পর এ দেশের সব থেকে বেশি খেলোয়াড় ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিলেন। খেলোয়াড়দের মধ্যে নিষিদ্ধ ওষুধ ব্যবহারের প্রবণতা যে ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তা অলিম্পিক্সের আগে উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন নাডা কর্তৃপক্ষ।

Doping NADA Indian Athlete
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy