মাস ছ’য়েকের তৎপরতায় অবশেষে সাফল্য। যদিও তা নামমাত্র। তবু চাকার নির্মূলের প্রচেষ্টায় এই প্রথম ধাপে সিএবি আশাবাদী।
ময়দানে চাকারের সংখ্যা নাকি প্রায় ১৩০। চাকারদের শোধরানোর শিবিরের দায়িত্বে থাকা প্রাক্তন স্পিনার শরদিন্দু মুখোপাধ্যায় সে রকমই জানাচ্ছেন। ছ’মাসের চেষ্টায় এর মধ্যে থেকে অন্তত পঁচিশ জনকে শোধরানো গিয়েছে বলে তাঁর দাবি।
এই পঁচিশজনকে আপাতত ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন শরদিন্দু। তিনি বলেন, ‘‘ওরা নিজেদের বোলিং অ্যাকশন শুধরে কনুই ভাঙার পরিমাপ আইসিসি নির্ধারিত ১৫ ডিগ্রির নীচে নিয়ে আসতে পেরেছে। মাত্র ছ’মাসে এই ফল পাওয়াটা যথেষ্ট আশাজনক। কারণ, প্রক্রিয়াটা মোটেই সহজ নয়। ঠিকঠাক চললে আরও ভাল ও দ্রুত সাফল্য পাওয়া যাবে বলেই মনে হচ্ছে।’’ আপাতত ছাড়পত্র দেওয়া হলেও এদের নজরে রাখা হবে জানালেন শরদিন্দু। ফের ভুল করলে ফের ডাকা হবে অ্যাকশন শোধরানোর শিবিরে। আরও একবার নিজেদের শোধরানোর সুযোগ দেওয়া হবে এদের।
কিন্তু এখনও যাঁরা নিজেদের শোধরাতে পারেননি, এ রকম বোলারের সংখ্যা তো একশোর বেশি। এঁদের মধ্যে আবার অনেকে ভিন রাজ্য থেকে আসা। অনেককে ডাকা হলেও তারা আসেইনি। আসন্ন দলবদলে এরা সমস্যায় পড়তে পারে। এই বোলারদের আর এক মাস সময় দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে সম্প্রতি সিএবি-র এক বৈঠকে। এই বৈঠকে যুগ্মসচিব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
বৈঠকে থাকা এক কর্তা জানালেন, চাকারদের শোধরানোর এই প্রক্রিয়ার সাফল্যে বেশ খুশি সৌরভ। এই বৈঠকেই ঠিক হয়েছে, চাকারের তকমা যাঁরা পিঠ থেকে এখনও মুছতে পারেননি, তাঁদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ১০ জুলাই। সেই তালিকা দেখেই দল বদলের আসরে নামবে ক্লাবগুলি। তালিকায় থাকা ক্রিকেটারদের সই করানো হলেও তাদের দিয়ে বল করানো যাবে না। সে ক্ষেত্রে তাদের ভাগ্যে ক্লাব জুটবে কি না, তা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে। এই নিয়ে সিএবি-র একাংশে ক্ষোভ থাকলেও অন্য অংশের যুক্তি, এক বছর না খেলে যদি ক্রিকেট জীবনের মেয়াদ বাড়ানো যায়, তা হলে এই রাস্তা বেছে নেওয়াই ভাল।
এ দিকে, শনিবার শিবপুরের বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির (বেসু) সঙ্গে দশ বছরের চুক্তি করল সিএবি। বেসু ক্যাম্পাসের দু’টি মাঠ ‘লর্ডস’ আর ‘ওভাল’ আগামী দশ বছর ব্যবহার করবে সিএবি। সেখানে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোও তৈরি করতে পারবে তারা। সিএবি-র পক্ষে চুক্তিতে সই করেন সৌরভ।
লড়ছেন পওয়ার: বুধবার মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন শরদ পওয়ার। প্রতিদ্বন্দ্বী বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট বিজয় পাটিল। তিনি ডি ওয়াই পাটিল স্পোর্টস অ্যকাডেমির প্রেসিডেন্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy