ইউরো ২০১৬-র ফাইনালে উঠবে ফ্রান্স আর পর্তুগাল।
জ্যোতিষ অনুযায়ী সমস্ত সম্ভাবনা খতিয়ে দেখেই বলছি।
জ্যোতিষ বলছে ২০১৬ ইউরো জিততে পারে এক মাত্র সে-ই, যার জন্ম ১৯৮৫-৮৬ সালে। সব খেলাধুলোতেই মহাতারকাদের উঠে আসতে দেখা যায় একটা ঝাঁকে। শেষ যে সেরা ব্যাচটা, সেটা ১৯৮১-৮২ সালের। এমএস ধোনি, রজার ফেডেরার বা অভিনব বিন্দ্রার মতো মহাতারকাদের জন্ম ঠিক এই সময়টায়। তার পরের ব্যাচটায় আছেন ১৯৮৫-৮৬ সালে জন্ম যাঁদের, তাঁরা। খেলোধুলোর জগতের যে সব নক্ষত্রের জন্ম এই দুই বছরে, তাঁরা হলেন মাইকেল ফেল্পস, রাফায়েল নাদাল বা উসেইন বোল্ট। আমার গণনা বলছে, ফুটবলেও ইকের কাসিয়াসের (১৯৮১ তে জন্ম) পর যে মহাতারকা উঠে আসবেন তাঁর জন্ম ১৯৮৫-৮৬ সালে হতে হবে।
যে আটটা দেশ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে তার মধ্যে মাত্র তিনটে দলের ক্যাপ্টেনের জন্ম এই সময়টায়— পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, জার্মানির ম্যানুয়েল ন্যয়ার আর ফ্রান্সের হুগো লরিস।
তাই জ্যোতিষের যুক্তি অনুযায়ী এ বারের ইউরোয় চ্যাম্পিয়ন হওয়া উচিত পর্তুগাল, জার্মানি বা ফ্রান্সের মধ্যে কোনও একটা টিমের।
তবে আমার হিসাব বলছে, তিন ক্যাপ্টেনের মধ্যে ন্যয়ার কিছুটা হলেও পিছিয়ে। কারণ তিনি ২০১৪ বিশ্বকাপজয়ী দলে ছিলেন। জার্মানির কোচ জোয়াকিম লো-র জন্যও তাই আর একটা বড় টুর্নামেন্ট জেতা কঠিন হতে পারে।
জ্যোতিষের বিচারে শেষ পর্যন্ত তাই লড়াইটা গিয়ে দাঁড়াচ্ছে দুটো দলের— পর্তুগাল আর ফ্রান্স।
রোনাল্ডো আর লরিস, দুই ক্যাপ্টেনের ভাগ্যেই বড় টুর্নামেন্ট জেতার সম্ভাবনা রয়েছে। দুই দলের কোচ ফের্নান্দো সান্তোস আর দিদিয়ের দেশঁর জন্মছকও দুর্দান্ত। এই দুই দলের কোনও একটা ফাইনালে উঠলে ধরে নেওয়া যেতে পারে যে সেই টিম চ্যাম্পিয়ন হচ্ছেই। আর দু’টো দলই যদি ফাইনালে যায়, তা হলে চ্যাম্পিয়ন হবে সেই টিম, যে দু’জনের মধ্যে সেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy