Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
ইরফান নেই, সমস্যা ইউসুফকে ঘিরেও

রঞ্জি উদ্বোধনীতে হয়তো জোড়া স্পিনারে বাংলা

চার পেসার-এক স্পিনারের পরিচিত মারণ-ছক? নাকি আসন্ন রঞ্জি উদ্বোধনী যুদ্ধে এ বার অন্য কিছু? বোধহয় দ্বিতীয়টা। বরোদার বিরুদ্ধে আগামী রবিবারের উদ্বোধনী রঞ্জি ম্যাচে লক্ষ্মীরতন শুক্লের বাংলার ভাবনাচিন্তাটা মোটেও প্রতিপক্ষ-কেন্দ্রিক হওয়া উচিত নয়।

দেওধর ট্রফি নিয়ে পূর্বাঞ্চলের পঞ্চপাণ্ডব। (বাঁ দিক থেকে) বীরপ্রতাপ, দিন্দা, সৌরাশিস, মনোজ এবং শ্রীবত্‌স। ছবি ফেসবুক।

দেওধর ট্রফি নিয়ে পূর্বাঞ্চলের পঞ্চপাণ্ডব। (বাঁ দিক থেকে) বীরপ্রতাপ, দিন্দা, সৌরাশিস, মনোজ এবং শ্রীবত্‌স। ছবি ফেসবুক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:৩৬
Share: Save:

চার পেসার-এক স্পিনারের পরিচিত মারণ-ছক? নাকি আসন্ন রঞ্জি উদ্বোধনী যুদ্ধে এ বার অন্য কিছু?

বোধহয় দ্বিতীয়টা। বরোদার বিরুদ্ধে আগামী রবিবারের উদ্বোধনী রঞ্জি ম্যাচে লক্ষ্মীরতন শুক্লের বাংলার ভাবনাচিন্তাটা মোটেও প্রতিপক্ষ-কেন্দ্রিক হওয়া উচিত নয়। এত দিন বরোদা মানে ছিল পাঠান-ভাইদের বিক্রম থামানোর স্ট্র্যাটেজির খোঁজ। কিন্তু এ বার জুনিয়র পাঠান নেই। শোনা গেল, ইরফান পাঠান ফিট নন। বাংলার বিরুদ্ধে অন্তত তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না।

ইউসুফ পাঠান— তিনিও খুব স্বস্তিতে আছেন কি?

দেওধর ট্রফিতে পশ্চিমাঞ্চলকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে ইউসুফকে। কিন্তু বরোদা অধিনায়ক তিনি নন। জল্পনা উড়ছে যে, বরোদা ক্রিকেট সংস্থা কর্তাদের সঙ্গে ঝামেলাও চলছে ইউসুফের। যার অর্থ, প্রতিপক্ষের সংসারে অশান্তির আবহ থাকার সম্ভাবনা। আর সে সংসারের শক্তি যা, তা নিয়ে লক্ষ্মী-মনোজ-দিন্দার দুশ্চিন্তা থাকারও কথা নয়। আছেন বলতে তো ইউসুফ, আর সেই কবে ভারতীয় ক্রিকেট থেকে বিস্মৃত হয়ে যাওয়া মুনাফ পটেল। কাগজ-কলম এবং ক্যারিশমা বলে, বাংলাই এগিয়ে।

বলে ঠিকই, কিন্তু বডোদরার রিলায়্যান্স স্টেডিয়ামের বাইশ গজ ব্যাপারটাকে একপেশে থাকতে দিচ্ছে না। বাংলার বরাবরের শক্তি তাদের পেস বোলিং। তিন জন পূর্ণ মিডিয়াম পেসারের সঙ্গে অলরাউন্ডার লক্ষ্মী আর এক জন স্পিনার—এটাই মোটামুটি প্রতিপক্ষ বধের ছক হয়ে থাকে। কিন্তু শুক্রবার রিলায়্যান্স স্টেডিয়ামে প্র্যাকটিস করে বাংলা দেখেছে, উইকেটে টার্ন থাকতে পারে। আর সেটা হলে, এক পেসার কমিয়ে বাড়তি স্পিনার খেলানোর সম্ভাবনা।

এ দিন রাত পর্যন্ত যা খবর, তাতে অশোক দিন্দা, বীরপ্রতাপ সিংহর সঙ্গে লক্ষ্মী তৃতীয় সিমারের কাজটা করবেন। সেক্ষেত্রে দুই স্পিনার খেলবে। সৌরাশিস লাহিড়ী এবং ইরেশ সাক্সেনা। প্র্যাকটিস শেষে বডোদরা থেকে ফোনে বঙ্গ অধিনায়ক বলছিলেন, বাংলার এ বারের চ্যালেঞ্জটা আলাদা হবে। কারণ, গত বার টিমটা সেমিফাইনালে যাওয়ার পর প্রত্যাশার চাপ থাকবে টিমের উপর। “টিমকে বলছি, আর কথা না বলতে। একেবারে ৭ ডিসেম্বর থেকে মাঠে কথা বলতে। বলছি, সতীর্থদের জন্য খেলো। বাংলার গর্বের জন্য খেলো,” বলছিলেন লক্ষ্মী। এমনিতে দেখতে গেলে, গত বারের চেয়ে আপাতত এ বারের টিম তুলনায় শক্তিশালী। গত বার মনোজ খেলতে পারেননি, এ বার আছেন এবং আছেন দারুণ ফর্মে। অশোক দিন্দা— তাঁকেও আগুনে দেখাতে শুরু করেছে। “পারফর্ম সবাইকে করতেই হবে, এমন নয়। কিন্তু দেখতে হবে খাটনিটা যেন একশো শতাংশ থাকে। সেখানে যেন কোনও ফাঁকি না থাকে। আমি এটাই চাই। আর আমার টিমের সবাই দায়বদ্ধ। সবারই দায়িত্ববোধ মারাত্মক। মনোজ, দিন্দা থেকে সবচেয়ে জুনিয়র ছেলেটা, সবার। আমি মনে করি না, টিম নিয়ে কোনও চিন্তার জায়গা আছে,” স্পষ্ট বলে দিচ্ছেন লক্ষ্মী।

অধিনায়ক টেনশনে নেই, কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্টের কারও কারও মধ্যে অন্য একটা টেনশনের খোঁজ পাওয়া গেল। যা অক্রিকেটীয় এবং অদ্ভুত। বাইরে খেলতে গেলে দু’সেট করে জার্সি পাঠানো হয় বাংলা ক্রিকেটারদের জন্য। ফুল-স্লিভ জার্সি এসেছে, হাফ-স্লিভ আসেনি। তড়িঘড়ি সে সব পাঠাতে বলা হয়েছে বডোদরায়। এখানেই শেষ নয়। সোয়েটার-বিভ্রাটও আছে। রঞ্জি ট্রফি খেলা হয় সাদা জার্সিতে। সঙ্গে সাদা সোয়েটার। মুশকিল হল, এখনও পর্যন্ত বডোদরায় একটাও সাদা সোয়েটার যায়নি।

সব রঙিন!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE